কবিতা বলুক, শুনি!
কবিতা বলুক, শুনি!
ক্রমাগত ভুল শব্দের এজলাসে হেরে যেতে যেতে এপিথেটগুলো একদিন শেষে
চিরকুটের উড়োজাহাজ হয়ে গেছে গহীন, গভীর, শব্দহীন অন্ধকারে ভেসে
কোনো নিষ্ফলা মহাসমুদ্রে... নির্জন কোনো আকাশ-প্রান্তরে!
নীরবের এই শহর বেয়ে এতদিন হেঁটে গেছি অযুত হেমন্তের ভিড়ে
ধূসর চত্বরকে চিনিয়েছি বাড়ির নামে, রেখেছি ক্লান্ত পরাজয়ের নাম!
তবু কথা ফুরিয়ে যাওয়ার পর দেখো, শেষমেশ তারই হলদেটে খামে
কাকভেজা অবসাদে ঘুম ভেঙে এই আমি, জ্যোৎস্না কিংবা নির্জন কোনো বিকেলের আমি
হঠাৎ আয়নার অপরপ্রান্তে থেমে থাকা নিরুত্তরটার মুখ চেয়ে চাইছি আরেকবার হতে অন্তর্যামী
কাচের কার্নিশে যেটুকু আঙুলে জড়িয়েছে নৈঃশব্দ মনের ভেতরে হাজারো পাতাঝরা মন...&n
bsp;
কিছুক্ষণ লুকোচুরির ময়দানে ভুলে যাক শেষ আত্মগোপন
আজ সদ্যোজাতর মত সোজাসুজি, সোনালী হৃদয়-বৃক্ষের তলে
নিজের হাতে চিঠি দিচ্ছি তুলে কবিতার ভার, গোত্র, জাতি ভুলে
আদিম কোনো একক উল্লাসের মতো! জানো কবিতা উল্লাস মাত্র?
তার অক্ষর নেই, বর্ন নেই... শুধু আছে কিছু ছত্র
বাতাস মাখানো, বাতাসী সেই সব ছত্রগুলো হাওয়ার স্বরে ছিঁড়ে ছিঁড়ে
অনেক আলোকবর্ষের পর সাহসী তারাফুল হয়ে চোখের উঠোনে ফেরে!
আমারও কেটে গেছে কাগুজে শীত তো বহুবার
মূক কলমেরও আড়ালে থমকে যাওয়ায় রোজ রিফিলে জমতে জমতে সত্যের তুষার
আজ তাই খালি কবিতা উচ্চারণ করুক, শুনি!
শুনি, উচ্চারন বলুক কবিতায় কথা!