STORYMIRROR

Pamor Kantak

Abstract

4  

Pamor Kantak

Abstract

দাবানলের শহর

দাবানলের শহর

7 mins
302

অনেকগুলো লাশ,
রক্ত মাংস হাড় গোঁড়ের স্তূপ
চাপ চাপ রক্তের দাগের ওপর দিয়ে,
দম বন্ধ করে দেয় যে বিষাক্ত
নিকষ কালো বোমার ধোঁয়া এবং
রক্ত, পেচ্ছাপ ও বারুদের তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ,
তার মধ্যেই
অনেকগুলো মানব বোমার ভীড় ঠেলে
হেঁটে যাচ্ছি অবিরাম অবিরত না থেমে এই দাবানলের শহরে ।।

সিলিন্ডার ফাটা, ধ্বসে পড়া বাড়ি কিংবা বোমা বা গুলির শব্দ,
আকাশের বুক চিরে উড়ে যাওয়া উড়োযানের জান্তব গর্জন,
মাটির আব্রু লঙ্ঘিত করে তার বুক চিরে ক্ষত বিক্ষত করে রেখেছে যে সব
আঁকা বাঁকা হিজিবিজি রেল পথের আঁচড়, সেই সব
ক্ষতের সুদীর্ঘ সুবিস্তৃত খাঁজের উপর দিয়ে বিষাক্ত তেঁতুল বিছের ন্যায়
অসংখ্য পায়ে বুকে ভর দিয়ে চলে যাওয়া রেল গাড়ির ইঞ্জিনের বা বাঁশির ধ্বনি,
নিষিদ্ধ বোমা কারখানায় বিস্ফোরণের কান ফাটানো আওয়াজ,
রাস্তায় ধর্ষিতা কোনো নারী বা খুন হওয়া কোনো পুরুষ কন্ঠের আর্ত চিৎকার,
নিশুতি রাতের নিস্তব্ধতা বিদীর্ণ করে সাউন্ড বক্সে
গান চালিয়ে উল্লাস করা কিছু অসভ্য মদ্যপ হায়নার ডাক,
রাতের বেলা ঘুমোতে না দেওয়া হা-ভাতে কঙ্কালসার পথ কুকুরদের কান্না,
দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় চাকাওয়ালা মানুষখেকো যন্ত্র দানবদের তীব্র আর্তনাদ,
এই সব কিছু চারদিক থেকে
নিজেদের কুকুরে দাঁতগুলো দিয়ে
চর্‌বন করে চলেছে সমানে
আমার মস্তিষ্কের প্রতিটি খাঁজের ভেতরে
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে লুকিয়ে থাকা প্রতিটি স্নায়ুকে,
রক্তাক্ত করে চলেছে সমানে আমার মগজ ও মনকে।

রাতের আকাশে অভিশপ্ত প্রজাপতিদের
মত বাদুড়েরা চিল চিৎকারে
আরেক কোনো নির্দোষ বা অপরাধী মৃত্যুর
ঘণ্টাধ্বনি ঘোষণা করে উড়ে চলে যায়,
রুগ্ন জীর্ণ বহিঃকঙ্কাল ধারন করে
সময়ের চাপে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে থাকা
ইতিহাসের ভগ্নস্তূপ প্রাচীন অট্টালিকাগুলো
আমাকে ভয় দেখায় আমার উপরে
যখন তখন আছড়ে পড়ার,
বহু জলাজমি, জলাশয়, ভিটেছাড়া মানুষের হারিয়ে যাওয়া বাড়িঘর, 
অব্লুপ্ত শ্মশান ক্ষেত্র ও গোরস্থানের সমাধি স্তম্ভ হয়ে
দাঁড়িয়ে থাকা গগনভেদী নতুন পুরোনো সব বহুতলগুলোও
নিজেদের নোংরা বিবর্ণ দন্তসারি উন্মুক্ত করে
সেই একই শাসানি দেয় আমায়, তাদের বেশি কাছে না ঘেঁষার, নাহলে
যেভাবে কোনও রাড়িয়াকে বিছনায় ফেলে তার উপর নিজের শরীরের
সকল ভার চাপিয়ে দিয়ে তাকে পিষে চলে যত নষ্ট পুরুষেরা দিবারাত্র
টাকার বিনিময়ে, তেমনই তাহারাও আমাকে যে কোনো মুহূর্তে
নিজেদের কয়েকশো টন কংক্রিটের ভারের নীচে
পদপিষ্ট করে কোনো কীটের ন্যায়ই হত্যা করবে যেমন প্রায়ই অনেক লোককে
করে থাকে, ফলে ভয়ে তাদের হুমকির ঠেলায় সরে আসি তাদের কাছ থেকে, সরে এসে
ফের হাঁটতে থাকি শয়ে শয়ে পোকামাকড় ও ব্যাক্টেরীয় অণুজীবদের জঙ্গলের মধ্যে
আটকা পড়া সব দুর্গন্ধিত বিগলিত লাশের আঠালো নোংরা পাকের মধ্যে পা চালিয়ে। 

আশপাশ দিয়ে সব মানব বোমারা হেঁটে চলে, অনবরত, অবিরাম, আমারই মত,
তাদের মাঝখান দিয়ে যখন তখন বিস্ফোরনে ঝলসে যাওয়ার আশঙ্কা মাথায় করেই
হেঁটে চলি আমিও, নিরুপায় হয়ে খাবার জোগাড়ের মূষিক দৌড় এ,
সেই সব মানব বোমাদের আমি দেখি, খুব ভাল করেই লক্ষ্য করি,
তাদের ব্রহ্ম তালুতে বসানো বোমার সলতেটা তিল তিল করে
পোঁড়ার গন্ধ আমার নাকে এসে লাগে, এবং দম দেওয়া কলের ন্যায়
মাকুর চালে হেঁটে চলে সেই সব মানব বোমারা,
যখন তখন ফেটে পড়ার সাবধান বাণী দিয়ে চলে ,
কপালে ক্রুদ্ধ ভাঁজ নিয়ে, রক্তবর্ণ কতগুলো রাতজাগা চোখের সারি,
সমানে আমাকে তাড়া করে, নিজেদের মুখ বিবর ও নাসিকা দিয়ে
অনর্গল নির্গত করে চলেছে তাহারা বিষাক্ত নিঃশ্বাস;
চারদিক থেকে যা কোনো অজগরের ন্যায় কুন্ডলি পাকিয়ে
অদৃশ্য এক নাগপাশের মধ্যে আমাকে বন্দি বানিয়ে করে চলেছে রুদ্ধশ্বাস;
 দম বন্ধ লাগে মাঝে মধ্যে, মুখখানি পান্ডুর নীল হয়ে আসে,
নিজের পাঁজরের হাড় একেক করে ভেঙে যাওয়ার আওয়াজ শুনতে পাই স্পষ্ট,
চোখের সামনে আগুনে ঝলসে ওঠা সব মানুষ, বাড়িঘর কিংবা সার দেওয়া দোকান পাট,
অ্যাসিড ও রক্তের বৃষ্টিতে সিক্ত হয়ে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে কাঁপতে থাকা লাশের ভিড়, পথ ঘাট,
এই সব কিছুই রাতের বেলা দুঃস্বপ্ন হয়ে ফিরে ফিরে আসে বারে বারে
আমাকে ঘুমের মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করতে,
বুলেটকে লিপস্টিক ভেবে কবিতা লেখা সব কবি সাহিত্যিকেরা, এবং আরও যাবতীয় স্তাবকেরা
এক দল খুনিদের সাথে হাসি মুখে একাসনে দাঁড়িয়ে বা বসে ছবি তোলে,
চিনির শরবতে চুবিয়ে রাখা সব মিষ্টি শব্দের পুষ্প রাশি
 বর্ষণ করে সেই সব খুনিদের ওপরে, গোলাপ জল ছেটায়,
এই সব কিছুই স্রেফ এক টুকরো খাবারের আশায় যা তাদের
দিকে মাঝে মধ্যে তোষামদে খুশি হয়ে সেই সব খুনিরা ছুঁড়ে দেয়,
সেই সব খুনিদের মন্দিরও আছে এখানে এই শহরে,
তাদের পুজারী এবং ভক্তও আছে অসংখ্য,
তারা তাদের আরতি করে চলে সমানে অহর্নিশি,
যাবতীয় ধর্ষণ এবং খুন পায় সেই পুজার প্রতিদান স্বরূপ উপহার হিসেবে;
এই শহর একটা বিশাল বড় মুখ হা করা জানোয়ার,
সে খেয়ে চলে সমানে একের পর এক মানুষকে, কাউকে রেহাই দেয় না,
এই শহর একটা সুবিশাল মানব বোমা উৎপাদনের কারখানা মাত্র,
একের পর এক বিধ্বংসী মানব বোমা সন্তানের জন্মদাত্রী সে,
একটা বিশাল বড় চিড়িয়াখানা এই শহর, একটা বিশাল বড় পাগলা গারদ, জেল খানা,
নিজের উদরের পাঁজরার খাঁচার ভেতরে সে কয়েদ করে রেখেছে অসংখ্য অপরাধী
এবং নিরপরাধ মানুষকে, তারা হাত পা ছোঁড়ে এবং পাগলের মত চেঁচায়,
তাদের রক্ত হিম করা সেই আর্তনাদ আমাকে পাগল করে তোলে।

রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ চোখে পড়ে লাশের জঞ্জালের থেকে উঠে বেরিয়ে থাকা একটা দুটো হাত,
তারা যেন উপরের বিষাক্ত কালো বাতাসকেই জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করতে করতে
নিজেদের হাতের মুঠো খোলে এবং বন্ধ করে, অনেক সময় আবার আমার
পা খামচে ধরার চেষ্টা করে, নিজের পা সাবধানে সামলে সরিয়ে নি।
অনেক সময় আবার চোখে পড়ে কোনো একটি নিরীহ মেকুরকে ঘিড়ে
অনেকগুলো রক্তলোলুপ নেকড়ে, শুধু মূক দর্শক হয়েই দেখি,
তার পর মুখ ঘুরিয়ে নি অন্যদিকে একই ভাবে চলতে চলতে,
সেইসব নেকড়েগুলোও নিজেদের জিহ্বা লেহন করতে
করতে একটা সময় পর ফিরে যায় নিজেদের ডেরায়।
রাতের দুঃস্বপ্নে ফের সেই রক্তাক্ত মার্জারটিকে দেখতে পাই, আমাকে যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে।
ঘুম ভেঙে হাঁপাতে হাঁপাতে ঘেমে নেয়ে বিছনায় উঠে বসি, বাকি রাতটা আবার না জেগেই কাটাই।   

যেখানে হাঁটা শেষ হয়, সেটা এই শহরের জেল খানার ভেতরেই
আবার আরেকটা ছোট্ট চার দেওয়ালের কয়েক খানা, তার নাম আমার বাড়ি।
বাড়িতে ঢুকে ক্লান্ত অবসন্ন শরীরটাকে শেকলে বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে
খাবার টুকু অনেক কষ্টে কন্ঠনালী দিয়ে নামিয়ে ইঁদুর ছুঁচোর মত 
এ ঘর থেকে ঘরে হাঁটাহাঁটি ঘোরাঘুরি করে
আবার করে বাকি রাতটা কাটাই
আরেকটা ছোট্ট চার কোনা জেল খাঁচার মধ্যে রাত জেগে, তার নাম মশারি।
অপেক্ষা করতে থাকি আবার কখন পর দিন সকালে উঠে সেই একই ভাবে
দম দেওয়া যন্ত্রের ন্যায় হাঁটতে বেরোব এই দাবানলের শহরে।
এই দাস জীবনের জাল কেটে বেরোনোর পথ খোঁজারও চেষ্টা করি অনেক সময়,
অনেক সময় ভাবি হয়ত এক মাত্র রাস্তা হল আত্মহত্যা,
কিন্তু সেটা আবার আমার মত অমেরুদণ্ডী প্রাণীর সাহসে কুলিয়ে উঠবে না।

বাড়িতে আমার সাথে আরও কিছু কয়েদি থাকে,
সবাই এক সাথে থেকেও প্রত্যেকে একা।
তারা আমার পরিবারের লোক, মানে
বাবা কাকা মা, এরাই আরকি।
তারাও হাঁটছে, হাটবে, এই দাবানলের শহরে।

থকথকে জ্বলন্ত টগবগে লাভার ওপরে ভাসমান এই শহর,
হঠাৎ করে যেন আমার হাতের নাগাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে,
আমার আশপাশে আজকাল শুনতে পাচ্ছি অজানা এক ভাষা,
যেই ভাষাকে এই ইতরের দেশের রাজ ভাষার
মিথ্যে মুকুট পড়িয়ে আসা হয়েছে চিরটা কাল।
বাইরের থেকে এসে এখানে নানা লোকে আশ্রয় নিচ্ছে রোজ কীট পতঙ্গের ন্যায়,
আসতে আসতে করে বাড়াচ্ছে এখানে নিজেদের সংখ্যা,
এই শহরের ধন কুবের হয়ে বসে আছে তাদের একাংশ,
শহরটাকে ফলে করে নিতে পেরেছে একেবারে নিজেদের হাতের মুঠোয়,
নিজেদের খাদ্যাভাষ, ভাষা, সবকিছুই চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে আমার ওপর,
তাদের কথা না শুনলে মুখের ওপরে আমায় বলছে বিদেশী, তাও আমার নিজেরই মাটিতে দাঁড়িয়ে,
জাত পরিচয় হারানো এক হা-ভাতে অনাথ ভিখিরিই বলা চলে এখন আমাকে,
কোথায় যাব, কী করব, কিছুই বুঝতে পারছি না।
কী খাব, পড়ব, বলব, কোন ভাষায় বলব,
সবই ঠিক করে দিচ্ছে বাইরের লোক সমানে।
এক বদ্ধ, পাগল, উন্মাদে পরিণত হচ্ছি দিন দিন।

ধর্মের নামে, জাতির নামে, জাতের নামে
সমানে রাস্তায়, মন্দিরে, মসজিদে, গির্জায়
অনবরত মার খাচ্ছি, খুনও হচ্ছি আজকাল।
খুবই বিপন্ন সময়, কখন যে কোথা থেকে
একটা গুলি এসে সজোরে পাঁজরে আঘাত হানবে,
বা গর্ত সৃষ্টি করবে খুলিতে,
বা হঠাৎই মাটি ফুঁড়ে বেরোনো বোমার আগুনে ঝলসে যাব,
বা গাড়ির রেষারেষিতে পিষে যাব,
বা কখন যে একটা বহুতল ভেঙে পড়বে আমার ওপর,
হয়ত মরার পর আমার লাশও পুনরায় ধর্ষিত হবে,
অতএব কখন যে কীভাবে আমার ওপরে আঘাত হানবে
এই দাবানলের শহর, তা নিয়ে সব সময়ই ভয়ে থাকি ভিজে বেড়াল হয়ে।

শিক্ষা চাকরি, চিকিৎসা, সব কিছুই
বিকোচ্ছে মুড়ি মুড়কির ন্যায়,
বিদ্যার আলয়গুলো বহুদিন হল আজ ভূতেদের ডেরা,
হাঁসপাতালে মর্গে আজ লাশেরাও ধর্ষিত,
বেঁচে থেকে না হলেও মড়ার পরে তাদেরও দাম বাড়ে,
পথের ধারের একটা জীবন্ত রুগ্নসার কঙ্কালের মৃত্যুর জন্য
এক দল বুভুক্ষু কুকুর ওঁত পেতে অপেক্ষা করছে,
কখন সে মৃত্যু মুখে ঢলে পড়লেই তার লাশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে,
সব কিছুই দেখি হাঁটতে হাঁটতে, শুধু দেখে যাই।
পা ব্যাথা করে, ব্যাথায় শিরা উপশিরা ফুলে ওঠে,
তাও হাঁটা থামাতে পারি না।

টের পাই স্পষ্ট,
আমার ক্ষয়িষ্ণু দেহ থেকে চুন সুরকি ঝড়ে ঝড়ে পড়ছে,
ঠিক আমার বাড়িরই ন্যায়,
চার কোনা ধরে গেছে,
জ্বলন্ত মশারি নেমে আসছে ঘুমের মধ্যে,
কিছু একটা পুড়ছে ,
ঘড়ি যেন একটা সময় বোমা,
সমানে ছুটেই চলেছে,
আমাকে মারতে উদ্যত অনেকগুলো হাত
ঘুমের মধ্যে আমার টুঁটি তাক করে এগিয়ে আসে,
সেই একইভাবে ঘুম ভেঙে উঠে বসি,
বাকি রাতটা আবার জেগে থাকি।  
এক মাত্র বাড়ির বাকি লোকেদের নাকের আওয়াজেই
টের পাই, তারা এখনও বেঁচে আছে।
আমার বিছনার মাথার কাছে মৃত্যু চেতনা রোজ এসে হাতছানি দেয়।
ভাবছি আত্মহত্যা করব কিন্তু কী করে করব,
ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে করা যায়, কিন্তু যদি বেঁচে যাই?
রেল লাইনে মাথা পাতলে বোধহয় সবচেয়ে ভাল, তাই না?
বা বিষ খেলে? যদিও তাতে বোধহয় অনেক বেশি কষ্ট হবে।

কী করব বুঝতে পারছি না,
বদ্ধ পাগল হয়ে যাব,
হয়ে যাব কি, হয়েই গেছি,
রাতের বেলা আমার বিশেষ স্থানে উত্তেজনা অনুভব করি,
বিছনা বা পাশ বালিশ খামচে ধরি এক হাতে,
আরেক হাত চলে যায় সোজা দুই পায়ের মাঝে,
ঘামতে থাকি কাঁপুনি দিয়ে,
নরম নারী মাংসের খিদেও আমায় পাগল করে তোলে,
বিছনাটা একেক সময় মনে হয় যেন খুব ঠাণ্ডা,
একটু উষ্ণতার খোঁজ করি,
আমাকে হয়ত সারা জীবন অনিচ্ছাকৃত
কৌমার্য পালন করেই কাটাতে হবে,
বেশ্যালয়ে কোনোদিন যাইনি,
ভাবি, কবে যাব?
তবে অবকাশ আর হয় না, এই দাবানলের শহর
আমাকে বেঁধে রেখেছে যেন এক জাঁতাকলে,
বাঁধন কেটে আর বেরোতেই পারি না।
মনে মনে শুধু বলে চলি,
"মরবে মরবে, সব শালারা এক দিন মরবে ঠিকই'"।।


Rate this content
Log in

Similar bengali poem from Abstract