বাতাসে পোড়া গন্ধ
বাতাসে পোড়া গন্ধ
বাতাসে পোড়া গন্ধ
মানিক চন্দ্র গোস্বামী
মনোযোগী হয়ে আমার কথাটি শোনো,
বুকের খাঁচায় গভীর ক্ষত জেনো।
নৃশংসতার হিংস্রতায় স্তব্ধ মুখের ভাষা,
আঁধারে পায় না জোনাক পোকায় দিশা |
শেষ হয়ে গেছে টিমটিমে প্রত্যাশা।
বিশ্বাস নেই দোষীরা শাস্তি পাবে,
সঠিক বিচারে জনতা শান্ত হবে।
দুষ্ট চক্রের প্রতিশোধের স্পৃহায়
কচি কচি প্রাণ অকালেই ঝরে যায়,
আত্ম বলিদান নাকি অত্যাচারিত প্রাণ,
পাবে না কোনো মানবিক সম্মান।
তর্কে গেলে যেতে হবে বহুদূর,
আঙ্গুল তুলে দোষারোপের চাপে
বিবেক কণ্ঠে লুক্কায়িত প্রতিবাদের সুর।
ভবিষ্যতে ভালো কিছুর আশায়
একজোটে যে বেঁধেছিলো সংহতির গান,
নারী ফিরে পাবে ভুলুন্ঠিত সম্মান,
চাহিদা, প্রত্যাশা, ভেঙেচুরে খানখান।
বড় ভয় হয় সময়ের তালে
সাত সাগরও শুকোবে একদিন,
অবিচারের শয়তানি যাঁতাকলে
কালের কণ্ঠ ক্রমে হয়ে যাবে ক্ষীণ।
কলুষিত হাওয়ায় মনের মাঝারে,
স্থান ভরে নেবে বানানো মিথ্যাচারে,
ঠোঁটের কোণের ক্রূর হাসিটা রয়ে যাবে অমলিন।
খুশিতে ভাসবে পিশাচ আবার,
নতুন দর্পে পুরোনো প্রহার,
আঁধারের তেজ জাগিবে ফিরে
অন্ধকারের অতল ঘিরে,
ভঙ্গুর হবে একতার সুর,
পেশী শক্তিতে বলীয়ান মানবরূপী অসুর।
বাজবে না বীণ বীণার তারে,
মেরুদন্ড নিরুদ্দেশ অসামাজিক কাজের ভিড়ে।
শক্তি খোয়াবে, সাহস হারাবে,
আকাশেতে কালো মেঘেরা ঘিরিবে,
দুঃখ, দৈন্য, ক্লেশ সমাহারে,
প্রেমের বাণী লুপ্ত চিরতরে।
ঘৃণার আগুনে হৃদ্যতা দূর,
পোড়া গন্ধে বাতাস ভরপুর।
