অলীক প্রত্যাশা
অলীক প্রত্যাশা


পাঁচমিশালি অনুভূতির ভিড়ে লুকিয়ে ছিল যে জিজ্ঞাসা ,
শিরশিরে উত্তুরে হাওয়ায় উঁকি দিল সে একচিলতে উষ্ণতা।
মনের পাঁচিল টপকে মগজের গলিপথ ঘুরে কনীনিকায় উদ্ভাসিত প্রেম প্রশ্ন করে!
আবার হবে তো দেখা?
মুখোমুখি দেখার মুহূর্তরা পাংশুটে স্মৃতির মোড়কে দীর্ঘশ্বাসে!
হলদে বসন্তে বাঁধন ছেঁড়ার আফশোসগুলো ফুটেছে পলাশে।
উপড়ে ফেলা নোঙরে নোনাজলে ভেসে দিশাহীন তরীটা জিজ্ঞাসে বারে বারে!
আবার হবে তো দেখা?
জ্যোৎস্নার আসা যাওয়ায় চাঁদের কলঙ্ক মোছে না কখনও ,
তবু সে চাঁদের অহংকার; আঁধার বিদারী চন্দ্রকলায় প্রতিভাত।
বলিরেখার ইতিবৃত্তে চাপা পড়া যৌবন শোক আরশিরে
ফিসফিসিয়ে চুপিসারে!
আবার হবে তো দেখা!
ভোরের পথে কুয়াশার আবছায়ায় ঐ দূরে দেখি যে অবয়ব ,
মনগড়া অভ্যাসে রঙিন সে রূপকথা রচে চলি বারবার ,
মন বলে এই বুঝি দেখা পাই! অচেনা আভাসে নিরুত্তর প্রশ্নেরা ভিড় করে !
আবার হবে তো দেখা?
রিক্ততার গ্লানি অঘোষিত প্রতিবাদে আপোসে জেরবার!
ভাঙা মনের টুকরো গুলোই প্রকাশিত এলোমেলো শব্দসাজে।
পঙক্তি বেয়ে নেমে আসা জিজ্ঞাসু হাহাকার জর্জরিত বিশ্বাসঘাতক আঁচড়ে!
আবার হবে কি দেখা?
উত্তর জানা নেই, জানা নেই ফেরারি ঠিকানা ,
জানা নেই অভিনয়ের প্রগলভতা, জানা নেই পিচ্ছিল মতি।
শুধু আছে প্রত্যাশা পূরণের স্বপ্ন , আছে আতরগন্ধী প্রতীক্ষার অবিমিশ্র রসায়ন ।
আবার ঠিক হবে দেখা।