shilpita ghosh

Drama Action Others

3  

shilpita ghosh

Drama Action Others

যদি থাকো পাশে

যদি থাকো পাশে

4 mins
226


ছোট একটা বাজার। অনেকে থলি হাতে বাজার করছে। একটা বাইক এসে দাঁড়ালো। সিংরাই। একটা স্বাস্থ্যবান ছেলে। হটাৎ কিছু লোক এসে গুন্ডামি শুরু করলো। দোকানে তোলা তুলতে লাগলো। একজন বয়স্কা ঠাকুমার ছোট একটা লন্ড্রি। টাকা কোথা থেকে দেবে। গুন্ডাগুলো লোহার ইস্ত্রিটা ছুড়ে দিল। সিংরাই ইস্ত্রিটা ধরে গুন্ডাগুলোকে খুব করে পেটালো। ঠাকুমার বাড়িতে কেউ নেই। সিংরাই ওখানে আশ্রয় নিল। সিংরাই এক রক ছেলে। কখন কখন মেয়েদের পিছনেও লাগে। সিতারাম পাটির নেতা। ভোটে জেতার জন্য যা খুশি করতে পারে। কাউকে ঠিক করে সম্মান পর্যন্ত করে না। পাড়ার মাষ্টার সুনিলবাবু। তার মেয়ে সোনালি। কলেজে পরে। ভোটের প্রচারের জন্য সুনীলবাবুকে সিতারামের দল জোড় করে। সুনীলবাবু ছেলেগুলোকে অপমান করে বের করে দেয়। অপমানের বদলা নিতে দলবল সোনালির পিছু নেয়। সোনালি আপন মনে হেঁটে যাচ্ছে। গুন্ডার দল সোনালিকে ঘিরে ফেলে। সোনালি ফাঁক গলিয়ে দৌড়াতে থাকে। সিংরাই এর সাথে ধাক্কা খায় দুজনে ঘুড়ে যায়। সিংরাই সোনালির দিকে এক মনে তাকিয়ে থাকে- বিউটিফুল। গুন্ডাদের সাথে একশেন হয়। সোনালি সিংরাইকে কিছু না বলে চলে যায়। সিংরাই সোনালিকে পিছু থেকে বলে- আরে থাংকস তো বলে যাও। মনে মনে সিংরাই সোনালিকে মনে করতে থাকে (গান গায়)। সিতারাম দলবলকে অপমান করে। ভোটের আগে কোনরকম ঝামালা করতে নিষেধ করে। সিতারাম ভোটের প্রচারে বের হয়। গ্রামের লোকের কাছে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। সিংরাই দুর থেকে সব লক্ষ্য করে তারপর কাছে এসে লোকেদের বলে সিতারাম সব মিথ্যা বলছে। সিতারাম রাগে কিছু না বলে চলে যায়।লোকেদের মধ্যে থেকে রবি সিংরাই এর সাথে বন্ধুত্ব করে। দলের লোকেদের কাছে সিংরাই এর খোঁজ চায়। কেউ সঠিক খবর বলতে পারে না। রবি সিংরাইকে বলে সে একটা মেয়েকে ভালোবাসে তাকে কিভাবে পাবে তার পরামর্শ চায়। কলেজের সামনে রবি আর সিংরাই দাঁড়িয়ে থাকে। রবিকে সিংরাই সাহস যোগায়। রবি ঠাকুরের নাম করতে করতে এগিয়ে যায়। রুমি রবির কথা শুনে টেরা চোখে ঘুড়ে তাকায়। তারপর মেয়েরা ধরে পেটায় রবিকে। সিংরাই চুপচাপ কেটে পরার মতলব করে কিন্তু সোনালি এসে দাঁড়ায়। সিংরাই হাঁ করে সোনালির দিকে তাকিয়ে থাকে। সোনালি কিছু বলতে যাবে এমন সময় সিতারামের গুন্ডারা সিংরাইকে ঘিরে ধরে। সিংরাই সোনালিকে বলে সে তাকে ভালোবাসে। সোনালি মুখ ঘুড়িয়ে চলে যেতে চায়। গুণ্ডারা সিংরাইকে আঘাত করে । সিংরাই সোনালিকে বলে যতক্ষন না সে বলে যে সে সিংরাইকে ভালোবাসে সে শুধু মার খেয়ে যাবে। সোনালী এগিয়ে চলে যায় । গুন্ডারা মেরে যায়, শেষে মাথায় মারে। সিংরাই সোনালী বলে মাটিতে লুটিয়ে পরে। মাথা থেকে রক্ত বের হয়। সোনালী দৌড়ে আসে সিংরাইকে বলে-সিংরাই আমগিঞ দৌলড় মেয়া। সিংরাই চোখ খোলে। উঠে সব গুন্ডাদের পেটায়। সবাই পালিয়ে যায়। সোনালী সিংরাই এর মাথায় ওড়না জড়িয়ে দেয়। দুজনে রঙীন স্বপ্নে ভেসে যায়। (গান গায়)। সিতারাম পুলিস অফিসারকে বাড়িতে ডেকে পাঠায়। সিংরাই এর কথা বলে।ওকে তুলে নিয়ে পেটাতে বলে। সিতারেম ছেলে লক্ষ্মন একটা মেয়েকে নিয়ে শুয়ে থাকে। সিতারাম এসে বলে শুধু মেয়ে নিয়ে ফুর্তি না করে ভোটের প্রচারে সাহায্য করতে সিংরাই চায়ের দোকানে চা খাচ্ছে, রবি নিজের প্রেমের দুঃখের কথা শোনাচ্ছে। পুলিসের গাড়ি এসে থামলো। সিংরাইকে তুলে নিয়ে গেল। অনেক কথা কাটাকাটির পর সিংরাই বলল-একটা ফোন করতে পারি?। রবি এসে সোনালিকে খবর দিল। সোনালি রবিকে জানায় তার বাবা আজ বাড়িতে নেই। দুজনে থানার দিকে গেল। রাস্তায় সিংরাইএর সাথে দেখা হল। সোনালি আর সিংরাই কথা বলতে লাগলো রবি চলে গেল। সিংরাই সোনালিকে বিয়ে করবে বলে। সোনালি সিংরাইকে জড়িয়ে ধরে। (গান গায়) সিতারাম রাত্রে সিংরাই এর বাড়িতে আগুন দিতে বলে। মাঝ রাতে গুন্ডারা সিংরাইএর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সিংরাই গাড়ি নিয়ে রাত্রে ফিরে দেখে আগুন লেগেছে। বাড়ির মধ্যে ঢুকে দেখে বয়স্কা ঠাকুমা মারা গেছে। ঠাকুমার সতকার করে। সিতারাম স্টেজে ভাষন দিচ্ছে। সিংরাই গিয়ে এক এক করে মার দিতে থাকে। সিতারাম ভয়ে চলে যায়। সিংরাই বাড়ির চাল ঠিক করছে। সোনালী এসে দাঁড়ায়। সিংরাই নিচে নেমে আসে । সোনালি সিংরাইকে হাত ধরে পার্কে নিয়ে যায়। রবি পার্কে কান ধরে দাঁড়িয়ে আছে। রুমি গুনছে ৩৬,৩৭,৩৮। সোনালি ওদের দেখে হেসে ওঠে। সোনালি সিংরাইকে চুম খেতে বলে। সিংরাই না না বলে। সোনালি সিংরাইএর গলা জড়িয়ে ধরে চুমু খায়। (গান গায়)। রাস্তার ধারে জঙ্গলে একটা মেয়েকে সিতারামের ছেলে লক্ষন আর পাঁচজন মিলে ঘিরে ধরে। ইজ্জত নেয়। মেয়েটা চিৎকার করে বলে সে পুলিশকে জানাবে। লক্ষন মেয়েটাকে খুন করে। সুনিল মাষ্টার সব দেখে নেয়। পুলিশকে গিয়ে সব জানায়। পুলিশ একটা কমপ্লেন লিখে চলে যেতে বলে। পুলিশ অফিসার সিতারামকে সব জানায়। সিতারাম ছেলে ডেকে চড় মারে। তারপর সুনিল মাষ্টারকে তুলে নিয়ে আসতে বলে।গুন্ডারা সুনীল বাবুকে তুলে নিয়ে যায়। রবি সিংরাইকে খবর দেয়। পুলিশের সামনে অনেক বুঝিয়ে শেষে গুলি করতে যায় পুলিশ অফিসার। সিংরাই চলে আসে। সবাইকে পেটায়। অফিসারের হাতের গুলিতে লক্ষ্মন মারা যায়। পুলিশ অফিসার সিংরাইকে অ্যারেষ্ট করতে যায়। সিংরাই পকেট থেকে নিজের কার্ড বের করে। অফিসার সেলুট জানায়। কনষ্টেবলদের সোনালী নিয়ে আসে। সিতারাম আর অফিসারদের ধরে নিয়ে যায়। সোনালী বাবাকে মুক্ত করে। সুনিল বাবু সিংরাই আর সোনালীর চার হাত মিয়ে দেয়। রবি বলে-

আর আমারটা?


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama