তুই আমার পরিণীতা
তুই আমার পরিণীতা


-সুর্য দা, পরিণীতা দেখতে যাবে..!
-পরিণীতা,তবে কার সাথে দেখতে যাই বল দেখি..!!
-কেন,আমি বলছি তো,আমি যাব..!
-ধুর পাগলী,ওই সিনেমা টা যে একজন বিশেষ মানুষের সাথেই বসে দেখা যায় রে...
-তাতে কি হয়েছে,আমি বুঝি তাহলে তোমার জীবনের বিশেষ মানুষ টুকুও নই..!!
-এমা তা কেন..!
-না কেন কি,এসব শুনতে চাই না,আমি টিকিট কাটছি,কালকের ইভিনিং শো ৪টে ৩০ এর,যেতেই হবে যেতেই হবে যেতেই হবে....
-মানে মানে,এই এই সঞ্চয়িতা,এইই....উফ এই মেয়েটা না,আরে এই সঞ্চয়িতা.....
-তারপর হলো তো ইচ্ছে পূরন..!!
-কই আর হলো..!
-কই হলো মানে,এই তো সিনেমাও দেখলি সাথেও এলাম এই তো ইচ্ছে ছিল তোর..!!
-ইচ্ছে যে আরোও অনেক কিছুই ছিল সুর্য দা..
-মানে..!!আবার কি..!!
-মনে পড়ছে সেই মুহুর্ত খানা,যখন রিত্বিক হাতমুঠো করে আবিরের মধ্যে সিদুর মিশিয়ে শুভশ্রী কে তার পরিণীতা বানায়..!
-হ্যা..!!খুব স্পর্শ করেছে ওই মুহুর্ত টা আমাকেও...
-তাহলে সূর্য দা,আগের বছর বিজয়া দশমীর সিদুর খেলায় যে তুমিও আমাকে এভাবেই মাখিয়েছিলে সিদুর খানা,বিসর্জনের উল্লাসে।সেদিন থেকে যে আমিও সবার আড়ালে আধচিলতে সিদুর সিথে তে পড়ি আবার ঢেকে নিই চুলের আড়ালে যাতে কেউ না টের পায়...তাহলে আমিও কি তোমার পরিণীতা হলাম না..!
(অনেকক্ষণ ধরে তাকিয়ে থাকার পর)
-তুই যদি বুঝতিস যে সেবারের বিজয়ায় তোকে সিদূর টা আমার ভুল করে নয়,ইচ্ছে করেই পড়ানো তাহলে আজ তুই আমার পরিণীতা কি না তা জানার জন্যে যে উত্তরের প্রতীক্ষায় থাকতে হত না...!!
গঙ্গার ধারে ততক্ষণে অন্ধকার নেমেছে বেশ ঘন হয়ে,পরস্পরের ঠোটে মিশেছে ঠোট।
সঞ্চয়িতার ফোনে বেজে উঠল,"তুমি হাসলে আমার ঠোটে হাসি, তুমি আসলে জোনাকি রাশিরাশি,রাখি আগলে তোমায় অনুরাগে,বলো কিভাবে বোঝাই ভালোবাসি".....ঘুম টা ভেঙে গেল ওর,দেখল সূর্য দার ফোন আর ঘড়িতে তখন ৩টে বেজে ৩৫।