সেবা
সেবা


ডিউটি সেরে ডাঃ সৌমি যখন হস্টেলে ফিরলো ঘড়িতে তখন রাত তিনটে। টানা তিনদিন ডিউটি পর আজ রাতটুকু একটুখানি বিশ্রাম। সকাল থেকে আবার ডিউটি। ওদের ছোট ছোট টিমে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সৌমির টিম লিডার ডাঃ স্বাগত। ওদের আন্ডারে যে পেসেন্টটি এডমিট রয়েছে তার বয়স বাষট্টি। আর পেসেন্টের কন্ডিশনও খারাপের দিকে ছিল। তাই ওদের খুব পরিশ্রম গেছে। হস্টেলে ফিরে প্রথমে স্নান করে ফ্রেশ হয়ে নিলো। এবার একটু কিছু খেয়ে বিছানায় টানটান হয়ে শুয়ে ঘুম দেবে ঠিক করলো। এমন সময় ডঃ অর্পিতা রুমে এসে বললো — কিরে কখন ফিরলি?
— এই তো। ফিরে ফ্রেশ হলাম।
— সারাটা দিন খুব চাপে ছিলিস না?
— ভীষণ। পেসেন্ট ষাটোর্ধ। তার উপর হাই ফিভার, তেমনি কাশি আর শ্বাসকষ্ট। তিনটে দিন যে কিভাবে কাটলো! সেইসাথে টাইম টু টাইম সুপারকে রিপোর্টিং করা।
— আর স্বাগত?
— ভীষণ, ভীষণ ধকল গেল ওর উপর দিয়ে।
— দিনটা কিভাবে কাটাতে হল তোদের! আর আজ তোরা বিয়ের দিন ঠিক করেছিলি! ...মনে আছে?
— আছে...। জানিস আজ সারাদিন কিচ্ছু খাওয়া হয়নি দুজনের।
— বাব্বা একেবারে উপোস!
— হ্যাঁ। তিনদিন পার হতে আজ রাত নটার দিকে পেসেন্ট যখন ভালো রেশপনস করতে শুরু করলো... তিনদিন পর স্বাগত আমার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসলো। মনে হল — এই বুঝি আমাদের শুভদৃষ্টি হয়ে গেল।