রামা
রামা
রামা তার বড় ভাই রোহিত কে অফিসে এগিয়ে দিতে যাচ্ছে।
রামা: বাইকে করে ফিরছিলো , হঠাৎ তার বন্ধু আদিত্য সাথে দেখা হল। আদিত্য একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কোলড্রিংস হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। রামা গাড়ি থেকে নেমে হট করে আদিত্যর হাত থেকে খাবারটি নিয়ে নিল। আর আদিত্য আমার চোখে মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। রামা খাবারটা খাওয়ার পর , চল ভাই।
এক নাম্বার এর বুক কার হে শালা , চল গাড়িতে ওঠ, আদিত্য না আমি যাব না, রামা উঠবি না তুলে নিয়ে যাব বল । আদিত্যর বাইকে উঠে পড়ল এবং দুজনের যেতে লাগলো , আদিত্য বলল ভাই তুই আমি যখনই কিছু খায় তখনই তুই হাজির , রামা আরে আমার যখনই কিছু খেতে ইচ্ছা করে তখনই তোকে দেখি তুই কিছু না কিছু খাচ্ছিস।
এই শহরে বসবাস করত কুখ্যাত নামকরা গুন্ডা শংকরভাগ। তার অনেক চালা চামুণ্ডা ছিল। এই শংকর ভাই একটা বড় অংকের প্রজেক্ট এর কাজের অফার আসে। তার কারণ এই প্রোজেক্টের অনেক ঝামেলা ছিল। তাই অন্য কেউ করতে পারত না , যখনই কেউ করতে আসতো , শংকর ভাই করতে দিত না। তার কারণ তাকে অর্ধেক ভাগ দিতে হবে। শেষমেষ সে নিজেই প্রজেক্টে কাজ শুরু করতে যায়, কিন্তু এই প্রোজেক্টের জন্য পার্মিশন চাই, তাই তার দলের একজনকে ডেকে বলল, এই জাপান মিশন করে নিয়ে আয়। শংকর ভাইয়ের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিল সেই সব কাজ করতো । সে সব কাগজপত্র রেডি করে নিয়ে , সরকারি অফিসে পারমিশন করাতে এল। কিন্তু পারমিশন দিল না।
তার কারণ , এই প্রোজেক্টের নিয়মমাফিক কোন কাজ হচ্ছে না।
এই সরকারি অফিসে , রাম আর বড় ভাই চাকরি করে, এবং সে খুব ঈমানদারই ছিল , এক কথায় বলতে পারো সৎ এবং সততার সাথে কাজ করতেন। আর তাই রোহিতের কাছে এসব প্রজেক্ট এর সব পারমিশন হয় এবং রোহিতের সই ছাড়া কেউ কোন প্রজেক্টে কাজ করতে পারে না।
প্রজেক্টটা পারমিশন হয়নি , শংকর ভাইকে বলল তার অ্যাসিস্ট্যান্ট, কি আমার প্রজেক্টে সই হয়নি। কোন অফিসার ছিল যে আমার প্রজেক্টে সই করেনি। ও কি আমাকে জানে না চেনে না। শংকর ভাইরে আছিস কি বলল ভাই ওকে আমি অনেক করে বলেছি কিন্তু শোনেনি, আমি অন্য অফিসারের কাছ থেকে শুনে এলাম ওই অফিসার সততার সঙ্গে কাজ করেন । ভাই বলল প্রজেক্ট এর কি প্রবলেম হয়েছিল , শংকর ভাইয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট বলল ভাই, আমাদের এই প্রোজেক্টের নিয়ম ছাড়া অনেক বেশি হাইট বিল্ডিং হচ্ছে। এবং তা ছাড়া এখানে কোন আগুন লাগল কোন ফায়ার ব্রিগেড পৌঁছাতে পারবে না ।
শংকর ভাই বলল , কি করে হোক আমার এই প্রোজেক্টের সই চাই, শংকর ভাই আবার তার অ্যাসিস্ট্যান্ট কে পাঠালো এবং এই প্রোজেক্টের ফাইল এর সঙ্গে ফাইভ লাখ টাকা পাঠানো প্যাক করে।
রোহিতের কাছে এলো, এবং প্রজেক্ট এর ফাইল টা দিল। রোহিত বললো সব ঠিক আছে তো, অ্যাসিস্ট্যান্ট টা বলল , হ্যাঁ স্যার সব ঠিক আছে সব ঠিক আছে , তারা আপনার পিসির জন্য আরো কিছু আছে স্যার , অ্যাসিস্ট্যান্ট টা ফাইল এর সঙ্গে 5 লাখ টাকা প্যাক সহ এগিয়ে দিল।
মৃত বলল এটা কি, অ্যাসিস্ট্যান্ট স্যার আপনার খুশির জন্য ভাই পাঠিয়েছে। রোহিত পয়সাটা এগিয়ে দিয়ে বলল, যে তোমার ভাইকে এটা দিয়ে তোমার ভাইয়ের খুশির জন্য আমি এটা দিলাম। এবং ফাইল টাও খুলে ফেলল । অ্যাসিস্ট্যান্ট টা বললাম , এর দাম আপনার দিতে হবে, রোহিত বললো এখনই এখান থেকে বেরিয়ে যান আরো দারুন ডাকবো।
অ্যাসিস্ট্যান্ট , শংকর ভাইয়ের কাছে গেল আবার , শংকর ভাই জিজ্ঞেস করল কিরে কাজ হয়েছে
অ্যাসিস্ট্যান্ট , না মানে না ভাই সই করেনি।
কি বললি সই করেনি , জোর গলায় বললেন শংকর ভাই , এবার বুঝতে পারছি এসব দাঁড়ানোর কাজ হবে না , ওকে অন্য ওষুধ দিতে হবে। অ্যাসিস্ট্যান্ট টা বলল , ভাই ভাই কি ওষুধ দিতে হবে , শংকর ভাই এক চড় মেরে বলল , আর একটা কথা বলবি না।
রামা এবং তার বড় ভাই বাড়িতে আছে, বড় ভাই পেপার পড়ছিল এবং ছোট ভাই টিভি দেখছিল । হঠাৎ তার বন্ধু আদি এসে ঘরের কলিং বেল বাজাচ্ছিল । তখন রোহিত বললো, দেখ তোর নিকাম্মা দোস্ত এসছে। দেখাবার তোদের কোথায় পার্টি আছে, রামা বলল তার বড় ভাইকে , আরে না দাদা আমাদের একটা ইম্পর্টেন্ট কাজ আছে।
রোহিত বললো , হ্যাঁ তোদের কি কাজ আমি ভালো করেই জানি। শুধু দিনরাত বাইক নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানো। রামা আলী কে বলল, চোখের ইশারা দিয়ে বলল চল চল । রামা এবং আদি দুজনে বেরিয়ে গেল।বাই ভাইয়া,
প্রতিদিনের মত আজও রোহিত অফিসে গিয়েছিল
এদিকে শংকর ভাই, তার টিমকে নিয়ে রোহিত কে কিডন্যাপ এবং তুলে আনার জন্য লোক পাঠায়,
রোহিত তার কাজ সেরে অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ রাস্তার মাঝখানে তাকে দাড় করিয়ে শংকর ভাইয়ের গুন্ডারা তুলে নিয়ে এলো।
রামা বন্ধুদের সাথে নিয়ে চায়ের দোকানে আড্ডা মারছিল।
রোহিতের অফিসে আর একজন অফিসার, আমাকে ফোন করল , রামা তোমার বড় ভাইকে কিছু লোক তুলে নিয়ে গেছে। কে ছিল তারা, কারা নিয়ে গেছে আমার বড় ভাইকে। …….
রামা তার বড় ভাইকে খোঁজার জন্য বাইক নিয়ে বেরিয়ে ছিল । কিন্তু কোথাও পাচ্ছিল না ।
শংকর ভাই বলল , এই এখানে সই কর, রোহিত বললো করবো না। শংকর ভাইদের হাতে বন্দুক তুলে তার কপালে ধরল , এবং বলল করবি না এক্ষুনি তোকে মেরে ফেলবো। তখন রহিদ হাসতে হাসতে বলল, তুই আমার কিছু করতে পারবি না ,
শংকর ভাই বলল, কোন হেরে তু , তোর কিছু করতে পারবোনা। শংকর ভাই কার টিমের কয়জন কে বলল মার ওকে,
শংকর ভাই আবার এখানে ঠাস করে চড় মেরে বলল সেই কর।
রোহিত বললো সই করবো না আমি, আমি মরতে হয় মরবো কিন্তু তুই বাচতে পারবি না ।
শংকর ভাই বললো কি বললি বল বল ।
আমার ভাই তোকে ছাড়বে না আমার ভাই তোকে মেরেই ফেলবে,
কে তোর ভাই ডাক ভাইকে , এই নে ফোন, ফোন কর তোর ভাইকে।
রোহিত রামাকে ভিডিও কল করলো, ভাইয়া তোমার কিছু হবে না আমি আসছি।
শংকর ভাই ওর হাত থেকে ফোনটা তুলে নিল
শংকর ভাই বলল, আয় আয় দম থাকলে তোর ভাইকে বাঁচিয়ে নিয়ে যা, দাড়া সালা আমি আসছি।
রামাগাড়ী নিয়ে বেরিয়ে পরলো
