নিঃসঙ্গ ২
নিঃসঙ্গ ২
মানুষ কখনো একা বাঁচতে পারে না।সত্যি কি তাই?
কিছু কিছু সময় আসে পাশের সবাই কাছে থাকার পরে ও নিজেকে খুব নিঃসঙ্গ মনে হয়। মনে হয় আমি খুব একা।.........
আমার বান্ধবী তুলি মনে আছে ওর কথা ওর কারনেই হয়তো প্রফুল্ল আর নীর এর দেখা। তুলির বিয়ে হয়ে গেছে ওর হাজব্যান্ড এর কাজের সূত্রে ওরা সহর ছেরে গ্রামে থাকে। আজ ওর সাথে দেখা করতে জাবো ট্রেন এ করে রেলস্টেশনএ দারাতে হঠাৎ মনে কেমন একটা অনুভূতি হচ্ছে। ভাবলাম আজ কি নীর এর সাথে আমার দেখা হবে ।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে হঠাৎ একটি গান মনে পরে গেল।
"ধরো যদি হঠাৎ সন্ধে তোমার দেখা আামার সঙ্গে।
মুখোমুখি আমরা দুজন".........
ভাবছি আজ হঠাৎ কেনো আমার এই গানটি মনে হলো। ট্রেন ছাড়ার সিগ্ন্যাল আমি ট্রেন এ উঠলাম ট্রেন চলছে ঝকঝকা ঝক শব্দে। ব্যাগ থেকে ডাইরি টা বের করলাম হাতে কলম নিয়ে লেখা শুরু কলাম আজ যদি নীর এর সাথে আমার দেখা হতো তাহলে আমি নীর কে একটি প্রশ্ন করতাম সেদিনের পর তুমি কোথায় চলে গিয়ে ছিলে নীর? সাতটি বছর পরে ও আমি আজো তোমার অপেক্ষায়।........
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে চলে আসলাম। ট্রেন থেকে নামতেই দেখি তুলি দারিয়ে আছে।
তুলি : কেমন আছিস?
প্রফুল্ল : ভালো।
অতঃপর আমরা কথা বলতে বলতে বাসায় চলে আসলাম। তুলির সথে দেখা হলো। তার পরদিন আবার রেলস্টেশনে চলে আসলাম। ট্রেন আরো কিছুখন পর ছারবে তাই দাঁড়িয়ে আছি হঠাৎ পা য়ের দিকে তাকিয়ে দেখি একটি ডাইরি। ডাইরিটা হাতে তুলে নিলাম প্রথমে ভাবলাম ডইরিটা পরা কি ঠিক হবে। আচ্ছা পরেই দেখি ডাইরিটা খোলার পর দেখি ডাইরিটা তে লেখা আছে
"প্রফুল্ল তুমি কষ্ট পেও না আমি যা করেছি তা তোমার ভালোর জন্যই।" লেখাটা পড়ে আমি অবাক হয়েছি কি করবো বুঝতে পারছি না পাসের দোকানদার কে জিজ্ঞেস করলাম এই ডাইরিটা কি কারো কাছে দেখেছেন সে বললো কারো কাছে তো দেখিনি তবে ঝালমুড়ি ওয়ালার হবে হয়তো। আমি বললাম এই ডাইরি ঝালমুড়ি ওয়ালার কেন হতে জাবে লোকটি বল্লো কেন আপা ঝালমুড়ি তো কাগজে দেওয়া হয়।
প্রফুল্ল: কোথায় সে ঝালমুড়ি ওয়ালা। তারপর ট্রেন এর সিগ্ন্যাল আমি ট্রেন এ না উঠে ঝালমুড়ি ওয়ালার খোঁজ করলাম।
প্রফুল্ল : আপনি এ ডাইরি টা কোথায় পেয়েছেন?
ঝালমুড়ি ওয়ালা: আপা আমি তো অনেক কাগজ সহর থেকে কিনে আনছি।
প্রফুল্ল : আমাকে ঠিকানা বলতে পারবেন?
ঝালমুড়ি ওয়ালা: জি।
তারপর অনেক খোঁজার পর অবশেষে খোঁজ পেলাম। কি কারন ছিল যা নীর আমাকে সেদিন বলতে পারে নি। ঠিকানা পেয়ে সেখানে চলে গেলাম একজন ভদ্র মহিলা দাঁড়িয়ে আছে ;আমি তাকে নীর এর কথা জিজ্ঞেস করলাম সে বললো নীর তো বেঁচে নেই সেতো সাত বছর আগে মারা গেছে।
প্রফুল্ল : কি হয়ে ছিল নীর এর?
ভদ্রমহিলা:ওর অনেক বর অসুখ হয়েছিল।
প্রফুল্ল চোখের জল ফেলে।
ভদ্রমহিলা : এ ডাইরিটা নীর এর। ও আমাকে ওর কথা কারো কাছে বলতে না করেছিলো।
প্রফুল্ল : নীর হয়তো এই কথাটাই আমাকে বলতে পরেনি। আমি ওকে অনেক খুজে ছিলাম।
প্রফুল্ল : নীর এর সাথে আমার হয়তো আর কখনো দেখা হবে না। হয়তো নিঃসঙ্গতাই আমার নিয়তি।
নিঃসঙ্গতা মানুষ কে কখনো কখনো নতুন করে বাঁচতে শিখায়। আবার কখনো কখনো অশ্রুজলে ভাসায়।.......