Saibal Ray

Drama Romance

3  

Saibal Ray

Drama Romance

হৃদয় যা চায়

হৃদয় যা চায়

7 mins
305



নদীর ওপারে আকাশজুড়ে লাল আভা ছড়িয়ে সূর্য ডুবিডুবি করছে। মৃদু বাতাস বইছে। জলের সাথে খেলা করছে গোধূলির রঙ। এপারে তিন বন্ধু রাণী, জয় আর আকাশ বসে বিকেলের আড্ডা মারছে। প্রতিদিন বিকেলবেলায় ত্রিমূর্তির এই নদীর ধারে মৃদু হাওয়া উপভোগ করবার নেশা চলছে গত কয়েকমাস ধরে। নদীর পাড় বরাবর বাঁধটির সর্বত্র সমান ঘাস গজায় নি। বেশিরভাগ জায়গাই ন্যাড়া। কিছু স্থানে পাথর ফেলে ভূমিক্ষয় রোধ করবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাণী, জয় এবং আকাশ অনেক খুঁজে, অনেক বেছে একটি স্থান আবিষ্কার করেছে যেখানে ঘাসের ঘনত্ব অনেকটাই বেশি। এবং সেখানেই তারা প্রতিদিন বসে আড্ডা মারে। পেছনে তিনটে সাইকেল পড়ে থাকে উদাসীনভাবে। আজও সেই একই দৃশ্য এবং একথা সেকথা ঘুরে জয় হঠাৎ বলল,

- ইয়ে, তোদের একটা কথা বলার ছিল। ফেস্টের প্রসঙ্গ যখন উঠলই তখন ভাবছি বলেই ফেলি। 

- কথা? কি কথা? (রাণী) 

-না মানে, হাউ টু পুট ইট ইন ফ্রন্ট অফ ইউ পিপল... (জয়) 

-কি পুট পুট করে যাচ্ছিস? বলেই ফ্যাল না। (রাণী) 

-না ইয়ে, তোরা আমার কথাটা সিরিয়াসলি নিবি তো? (জয়) 

-এই শোন! ধানাই পানাই না করে বলবি নাকি সাব্জেক্টাই ড্রপ করে দিবি? (আকাশ) 

-না না না, প্লিজ ওরকম করিস না। কাউকে কথাটা বলতে পারছি না। ভাবলাম একমাত্র তোদেরকেই বলা যেতে পারে - না তোদেরকে বলতেই হবে, হ্যাঁ বলতেই হবে। (জয়) 

- ওকে উই আর অল ইয়ার্স, আমরা রেডি। (রাণী) 

-আই থিঙ্ক আই হ্যাভ ফলেন ইন লাভ। (জয়) 

-হোয়াট? সে কি! কে? কোথায়? কবে? (আকাশ) 

-দাঁড়া দাঁড়া। লেট মি গেস। (চোখ বন্ধ করে)... উম্-ম্! (বিড়বিড় করে) -কুহেলী? নমিতা? রঞ্জনা? রিয়া? উঁহু!কোয়েল? বিপাশা? বি-পা-শা? বি-পা-শা... (চোখ খুলে বি-পা-শা বলতে বলতে জয়ের দিকে মাথা নাড়াতে নাড়াতে) প্রেস্টো! আই নো! ইট্স বিপাশা। রাইট? (রাণী) 

- হুঁ! বাব্বা! কি চোখ রে মেয়েদের, ঠিক ধরে ফেলেছে। হ্যাঁ ইট্স হার। (জয়) 

-না ধরার কি আছে? প্রেমে না পড়লে কেউ পরীক্ষার আগের দিন নোট আনতে বিপাশার বাড়ি ছোটে। (রাণী) 

-তাহলে আর দেরি কেন প্রোপোজ করে দে। (আকাশ) 

-ভাবছি এবার করেই দেব। কিন্তু কিভাবে করি বলতো?(জয়) 

-ভেরি সিম্পল। তুই আজ রাতেই জমিয়ে একটা চিঠি লিখে ফ্যাল। কাল তো ফার্স্ট পিরিয়ডের পরই ফেস্টের রিহার্সাল। সেখানেই কাজ সেরে ফেলবি। (আকাশ) 

- আর তার সাথে চাই একটা দারুণ গ্রিটিংস কার্ড আর একখানা রক্ত গোলাপ। (রাণী) 

-হবে তো? (জয়) 

-আলবাত হবে। (আকাশ ও রাণী)

পরদিন স্কুলে ফার্স্ট পিরিয়ডের পর সবাই আসতে শুরু করে দিয়েছে। পনেরো মিনিটের মধ্যে যে যার জায়গায় দাড়িয়ে গেল। ড্রাম্সে জয়, সিন্থেসাইজার আকাশ, গীটারে সৌভিক এবং মেঝের ঠিক মাঝে দাঁড়িয়ে বিপাশা। আকাশের পাশে দাঁড়িয়ে রাণী জিজ্ঞেস করল, 

-সবাই রেডি। 

-হ্যাঁ। (সকলে) 

-লেট্স স্টার্ট। ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর... (রাণী) 

কয়েক মূহুর্ত যেতে না যেতেই আকাশ চেঁচিয়ে উঠল, 

-স্টপ। (সবাই থেমে গেল) বিপাশা কি হচ্ছে এটা। স্টেপিঙে ভুল করছিস আর মুখে কোনো এক্সপ্রেশন নেই! 

-ওহ্! আই'ম রিয়েলি সরি। প্লিজ আরেকবার প্রথম থেকে। (বিপাশা) 

আবার কিছুক্ষণ রিহার্সালের পর, 

-না, বিপাশা, আজকে ঠিক তোর হচ্ছে না। সেই স্পনটেনেইটিটাই নেই। (আকাশ) 

-কেন রে? আমি তো চেষ্টা করছি। (বিপাশা) 

-উঁহু! তোর এন্থুটাই ফুটে উঠছে না ঠিক। অন্যদিন তোর আরও বেশি একটা ইয়ে (হাত মুঠো করে ওপরে ঝাঁকিয়ে) থাকে। (আকাশ) 

-ঠিক আছে। গিভ মি এনাদার চান্স। দেখি তোর সেই ইয়ে আনতে পারি কিনা! (বিপাশা) 

-ওকে, লেট্স স্টার্ট এগেইন। ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর... (আকাশ) 

আবার কিছুক্ষন পর, 

-ধুত্তেরি! কি হচ্ছে কি বিপাশা? হোয়্যার ইজ ইওর মাইন্ড?এত ভুল হচ্ছে কেন আজ? আর কয়েক সপ্তাহ পরেই ফেস্ট অ্যান্ড নাও দিস্।পচা টমেটো আর ডিমের ঢিল খাওয়াবি নাকি আমাদের? হোয়াট্স ইওর আইডিয়া, হাহ্? (আকাশ) 

বিপাশার চোখ মুখ লাল হয়ে উঠল। রাজু, মল্লিকা, শুভ, নাতাশা এরা জয়দেরই ক্লাসমেট- পাশে বসে রিহার্সাল উপভোগ করছিল। শুভ আকাশকে বলল, 

-ডোন্ট ওরি। বিপাশা ইজ দ্য বেস্ট। 

-আকাশ আবার ট্রাই কর। (মল্লিকা) 

- এবার হবেই। (সৌভিক) 

- ওকে, স্টার্ট এগেইন। (আকাশ) 

বলতেই বিপাশা রাণীকে বলল, 

-আমি একটু আসছি। 

বলে সে নিজের ব্যাগটা নিয়ে সোজা বাথরুমে ঢুকে গেল। সবাই একটু হাসিঠাট্টা জুড়ে দিল। একটু পরেই বিপাশা বেরোল। এক রাউন্ড রিহার্সাল শেষ হতেই, 

- ফাটাফাটি (চেঁচিয়ে/শুভ) 

-আকাশ আজ আমি আসিরে... একটু তাড়া আছে। (বিপাশা) 

পরক্ষণেই জয়ের দিকে চোখ যেতেই, সে আবার বিপাশাকে ডাকল, 

-বিপাশা একটু দাঁড়া। একটা কথা বলার ছিল। (আকাশ) 

তারপর জয়কে ধমকে বলল, 

-কি রে হাঁ করে দেখছিস কি? (আকাশ) 

জয় আর দেরি না করে ব্যাগের ভেতর থেকে চিঠি সমেত গ্রিটিংস কার্ড আর লাল গোলাপ বের করে হন্তদন্ত হয়ে 'শুভস্য শীঘ্রম' মন্ত্র জপতে জপতে বিপাশার সামনে গিয়ে হাতে তুলে দেবার সময় দেখতে পেল সে দাঁড়িয়ে আছে এস সি'র সামনে। এস সি মানে সমীর চ্যাটার্জী। স্কুলের ইংলিশ টিচার। পরণে তার আকাশ রঙের ফুল শার্ট আর কালো ফর্মাল প্যান্ট। রোদ একটু চড়া হওয়াতে সোয়েটার তার ডান কাঁধে ঝুলছে। হতভম্ব জয় চট করে গোলাপফুলসমেত হাতটাকে পেছনে নিয়ে গেল। আর গ্রিটিংস কার্ডটাকে দুমড়ে মুচড়ে পকেটে ঢুকিয়ে দিল। 

-স্যার, আপনি?! 

-তোমাদের কাজ কেমন এগোচ্ছে দেখতে এলাম। জয় তোমার হাতে ওটা কি? (সমীর) 

-না স্যার... মানে... স্যার আপনার জন্য। 

বলেই সে গোলাপটি স্যারকে দিতে উদ্যত হল। 

সমীর যেন একটু অন্যমনস্ক হয়ে ভাবতে লাগল, 

'যার জন্য এত করি সেই চায় না ফিরে।

অন্য সবাই মরে শুধু আহাউহু করে। '

রাণী এই সুযোগটাই কাজে লাগাল। 

-স্যার কিছু বল্লেন? (রাণী) 

- (চোখটাকে রাণীর দিকে নামিয়ে একটু ইতস্ততভাবে) কই না তো। 

সমীর এবার সরাসরি জয়কে জিজ্ঞেস করল, 

-গোলাপটা কাকে দেবার জন্য এনেছিলে?

জয় মাথা নিচু করল। রাণী আকাশ ও চুপ করে রইল। আর সমীরের আরেকপাশে দাঁড়িয়ে বিপাশা গোটা ব্যাপারটা ঠাহর করতে চেষ্টা করল। সবাই মুখে কুলুপ এঁটেছে। তাই আবার সমীর। 

-হৃদয় যা চায় তাই করো। গোটা জীবন পড়ে আছে ভাবনার জন্য। 

বলেই সমীর, জয় আর বিপাশার মাঝ থেকে সরে গেল। ঘুরে সে রওনা দিল। দরজা দিয়ে বেরিয়ে সে মিলিয়ে গেল দিনের আলোয়। বিপাশা অনেক কিছুই বুঝতে পারল না। কিন্তু অজান্তেই তার চোখ আটকে গেল জয়ের চোখে। রাজু, শুভ, মল্লিকা, নাতাশা, রাহুল, আকাশ সবাই যেন একটা ঘোরের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসল। বিপাশা আর জয় তখনও দুজনে দুজনের দিকে অপলকে চেয়ে আছে। রাণী আবার সরব। 

-কিরে বিপাশা, তুই যে বলছিলি তাড়া আছে? 

- হ্যাঁ, হ্যাঁ। বাই ফ্রেন্ডস্।

-বাই। (সকলে) 

সম্বিত ফিরে পেতেই বিপাশা বেরিয়ে গেল। বাকীরা ইন্সট্রুমেন্টগুলো গোছাতে শুরু করল।

আজ বিকেলেও যথারীতি তিন বন্ধু বেরিয়েছে সাইকেল চড়ে। তাদের সেই গন্তব্যে যাবার পথে শহরের জমজমাট বাজারের মোড়টা পড়ে। ভিড় খুব বেশি না হলেও, এই মোড়টুকু তিনজনই প্রতিদিন হেঁটে হেঁটে পার হয়ে আবার সাইকেলে চড়ে। পাশ দিয়ে স্লিভলেস টপ আর জিন্স পরিহিতা এক সুন্দরী যেতেই আকাশ তার দিকে তাকালো ঠিক যেভাবে অনেক ছেলেই তাকায়। জয়ও তাকালো। তবে জয় সব সময় এসব করে রানীর চোখ এড়িয়ে। যখন রানী আগুন চোখে আকাশের দিকে তাকালো, তারপর থেকে একের পর এক মূহুর্ত জয় কাজে লাগাতে লাগল। যখনই কোন সুন্দরী মেয়ে যাচ্ছে জয় একবার রানীকে দেখে নিয়েই কাজে লেগে পড়েছে। এদিকে বেচারা আকাশ একটি মেয়ের দিকে তাকিয়েই রানীর ফাঁদে। 

- মেয়ে দেখলেই ওভাবে তাকাতে হয়? অত কি আছে মেয়েদের মধ্যে? (রানী) 

- তা তো জানি না। কি রে জয় জানিস মেয়েদের মধ্যে কি আছে? (আকাশ) 


মাঝখানে রানী। ডানে আকাশ আর বাঁয়ে জয়। জয়ের পাশ দিয়ে ঠিক এই সময়েই আরেকটি বেশ সুন্দরী মেয়ে বেশ সাহসী মানে খোলামেলা পোশাক পরে যাচ্ছিল। জয় তার দিকে একটু হেলে গিয়ে শরীরের উপর চোখ রেখে আকাশের প্রশ্নের উত্তর দিল। 

- কত কিছু উ উ উ...। (জয়) 

-চোপ। যত্তসব। (রানী) 

- এই রানী। একটা কাজ করবি? (আকাশ) 

-কি কাজ? (রানী) 

- চল না স্যারের বাড়ি যাই। (আকাশ) 

- কোন স্যার, এস সি? (রানী) 

- আমিও ঠিক এই কথাটাই ভাবছিলাম জানিস। লোকটা কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং। (জয়) 

- চল তবে। আমি কিন্তু স্যারের বাড়িতে বসে বিকেলটাকে নষ্ট করতে পারব না। (রানী) 

-স্যারকে আমাদের ঠেকে নিয়ে গেলে কেমন হয়? (জয়) 

-গুড আইডিয়া ।(রানী ও আকাশ) 

-লেট্স গো। (রানী) 

বাজারের মোড় পেরিয়ে গেছে। তিনজনেই সাইকেলে চড়ল। প্যাডেলে চাপ দিয়ে বাঁদিকে ঘুরে একটি গলির মধ্যে ঢুকে গেল। পৌঁছে গেল সমীরের বাড়ির সামনে। কিছু বোঝবার আগেই, ওরা সমীরকে বের করে আনল। কোনোরকমে জুতো আর কোটটি চাপিয়ে সমীর বেরিয়ে আসল। 

- স্যার আপনাকে আজ একটা জায়গায় নিয়ে যাব চলুন। (রানী) 

- কোথায়? (সমীর) 

- আমাদের ঠেকে (বলেই সমীর জিভ কাটল)। 

-কি - ঠেকে? (সমীর) 

- কোন কথা শুনব না স্যার। যেতে হবে ব্যস্। (রানী) 

- এতো আচ্ছা মুশকিলে পড়া গেল। (সমীর) 

রানী আর সময় নষ্ট করল না। তার সাইকেলে ডবল ক্যারি করা যায় না। তাই সে সমীরকে বলল, 

- স্যার আপনি জয়ের সাইকেলটা নিন। আর জয় তুই আমারটা নে। আমি আকাশের সাথে যাচ্ছি ওর সাইকেলে। (রানী) 

 বলেই সে আকাশের সাইকেলের সামনে গিয়ে বসে পড়ে সমীরকে ডাকল।

- কি হল স্যার আসুন। (রানী) 

অগত্যা আকাশ রানীকে সামনে বসিয়ে নিয়ে সাইকেল চালাতে আরম্ভ করল। সমীর ও জয় দুজনে দুপাশে একসাথে চলতে লাগল। একটু পরেই তারা একটা বড় রাস্তায় এসে পড়ল। দুপাশে বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত। আর তার মাঝে চওড়া পিচের রাস্তায় বিকেলের সোনালী রোদ আছড়ে পড়েছে। পূব আকাশে সূর্য লাল হতে শুরু করেছে। ওরা চারজন তিনটি সাইকেল নিয়ে আপনমনে এগিয়ে চলেছে। 

- স্যার একটা কথা জিজ্ঞেস করব? (রানী) 

- কি কথা? (সমীর) 

- আপনি বিয়ে করেননি কেন? (রানী) 

- তাড়াহুড়ো করে আমি কিছু করি না। (সমীর) 

- এবার করে নিলেই তো পারেন। (রানী) 

- ভাবছি। (সমীর) 

- অত গম্ভীর হয়ে আছেন কেন বলুন তো। কোনোদিন বুঝি প্রেমে পড়েন নি, তাই না? (রানী) 

-কে বলল পড়িনি? (সমীর) 

মুখ ফসকে বলে ফেলেই সমীর আবার দ্বিগুণ গম্ভীর বনে গেল। সে রেগে গিয়ে বলল, 

- আমি তোমার টিচার। কি যা তা বকছ! (সমীর) 

- প্লিজ স্যার রেগে যাবেন না। (আকাশ) 

- আজ যখন আমার হাতে গোলাপ ফুলটা দেখে ফেলেছিলেন, আমি তো ভেবেছিলাম, স্যার, একটা বড়সড় কেস খাব। কিন্তু আপনি তো কিছুই বললেন না। তাই ভাবলাম... 

- (ক্রদ্ধভাবে)... তাই ভাবলে আমার সাথে যা ইচ্ছে তাই করা যাবে! (সমীর) 

- ... না স্যার... তা নয়। (জয়) 

- (জয়ের কথা কেড়ে নিয়ে)... আমরা ভাবলাম, আপনি টিচার হলেও অন্যরকম, বন্ধুর মত। আমাদের কথা একমাত্র আপনিই বুঝবেন।... তাই স্যার কিছু মনে করবেন না প্লিজ। (রানী) 

-উই আর ভেরী সরি।(আকাশ) 

-(শান্তস্বরে) ইট্স ওকে। 

 একটুক্ষন সবাই চুপ করে রইল তারপর সমীরই আবার শুরু করল। 

- একটা গল্প বলি তোমাদের, শুনবে? (সমীর) 

- হ্যাঁ স্যার। (তিনজনে) 

Discrete flashback with background speech

- একটি ছেলে রোজ স্কুলে যাবার পথে (সাইকেল নিয়ে) অপেক্ষা করত একটি মেয়েকে হৃদয়ের কথা বলবে বলে। কিন্তু কোনোদিনই বলা হত না। কোনোদিন সাহস হতো না, তো কোনোদিন হৃদয়কে শক্ত করে এগোতেই দেখে পেছনে আসছে গোপাল (মণীষার বাবা)। আর একদিন তো কুকুর তাড়া করেই সব মাটি করে দিল। 

 এরকমই আরেকদিন ছেলেটি সাইকেল চালিয়ে স্কুল থেকে ফিরছিল। 

Total flashback

 মাঝপথে ছেলেটি দেখল সেই মেয়েটি হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছে। স্কুলব্যাগটা একটু দূরে মাটিতে পড়ে আছে। সে সাইকেলটা ফেলে এগিয়ে গেল। ব্যাগটা তুলে দিল মেয়েটির হাতে। মেয়েটি হাত বাড়িয়ে ব্যাগটা নিয়ে ওঠবার চেষ্টা করল। কিন্তু মেয়েটির কষ্ট হচ্ছে দেখে ছেলেটি হাত বাড়িয়ে দিল। মেয়েটি উঠে এল। ছেলেটি সাইকেলটি তুলে মেয়েটিকে বলল, 

-চল পৌঁছে দিচ্ছি। (ছেলেটি) 

-না ঠিক আছে। (মেয়েটি) 

 এরপর ছেলেটি একটু এগিয়ে গিয়ে দাঁড়াল। মেয়েটির হাঁটতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। তাই আবার সে বলল, 

- অনেক হয়েছে, এবার উঠে পড়। (ছেলেটি) 

এবার আর সে না করল না। চড়ে বসল ছেলেটির সাইকেলে।


                                                ... to be continued. 


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama