STORYMIRROR

Biswajit Halder

Drama Romance Others

4  

Biswajit Halder

Drama Romance Others

একান্নবর্তী

একান্নবর্তী

4 mins
24

 একান্নবর্তী পরিবার বর্তমানে সমাজে খুব বেশি দেখা যায় না। কিন্তু সমস্ত টিভি সিরিয়াল, সিনেমাতে তা দেখা যায় সর্বদাই। একান্নবর্তী গল্পের মূল বিষয় হলো একত্রে থাকা। এই পরিবারের আরেকটি নাম হলো যৌথ পরিবার ।এই গল্পের মূল বিষয় হল একটা সুখী যৌথ পরিবার বিভিন্ন কারণে একক পরিবারে পরিণত হয় । আর কিভাবে বা এই পরিবারের পুনর্মিলন ঘটবে । বড়দের প্রণাম এবং ছোটদের ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করছি আমার দ্বিতীয় ধারাবাহিক গল্প "একান্নবর্তী" সকলের কাছে গল্প টি পড়ার অনুরোধ রইলো এবং রিভিউ দিতে ভুলবেন না ।গল্পটি কেমন হয়েছে ,তা অবশ্যই জানাবেন।

         

           🙏 পরিচয় পর্ব 🙏

কলকাতা শহরের কাছে মৌরিগ্রাম সেখানে মৌরিপাড়ায় রয়েছে দত্ত বাড়ি। এটাই একমাত্র এই পাড়ার যৌথ পরিবার ।এখানে তিন প্রজন্ম একসঙ্গে বসবাস করে। দত্ত বাড়ির কর্তা মধুমিলন দত্ত বয়স ৬০ বছর তার দাড়ি এবং মাথার চুল সাদা হয়ে গেছে। তিনি খাঁটি বাঙালির মতো ধুতি আর পাঞ্জাবি পরেন সাদা রঙের। বাড়ির গিন্নি উমারানি দত্ত। উমারাণী এবং মধুর মিলন বাবুর চার ছেলে সুরেশ ,রমেশ, কমোলেশ ও রাজেশ, আর তাদের দুই মেয়ে গঙ্গা আর যমুনা। মধুমিলন বাবুর হোটেলের ব্যবসা আছে। পাঁচটি শহরে আর কলকাতা শহরে ফাইভ স্টার হোটেলে আছে। সুরেশ পাঁচটির মধ্যে দুটি হোটেলের কাজ করে আর তার নিজস্ব একটি মশলার দোকান আছে।

সুরেশের স্ত্রীর নাম রত্না। তাদের দুই ছেলে মেয়ে স্নেহা এবং নিখিল। নিখিলের বয়েস ২৭ বছর তার স্ত্রীয়ের নাম লক্ষী। নিখিল একটি ব্যাংকে চাকরি করে। তাদের একটি ছেলে রয়েছে যার নাম নিলয় বয়স চার বছর। স্নেহার বয়স ১৮ বছর সে এখন কলকাতায় থাকে ।সে ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করছে।। মেজো ছেলে রমেশ অন্য দুটি হোটেল চালায় তার স্ত্রীর নাম মায়া। মায়া আর সুরেশের কোন সন্তান হয়নি এখনো। সেজে ছেলে কমলেশ শেষ একটি হোটেল সামলায় আর আচারের ব্যবসা আছে নিজস্ব। তার স্ত্রীর নাম সোমা। এদের তিন সন্তান দুই ছেলে এবং এক মেয়ে ।ছেলে দুটি নাম জয় ও অজয় তারা দুজনেই সমবয়সী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ছে। তাদের মেয়ে জয়া ক্লাস ইলেভেনে পড়ে।একান্নবর্তী পরিবার বর্তমানে সমাজে খুব বেশি দেখা যায় না। কিন্তু সমস্ত টিভি সিরিয়াল, সিনেমাতে তা দেখা যায় সর্বদাই। একান্নবর্তী গল্পের মূল বিষয় হলো একত্রে থাকা। এই পরিবারের আরেকটি নাম হলো যৌথ পরিবার ।এই গল্পের মূল বিষয় হল একটা সুখী যৌথ পরিবার বিভিন্ন কারণে একক পরিবারে পরিণত হয় । আর কিভাবে বা এই পরিবারের পুনর্মিলন ঘটবে । বড়দের প্রণাম এবং ছোটদের ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করছি আমার দ্বিতীয় ধারাবাহিক গল্প "একান্নবর্তী" সকলের কাছে গল্প টি পড়ার অনুরোধ রইলো এবং রিভিউ দিতে ভুলবেন না ।গল্পটি কেমন হয়েছে ,তা অবশ্যই জানাবেন।

         

           🙏 পরিচয় পর্ব 🙏

কলকাতা শহরের কাছে মৌরিগ্রাম সেখানে মৌরিপাড়ায় রয়েছে দত্ত বাড়ি। এটাই একমাত্র এই পাড়ার যৌথ পরিবার ।এখানে তিন প্রজন্ম একসঙ্গে বসবাস করে। দত্ত বাড়ির কর্তা মধুমিলন দত্ত বয়স ৬০ বছর তার দাড়ি এবং মাথার চুল সাদা হয়ে গেছে। তিনি খাঁটি বাঙালির মতো ধুতি আর পাঞ্জাবি পরেন সাদা রঙের। বাড়ির গিন্নি উমারানি দত্ত। উমারাণী এবং মধুর মিলন বাবুর চার ছেলে সুরেশ ,রমেশ, কমোলেশ ও রাজেশ, আর তাদের দুই মেয়ে গঙ্গা আর যমুনা। মধুমিলন বাবুর হোটেলের ব্যবসা আছে। পাঁচটি শহরে আর কলকাতা শহরে ফাইভ স্টার হোটেলে আছে। সুরেশ পাঁচটির মধ্যে দুটি হোটেলের কাজ করে আর তার নিজস্ব একটি মশলার দোকান আছে।

সুরেশের স্ত্রীর নাম রত্না। তাদের দুই ছেলে মেয়ে স্নেহা এবং নিখিল। নিখিলের বয়েস ২৭ বছর তার স্ত্রীয়ের নাম লক্ষী। নিখিল একটি ব্যাংকে চাকরি করে। তাদের একটি ছেলে রয়েছে যার নাম নিলয় বয়স চার বছর। স্নেহার বয়স ১৮ বছর সে এখন কলকাতায় থাকে ।সে ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করছে।। মেজো ছেলে রমেশ অন্য দুটি হোটেল চালায় তার স্ত্রীর নাম মায়া। মায়া আর সুরেশের কোন সন্তান হয়নি এখনো। সেজে ছেলে কমলেশ শেষ একটি হোটেল সামলায় আর আচারের ব্যবসা আছে নিজস্ব। তার স্ত্রীর নাম সোমা। এদের তিন সন্তান দুই ছেলে এবং এক মেয়ে ।ছেলে দুটি নাম জয় ও অজয় তারা দুজনেই সমবয়সী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ছে। তাদের মেয়ে জয়া ক্লাস ইলেভেনে পড়ে।উমারানী এবং মধুরমিলন বাবুর দুই মেয়ে গঙ্গা এবং যমুনা। গঙ্গার বিয়ে হয়েছে একজন পুলিশ অফিসার সুনীলের সঙ্গে, তারা খর্দায় থাকে।

তার তুই মেয়ে সানিয়া আর তানিয়া এরা দুজন জমজ এবং দুজনেই নাইনে পড়ে। আর ছোট মেয়ে যমুনা পালিয়ে বিয়ে করেছে একজন বেকার ছেলে বিমলের সাথে। তাদের বিয়ে এই বাড়ির লোকেরা মেনে নেয়নি। যমুনার সাথে এই বাড়ি কারোর কোন যোগাযোগ বা সম্পর্ক কিছুই নেই।

আর এই বাড়ির ছোট ছেলে রাজেশ কলকাতার ফাইভ স্টার হোটেলটা চালায় এবং পড়াশোনা করে সেখানেই থাকে ।রাজেশ এই গল্পের নায়ক বা প্রধান চরিত্র। রাজেশ ফর্সা ,লম্বা ,মুখে চাপদাড়ি, গায়ে নীল রংয়ের শার্ট ও ব্লাক কালারের জিনস, হাতে স্মার্ট ওয়াচ ,ও চোখে চশমা।


         🌹🏠 গল্পের আরম্ভ🏠🌹

    

 দত্তবাড়ি তিনতলা ,নিচের তলায় বড় বৈঠকখানা সেখানে বাড়ির বড়রা সবাই উপস্থিত, কেউ চেয়ারে কেউ বা টুলে বসে । বড় বউ আর মেজে বউ চা আর বেগুনি নিয়ে আসে আর সেজ বউ চানাচুর দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে নিয়ে এসে সবাইকে দেয়।

বড় বউ বলে-সকলের জন্য গরম গরম বেগুনি আর চা।

মধুমিলন বাবু চায়ে চুমুক দিয়ে বলেন-  আমরা সবাই এখানে কেন জড়ো হয়েছি? সবাই নিশ্চয়ই জানো, আশা করছি।

মেজ বউ একটু বোকা বোকা প্রশ্ন করে অনেক সময় তেমনি এই সময় বলে উঠলো-বাবা আমরা বুঝি এখানে তেলেভাজা আর চা খাব বলে ,সবাই জড়ো হয়েছি।

মধুমিলন বাবু আর সকলে হাসে শুধু বড় ছেলে সুরেশ চুপ করে থাকে।

সুরেশ বলে-তোমরা একটু চুপ করবে, এবার কাজের কথাটা বলতো দেখি, এবার মা অন্নপূর্ণার পুজোয় কি কি করা হবে?

উমারাণী বলেন-সবকিছু ঠিক করা হবে তার আগে ছোট খোকা আসুক, বড় বৌমা ছোট খোকা কে ফোন করো দেখতো সে কত দূর?

বড় বৌমা-হ্যাঁ, মা আমি এক্ষুনি ফোন করছি।

এই সময় রাজেশ বাড়িতে ঢুকেই বলে-এইতো আমি চলে এসেছি তোমরা মিটিং শুরু করো ,আমি হাতমুখ ধুয়ে আসছি।

এই বলে রাজেশ বেগুনি তুলতে যাবে তখন বড় বউ তার কাছ থেকে বেগুনির প্লেট সরিয়ে নিয়ে বলে-যাও ,আগে গিয়ে হাতমুখ ধুয়ে এসো।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama