যে ঘরে তোরা রেখে চলে গেলি
যে ঘরে তোরা রেখে চলে গেলি
যে ঘরে তোরা রেখে চলে গেলি
অনীক পিলসীমা
একদিন শিক্ষা এসেছিলো ঘাত-প্রতিঘাত ঈর্ষা হয়ে,
কাজল পড়েছিল কলেজ ইউনিয়ন উত্তেজনা,
মুখে লিপস্টিক হেসেছিল স্বাধীনতা মিথ্যে,
কোনঠাসা হয়েছিল বই-খাতা দ্বান্দ্বিকতা।
তখন তোদের চোখ, দু-চার ক্লাস ফাঁকির নির্ভেজাল আড্ডা,
তখন তোদের মাংসপেশি, রোববার সকাল উন্মাদনা,
তখন তোদের চুল, ময়দান চত্বর উন্মুক্ততা,
তখন তোদের স্নায়ু, প্রিন্সেপ ঘাট মাদকতা।
তোরা ছুটে এলি লাইব্রেরি-ক্যান্টিন পেরিয়ে,
পেরিয়ে এলি রাজনৈতিক স্লোগান, ম্যাগাজিন, ধর্না।
হ্যাচকা টানে চেপে ধরলি আমার হাত,
টেনে নিয়ে গিয়ে বন্ধ করে দিলি দরজা।
যে ঘরে তোরা রেখে চলে গেলি,
সেই ঘরে তখন গিজগিজ করছে অসামাজিক শব্দচয়ন,
ফুলে ফেঁপে উঠছে স্যাতসেতে বিদ্রোহ স্লোগান দেওয়াল,
চোখ কান মুখ চেপে বসে আছি আমি,
চোখ, কান, মুখ চেপে বসে ছিল সূর্যাস্ত ছাঁদ, জঠর ঘ্রাণ ভালোবাসা।
তারও এক সেকেন্ড শতবর্ষ পরে প্রগতি এলো অগ্রগতির নিন্দে হয়ে।
মানুষের মুখে মুখে ঘুরলো অসম, সংখ্যালঘু, দুর্ভিক্ষ - উৎসাদিত বিদেশি কর্পোরেট আড্ডা।
চুপি চুপি আরো এক হিরোশিমা ঘটালো a.i. বাইসাইকেল thieves .
সমালোচনার ইন্সটা স্টোরি হলো আত্মহত্যার ক্যামেরাবন্দি দুশো আরশোলা।
তখন তোদের চোখ, সার্জিকাল knife নৈতিকতা।
তখন তোদের মাংসপেশি, অপ্রমাণিত সত্য virality.
তখন তোদের চুল, নিস্তেজ নগর একাকিত্ব।
তখন তোদের স্নায়ু, হিপোক্রিট মেকআপ সরলতা।
তোরা হেঁটে এলি গ্রিন চেম্বার, ইকো-করিডোর পেরিয়ে,
পেরিয়ে এলি, বায়ো-engineered শৈশব, ক্লাউড-বাস্তব খেলা।
আলতো টানে চেপে ধরলি আমার হাত।
ভুলিয়ে নিয়ে গিয়ে বন্ধ করে দিলি দরজা।
যে ঘরে তোরা রেখে চলে গেলি,
সেই ঘরে তখন ঝাঁপ মেরে প্রাণ খোয়ায় নকশাল-ঘোর জেনেটিক অবিবর্তন।
নিউরন প্রশাখায় অনুকরণ ঘর বানায় V.R. ফন্দি মিয়োসিস।
মুখ, হাত, বুক ধরে সৃষ্টি দেখি আমি।
মুখ, হাত, বুক ধরে সৃষ্টি দেখে দেহ-দম্ভ, অসঙ্গত শিকড়-যোনি ঈশ্বর আত্মা।
তারপর ঘর বেঁধেছি বহু, অবলীলায়।
অন্তহীন স্ক্যালেবলে ঘর বেঁধেছে, শ্রান্ত বিকেল দীর্ঘ অপেক্ষার আমায়।
তোরা ছুটে এসেছিস,
তোরা হেটে এসেছিস,
তোরা গুটিয়ে এসেছিস,
হয়ত বা ভুলেও এসেছিস,
এরকমই ঘরবন্দি মিনারেল, ফসিল, সোলার আমি - তোরা ফেলে এসেছিস।
এভাবেই এক মিলিসেকেন্ডের লক্ষ-বছর ঘর, তোরা গড়ে এসেছিস।
