চিনেছি তোমাকে বাইশের চোখে
চিনেছি তোমাকে বাইশের চোখে
প্রিয় রবীন্দ্রনাথ,
এ প্রশ্ন করো না যেন শ্রিচরণেশু কেন লিখলাম না
বাইশের এত স্পর্ধা নাকি ভালবাসা ?
একশো পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গিয়েছে
পালটে গেছে আবীরের গন্ধ থেকে ফুলঝুরির রঙ
যোগাযোগের মাধ্যম থেকে পরিবহনের ভাষা
তবুও তোমার অতলান্ত বার্তাগুলি
আজও আমায় দুরন্ত থেকে শান্ত করে,
ক্লান্ত থেকে উচ্ছাস, তখনি মনে হয়,
কতখানি অনিবার্য তুমি আমার জীবনে।
আমি তো ভারতবর্ষেই থাকি,
তবুও এখানে বাংলা ভাষা গ্রহণের চাঁদ
তবুও বাংলা ভেঙেছে জ্যোৎস্নার বাঁধ
সময় ভেঙেছো তুমি, তাই এত আধুনিক
কলার টিউনে আছ, গুগল সের্চেও
কতখানি কষ্ট হলে সে মানুষ
প্রতিটি ঋতু তে, মৃত্যু তে কবিতা লেখে
অমরত্ব তুচ্ছতা ভেবে ছুয়ে ফেলে আগুন
আগুনের পরশমনি যে ভাবে ছাড়িয়ে দাও
আমাদের প্রাণে , গিটারের স্ট্রিংয়ে
প্রতিটি সকালে সাদা নয় , কালো দারিওয়ালা
যে মানুষটি শীত- বৃষ্টি মেখে
চলে যায় প্রকৃত প্রকৃতি সন্ধানে
সে কি তুমি, সত্যি বল, বুকে হাথ রেখে
আমি তো চিনেছি তোমাকে,
বাইশের চোখে -