আবছায়া
আবছায়া
হঠাৎ করেই আবার আমার দুচোখ জুড়ে
গঙ্গা-যমুনার খেলাঘর,
ভারী মিষ্টি লাগে-
কখনও মনে হয়, শীতল গাঢ় তন্দ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে
জীবনের শেষ শ্বাসটাও বইতে দিই
এক নিবিড় সন্ধ্যার গাঢ় মহিমায়।
আবার মনে হয়, জরাজীর্ণতার মায়া অতিক্রান্ত করে
যে প্রস্তর আবার দেখতে শুরু করেছে
নতুন দিবসের আবছায়া মাড়ানো স্বপ্ন,
তার ধৃষ্টতাকেও সম্মান জানানোর প্রয়োজন আছে।
কবিত্ব হারিয়েছি,
কবিতাগুলিও তাই বানভাসি দ্বীপের মতোই ছন্নছাড়া,
আবেগের বাঁধ কাটিয়ে অশ্রু হয়ে ঝরে পড়তে চায়,
বলে যায়, এসব তো সুখ---সুখ!!!
দুঃখ বলে তো কিছু হয় না, কিছুই না..
একলা থাকার অভ্যেসে একলা ঘর, দুহাত বাড়িয়ে
আমায় খুঁজতে আসে সুদূরের শেষ সীমান্ত থেকে।
পেন্ডুলাম হঠাৎ করে স্তব্দ্ধ হয়ে যায়,
দেখি, চোখের সম্মুখে বিলীন হয়ে যাচ্ছে
আমার ভিনতারার আশা-
শুনেছ তো, আগামী আমায় গ্রাস করতে পারেনি,
পারেনি অনুভূতির মুখে আগুন ধরিয়ে
বাসস্টপে দাঁড়িয়ে থাকা বৃষ্টিকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে...
অতীতের বাহুডোরে মুখ লুকিয়ে ফেলি,
পুরাতন কাগজে তৈরি চিঠির মোড়ক কাছে আসে,
পথের বাঁকে, এক নতুন রহস্যের সন্ধানে।
