সুটকেস উদ্ধার
সুটকেস উদ্ধার


বেডরুমের নরম বিছানায় বসে আছে মল্লিকা। আজ থেকে মল্লিকা ঈশানের সঙ্গে লিভিং রিলেশনের শুরু করতে যাচ্ছে। ঈশানের সাথে মল্লিকার দেখা হয়ে ছিল একটা নাইট ক্লাবে, বলতে গেলে ১৫ দিন আগে। মল্লিকার মিষ্টি ব্যবহার আর রূপের জাদুতে ঈশান সেন ফিদা হয়ে যায়। কয়েক দিন যেতে না যেতেই প্রপোজ পর্যন্ত করে ফেলে। মল্লিকা অবশ্য হ্যাঁ বলে দিয়েছিল,কারণ মল্লিকা খুব ভালো করেই জানত ঈশান মেয়েদের প্রতি একটু বেশি দুর্বল।
একটা হালকা নেটের লাল রঙের শাড়িটা তে মল্লিকাকে অসম্ভব মোহময়ী লাগছে। ঘরটা মোমবাতির আলোয় অন্যরকম লাগছে। রহস্যময়ী চোখটা চারিদিকে ঘুরিয়ে নেয় একবার মল্লিকা। হঠাৎ করে দরজার শব্দ হতে সজাগ করে বসে, মুখে হাসি নিয়ে ঈশান ঘরে ঢুকে এসে দরজাটা বন্ধ করে দেয়। খুব ধীর পায়ে বিছানার দিকে এগিয়ে আসে, এদিকে মল্লিকার হার্টবিট দ্রুতগতিতে বাড়তে লেগেছে। একটা কথা মানতেই হবে ঈশান সেনের মতো এমন সুদর্শন পুরুষ সামনে থাকলে যে কোন মেয়েই দুর্বল হতে বাধ্য। তবে মল্লিকা সবার থেকে আলাদা, ঈশান বিছানার উপর শুয়ে পড়ে তারপর মল্লিকার হাত ধরে টেনে নিজের বুকের উপর ফেলে দেয়। মল্লিকা জোর করে হাসার চেষ্টা করছে তারপর ঈশান মল্লিকাকে বিছানার ওপর শুয়ে নিজে ওর উপর চড়ে বসলো। মল্লিকা মিষ্টি হেসে ঈশানের গালে হাত দিয়ে বলে,,,,
ঈশান যাও ফ্রেশ হয়ে এসো....! আই এম ওয়েটিং ফর ইউ।
ওকে ডার্লিং জাস্ট টেন মিনিট ! যাব আর আসব।
ঈশান মল্লিকার হাতে আলতো করে কিস করে বিছানা থেকে নেমে ওয়াশরুমে চলে যায়। এবার মল্লিকা তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে নিজের শাড়িটা ঠিক করে, কোমরে আঁচলটা খুঁজে নিয়ে ওয়াশরুমের দরজাটা বাইরে থেকে লক করে দেয়।তারপর রুমের প্রত্যেকটা জায়গা তন্ন তন্ন করে কিছু খুঁজতে লাগল। কিছুক্ষনের মধ্যেই একটা বড় সুটকেস খাটের তলা থেকে উদ্ধার করল। এমনকি আলমারির ভেতর থেকেও একটা সুটকেস পায়। রাগে মল্লিকার দাঁতের চোয়াল দুটো শক্ত হয়ে গেছে, সুটকেস গুলো খুলে একবার চেক করে নিলো, যা সন্দেহ করেছিল সেটাই ঠিক। ফোনটা হাতে নিয়ে একটা নাম্বার ডায়াল করে বলল,,,,,
স্যার আমার কাজ কমপ্লিট ! ঈশান সেনই ড্রাগ পাচারের সঙ্গে যুক্ত আছে।
ফোনটা রেখে বুঝতে পারল ঈশান ওয়াশ রুমের দরজায় ধাক্কা ধাক্কি করছে। ঠিক তখনই মল্লিকা দরজাটা খুলে দিতেই বাইরে থেকে কয়েকজন লোক রুমের ভেতর ঢুকে আসে। তারপর মল্লিকা মুচকি হেসে ওয়াশরুমের দরজা খুলে দেয়, ঈশান মল্লিকার দিকে এগিয়ে আসতে যাবে তখনই দেখে ৫ জন লোক দাঁড়িয়ে। মল্লিকা মুচকি হেসে একটা কার্ড হাতে নিয়ে বলে,,,,
ইউ আর ফিনিশড ঈশান সেন ! আই এম মল্লিকা চৌধুরী সিআইডি অফিসার।
ইউ আর আন্ডার এরেস্ট ঈশান সেন ! পাশ থেকে একজন অফিসার বলে ওঠে।
হোয়াট...? ঈশান জোর গলায় বলে ওঠে।
ঈশানের কোন কথা না শুনে, পুলিশ অফিসাররা ওকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে চলে যান। মল্লিকা বড় একটা স্যুটকেসটা হাতে নিয়ে ওদের পেছন পেছন বেড়িয়ে আসে। আর মনে মনে বলে “ অপরাধীদের শাস্তি এই মল্লিকা যেকোন উপায়ে দিতে পারে। হাহাহাহা ! ”