- : সংগ্রামী শৈলেন : -
- : সংগ্রামী শৈলেন : -
শৈলেন প্রতিবন্ধী ছেলে ২০০২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিল তার মা নাম বন্দনা মন্ডল তার বাবার নাম অনিল মন্ডল তার বাবাকে মেরে বার করে দিয়েছে ওর কাকারা সেদিন থেকে ওরা দক্ষিণ ২৪পরগনা ডায়মন্ড হারবার স্টেশন ওদের ভাড়া ঘর চালানোর জন্য কোনো টাকা ছিল না। তখন ওর মা বাবাকে বললো যে দুজনে মিলে ঠাকুর করলে ভালো হবে ওর বাবা তখন বললো জায়গা ও মাটি কথা থেকে পাবো? তখন ওর মা বললো কাউকে জিজ্ঞাসা করো যে কারোর ঘর ও জমি ভাড়া দেয় কিনা। ওর বাবা বললেন যে যদি ভাড়া নিলে আগাম টাকা জমা দিতে হবে আর প্রতি মাসে ভারা দিতে হবে তখন ওর মা বললো। যে আমার কানের, হাতের আছে ওই গুলো বিক্রি করলে অনেক টাকা পাবো। তখন ওর মায়ের কানের, হাতের খুলে দিল ওর বাবার হাতে তখন ওর বাবা বললো যে এগোল বিক্রি করলে কত পাবো? ওর মা বললো পাঁচ, ছয় হাজার টাকা পাওয়া যাবে তখন ওর বাবা বললো যে কত দিন চলবে এই টাকায়।
তখন একজন লোক ওদের কথা সব শুনে ওদের কাছে এসে বললো যে দুজন মিলে দূর্গা প্রতিমা বানানো কাজ করবে? ওর বাবা ও মা বললো হ্যাঁ করবো।ওই লোকটা বললো যে থাকার জন্য ঘর দেবো মাসে মাসে প্রায় দশ হাজার টাকা করে দেবো। ওই লোকটা বললো চলো আমার বাড়িতে ওরা তিনজন মিলে ওই লোকটার গ্রামের বাড়ি নাম ভবানীপুর বাড়িতে গেল লোকটা বললো এক মাসের টাকা আগাম দিয়ে দিলাম আমি তোমরা পরশুদিন থেকে কাজ শুরু করে দাও।রবিবার করে ছুটি এই দুই দিনের মধ্যে খাট বিছানা, স্টপ, চাল ও আলু, মালমশলা কিনে নাও। তাঁর পর বেশ কিছু বছর পর শৈলেনের বয়স ৫ বছর তাঁর পর শৈলেনের বাবা ও মা মিলে শৈলেনকে ওই গ্রামের বাংলা মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করে দিল। তখন থেকে ওর মা ওর কাছে থাকতো আর ঘরের কাজ করতো আর ওকে নিয়ে স্কুলে নিয়ে যেতো।শৈলেন পড়াশনা দিক থেকে অনেক ভালো ছিল আর দাবা খেলার পটু ছিল। ও যখন ক্লাস ৫ উঠলো তখন থেকে ওর মায়ের শরীর খারাপ হতে শুরু হল। তখন শৈলেন হাতে র কাজ করে বিক্রি করত। একদিন ওর কাছে বড়োলোকের একটা ছেলে এসে বললো যে তুমি আমাদের ফার্মে কাজ করবে তখন শৈলেন বললো হ্যাঁ করবো। ওই বড়োলোকের ছেলেটা বললো যে ঠিক আছে এখান থেকে আমাদের ফার্মে লোকেরা কাজ গুলো নিয়ে যাবে।ওই ছেলে টা আগাম এক লক্ষ টাকা দিয়ে গেল তখন ওর বাবা বললো ওই লোকটাকে যে আমি আর ঠাকুরের কাজ করবো না। ওই লোকটা তখন বললো কেন? তখন শৈলেনের বাবা বললো যে দাদা আমার ছেলে তো একা কাজ করে তাই আমি ওকে সাহায্য করতে চাই ওই জন্য কাজ করতে পারবো না আমাকে ক্ষমা করবেন। আগের মালিক বললো ঠিক আছে আমার কোনো সমস্যা নেই। তখন থেকে শৈলেনের বাবা শৈলেনের সাথে কাজ করতে শুরু করলো।
