শারদীয়া
শারদীয়া


বাতাসে বিরহ বৃষ্টিতে মিশে যায় ক্ষত।
নীরবতা ঘিরে আছে। খালি আজ সোহাগের কোল'ও
কিছুদিন সাথে থেকে দূরে চলে গেছো ক্রমাগত।
শারদীয়া, দুজনের দেখা নেই কতকাল বলো?
আমরা দুজন অন্যদিকে হাঁটি। পড়ে থাকে ক্লান্ত বীণা।
ভাগ্যের সব সুখ মুছে, দোষটুকু কুড়িয়েছে গ্রহ।
বিষাদ বেড়েছে যতো, তত রোজ কমে গেছে ঘৃণা,
কতটা দূরত্বে গেলে, কেটে যায় সমস্ত মোহ।
দশটা পূজো একলা থাকার পরে, আজকের কাছে এলে তুমি,
সেই কবেই গল্পটার শেষে, মুছে গেছে ঠোঁটেদের আয়ু।
শারদীয়া তুমি আনো যতটা খুশির মৌসুমী -
ভাসানে দিয়েছিলে তারও বেশি হতাশার বায়ু।
বাতাসে বিষাদ জমে, মেঘগুলো পরিণত, দুখী।
মূহুর্ত ফেলে তুমি ধীরে ধীরে চলে যাও হেঁটে।
আটকানোর অধিকার নেই, তাই চলে যাওয়াতেই সুখী।
হাতে লেখা প্রেমগুলো বিলিয়ে বেড়াই লিফলেটে।
অভিমান আরো যাবে বেড়ে, হয়ে যাবে সব স্মৃতি ম্লান।
গাঢ় হবে প্রতিবার পূজোয় "শুভ শারদীয়া" বলে অপমান।