The Stamp Paper Scam, Real Story by Jayant Tinaikar, on Telgi's takedown & unveiling the scam of ₹30,000 Cr. READ NOW
The Stamp Paper Scam, Real Story by Jayant Tinaikar, on Telgi's takedown & unveiling the scam of ₹30,000 Cr. READ NOW

Ariyam Bhattacharya

Inspirational

2  

Ariyam Bhattacharya

Inspirational

প্রায়শ্চিত্ত

প্রায়শ্চিত্ত

8 mins
668


খুব সম্ভবত ২০১১ এর অগাস্ট মাস। ঘোর বর্ষা। একটানা বৃষ্টিতে সারাটা দিন ঘরবন্দি থেকে শেষটায় বিরক্ত হয়ে সন্ধ্যের বেশ খানিক আগেই গেলাস নিয়ে বসে পড়লুম। স্বগতোক্তির মতো বলেছিলুম এই একঘেয়ে বৃষ্টি।জঘন্য।এভাবে কাহাতক মানুষ বাড়ীতে বসে পচতে পারে। গেলাসের বরাবরের স্বভাব আমার কথা থেকে কোনো একটা পছন্দসই বিশেষ শব্দ বেছে তাই নিয়ে গল্প শুরু করা। বলে রাখা ভালো আমার বন্ধু গেলাস কিন্তু যে সে গেলাস নয়। আমার এই ছাপোষা গন্ডিবদ্ধ জীবনের ছোট ছোট সুখদুঃখ,আনন্দ বেদনা,আশা নিরাশা ভাগ করে নেবার নিরলস আধার হলো আমার সাধের গেলাস। একটা সময় অনেক বিদেশী সাহিত্য পড়ে টড়ে দুষ্প্রাপ্র্য অথচ সাধারণ জিনিস সংগ্রহের একটা নেশা চেপেছিল আমার। সেই মতো একটা কিউরিও শপ থেকে শখ করে তাকে আমি কিনে আনি । এর আগে বহু জায়গায় বহু বাড়ি হোটেল গরিব বড়োলোক দোকান রেস্তোরা এমনকি ফুটপাথ পর্যন্ত হাত ঘুরে অনেক বিচিত্র ঘটনার রেশ ধরে কিভাবে যেন তার জায়গা হয়েছিল সেই কিউরিও তে। কাজেই অভিজ্ঞতার দৌড় তার কিছু কম নয়। তা সেদিন ও তেমনটাই হলো। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিচু স্বরে গেলাস বললো ,"একঘেয়ে"।আমিও সজাগ হয়ে বসলুম।একঘেয়েমি নিয়ে তার কি বক্তব্য শুনি। পরের আধ ঘন্টায় যে গল্প গেলাস সেদিন আমায় বলেছিলো তা ভীষণ মনে রাখার মতো কি না জানিনা তবে আমি সেটা আজও ভুলতে পারিনি।

যেভাবে সেদিন গেলাস বলেছিলো তেমনটাই তুলে দেবার চেষ্টা করছি।


দেখো আমার গোটা জীবনটাই বহু বিচিত্র গল্পের কোলাজ। তবে মুশকিল হচ্ছে বোধয় মানুষ নোই বলেই যত অগণিত গল্পের শুরু আমি দেখেছি সেভাবে তাদের শেষ গুলো আমার আর জানা হয়ে ওঠেনি। তবু যত টুকু জানি তাই বলছি। আজ থেকে তা প্রায় বছর চল্লিশ আগেকার কথা। আমি তখন পাইকপাড়ার বিখ্যাত চিত্রশিল্পী কল্যাণ ঘোষাল এর বাড়িতে থাকতুম। কল্যাণ বাবুর বাবা মা অতি কম বয়সে মারা যান। এক বৃদ্ধা খুড়ীমা আর সবসময়ের দেখাশোনার পুরোনো বিস্বস্ত লোক দয়াল কে নিয়ে ছিল কল্যাণের বাস। আশুতোষ কলেজের উজ্জ্বল ছাত্র কল্যাণ। ছবি আঁকার হাত চমৎকার।তবে তখনও সে পেশাগত চিত্রশিল্পী হয়ে ওঠেনি। সত্তরের দশক। সেই উত্তাল সময়ের আরো বহু ভালো ভালো ছাত্র ছাত্রী দের মতো কল্যাণ ও ছাত্র রাজনীতিতে জোরহিয়ে পড়লো। মানে না জোরহিয়ে পারলোনা বলা যায়। সতীর্থ রা তার ছবি আঁকা কে আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। কমিউনিস্ট সোশালিজম এর স্বপ্নে নিজেকে উজাড় করে একের পর এক অসামান্য সব ছবি বেরোতে লাগলো তার হাত দিয়ে।ক্রমে সে কলেজ এর গন্ডি ছাপিয়ে রাজ্য রাজনীতির মঞ্চে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠলো।শিক্ষিত ছাত্র সমাজ ভীষণ ভাবে প্রভাবিত হতে লাগলো। কল্যাণ এক কথায় তখন শিরোনামে। পঞ্চাশ ষাটের দশকে অনেকটা এরকমই স্রেফ গান গেয়ে আমেরিকা তে বিপ্লব কে পথ দেখিয়েছিলো beatles . এর ফলে তৎকালীন মার্কিন সরকার খুব বুদ্ধি করে তাদের কণ্ঠরোধ করার বদলে সরকারি পরিকাঠামোয় তাদের গান প্রকাশ করার ব্যবস্থা করেন। এতে স্বভাবতই প্রতিবাদের ঝাঁঝ বেশ খানিকটা কমে আসে। কল্যাণের ক্ষেত্রেও কিছুটা তেমনি হয়েছিল। ছবির প্রমোশন এবং বিক্রির প্রক্রিয়ায় কিভাবে যে প্রশাসন ঢুকে পড়লো তা কল্যাণ নিজেও ভালো বুঝতে পারেনি।তবে একটা সময় সে নিজেকে হটাৎই একজন সরকারি পৃষ্টপোষকতার সেলিব্রিটি চিত্রকর হিসেবে আবিষ্কার করলো।এর মাঝে অনেকটা সময় গড়িয়ে গেছে চারপাশের পরিস্থিতি প্রায় শান্ত হয়ে গেছে। দিন বদল ফদল নিয়ে খুব একটা কারুর আর বিশেষ মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু যেকোনো শিল্পীরই একটা তাগিদ থাকে যা প্রতিনিয়ত তাকে নতুন সৃষ্টির দিকে ঠেলে দেয়। তরুণ বয়সের সেই উদ্দাম রাজনৈতিক ঝড় ঠান্ডা হয়ে যৌবনের মাঝামাঝি অর্থ আর খ্যাতির শক্ত অবলম্বন দেখে নৌকো বাঁধার কাজে মন দেয়। তখন তাই হয়ে যায় তার উৎসাহের একমাত্র কারণ। মেলামেশা কমে আস্তে থাকে। সারাদিন বাড়ীতে কাজে ডুবে থাকতো কল্যাণ। কখনো সখনো বেরোলেও নিজের কাজের জগতের মানুষ জনের মধ্যেই তার ওঠাবসা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। ঠিক এইরকম একটা সময়ে আমার সাথে বন্ধুত্ব হয় কল্যাণের। বিয়ে থা করার ব্যাপারে কল্যাণের কখনোই তেমন আগ্রহ ছিলোনা। কাজেই সেসবের কোনো প্রশ্নই উঠলোনা। শুধু চারকোল স্কেচ আর ফোর্থ স্টাইল পম্পেইয়ান পেইন্টিং এ নিজেকে বনধে ফেলতে লাগলো কল্যাণ।এভাবে বছর সাত এক চলার পর একটা সময় এ ওর মধ্যে একটা পরিবর্তন এলো যা সব শিল্পীর জীবনেই কখনো না কখনো আসে। সাবজেক্ট নিয়ে সংশয়। নিজের কাজ ভালো না লাগা। সব অর্থহীন , মেকি, এক কথায় একঘেয়ে। রিয়ালিস্টিক abstractism নিয়ে ঘাঁটতে ঘাঁটতে সবকিছুতেই পুনরাবৃত্তি খঁজে পেতে থাকে কল্যাণ। একই ধরণের মুখ। অভিন্ন অভিব্যক্তি। দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মদ্যপান বাড়তে থাকে। ক্যানভাস এর সাথে বাড়তে তাকে দূরত্ব।নিজেকে আরো বেশি করে গুটিয়ে নিতে থাকে কল্যাণ। তবে একটা ব্যাপারে তার মধ্যে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আর সেটি হলো আমার সাথে সব কিছু ভাগ করে নেওয়ার অভ্যেস। এই পরিস্থিতিতে এরকমই এক বর্ষার সন্ধ্যায় আমি কল্যাণ কে বললাম অনেক তো হলো। .যা দেখলে বুঝলে যা নিয়ে এতো কাজ করে নাম করলে সেসব ছাড়া কি নতুন করে দেখার কিছুই নেই? শহর ছড়িয়ে চেনা মানুষ জন এর থেকে দূরে গিয়ে একবার দেখলে হতোনা? বলা তো যায়না অন্য কোনো জীবন কে চেনার সুযোগ থাকলেও তো থাকতে পারে।কল্যাণ সম্মত হলোনা। তার মতে শহর হোক বা মফঃস্বল মানুষের লড়াই এর ধারা বা প্রকৃতি আলাদা হলেও যে স্বাদ ও চায় তা পাওয়া কোনো মতেই সম্ভব নয়। তবু আমি হাল না ছেড়ে প্রতি আসরেই তাকে একই কথা মনে করিয়ে দিতে থাকলাম। শেষে কাজ হলো। কাজ কম্মো এমনিতেও প্রায় বন্ধই ছিল। দয়ালের ওপর বাড়ি আর খুড়ীমা কে দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে দিন্ কতকের জন্য বেড়িয়ে আসা মনস্থ করলো কল্যাণ। দক্ষিণ দিনাজপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রাম মানপুর এ কিরকম একটা পৈতৃক যোগাযোগ ছিল তাদের। খুড়ীমার কাছেই শোনা। সেখানে বহু পুরোনো একটি বাড়ি আর কিছু জমিজমা যার কোনো শরিক না থাকায় মামলা মোকদ্দমা ছাড়াই এমনিই পড়েছিল। সেসব নাকি দেখাশোনা করেন কল্যাণের এক দূর সম্পর্কের জ্যাঠামশাই। আগে থেকে কোনোরকম চিঠি বা যোগাযোগ না করে সরাসরি হাজির হয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে কদিন থেকে আসা স্থির হলো। সেই মতো দিন তিন এক পর এক রোববার দেখে কল্যাণ গিয়ে হাজির হলো মানপুর। পথে একে তাকে জিজ্ঞাসা করে বাড়ি চিনতে আর নিজের পরিচয় দিয়ে জ্যাঠামশাই এর সাথে মোটামুটি একটা সহজ সম্পর্কে আস্তে বিশেষ বেগ পেতে হলোনা। শহরে এতো নাম ডাক কাজ কম্মো ছেড়ে গ্রাম এ আসার কারণ শোনার পর জ্যাঠামশাই বললেন ,"তোর সাথে একজনের আলাপ করিয়ে দেব আজ বিকেলে।হয়তো তোর কাজে লাগবে". 

সেই সুবাদে কল্যাণের সাথে দেখা হয় মুর্শিদ আশাদ -এর। আশাদ মানপুর গ্রাম এ বেশ কয়েক পুরুষ ধরে আছেন। জ্যাঠামশাই এর কাছে আশাদ সম্পর্কে মাত্র দুটি কথা কল্যাণ জানতে পেরেছিলো। সে নাকি খুব অদ্ভুত মানুষ আর তার নাকি খুব গাছের শখ। এর বেশি বিশদ আর কিছুই বলতে চাননি জ্যাঠামশাই। সাক্ষাতে গাছের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রথমটায় আশাদ কিছুই বললেন না। কিছুটা পীড়াপীড়ির পর কল্যাণ কে বললেন ,"দেখাতে আমি পারি। তবে যা দেখাবো বা বলবো তা বিশ্বাস করতে পারবে তো?" কল্যাণের অবিচল ভাব দেখে তিনি তাকে সঙ্গে করে বেরোলেন। সেদিন বৃদ্ধ আসাদের সাথে প্রায় মাইল চার এক পথ হেটেছিলো কল্যাণ।সেই বিস্তীর্ণ পথ যেন একটা ছোটোখাটো অরণ্য। সেই পথ ধরে হাটতে হাটতে আশাদ জিজ্ঞাসা করেছিলেন , "যদি বলি এই সমস্ত বন আমার নিজের হাতে তৈরী। এই এক একটা গাছ আমি নিজে লাগিয়েছি। বিশ্বাস করবে ?" কিছুক্ষন থমকে দাঁড়িয়ে ঠিক কি বলা উচিত ভেবেছিলো কল্যাণ। বৃথাই ভেবেছিলো।বলা তার আর হয়নি। তার হতভম্ব ভাব দেখে আশাদ বললেন "বিশ্বাস কর আর নাই করো তাতে আজ আর কি ই বা এসে যায়। তবে জেনে রেখো এসব আমার নিজের হাতে বেড়ে ওঠা। স্টেশন থেকে নেমে যে পথে গ্রাম এ ঢুকলে তার অন্য পাশে লাইন এর ওপর টায় কিন্তু গ্রাম এর ছিটেফানটাও নেই। সব সিমেন্ট তৈরির কারখানা হয়ে গেছে তা আজ প্রায় বছর ৫এক হলো। আগে কিন্তু ওই সমস্ত জায়গা একরকম জঙ্গল ই ছিল। সে অবিশ্যি আগে থেকেই ছিল। আমার তৈরী করা নয়। কারখানার জন্য সেসব কেটে ফেলা হয়েছে। সেবার আমাদের মানপুরের সাথে সাথে হরিদাসপুর, কদমপুরের সমস্ত এলাকা জুড়ে সাংঘাতিক অজন্মা হলো । ভরা শ্রাবণেও একরত্তি মেঘ নেই ,পানি নেই। ঘরে স্ত্রী আর দুদুটি মেয়ে। মুখ ফুটে কিছু না বললেও দুবেলা দানাপানি না জোটার যন্ত্রনা লুকোনো কি ওদের সাধ্যি! বাবা হয়ে কি যে অসহায় লাগতো তা আমিই জানতাম আর জানতেন আল্লাহ। রাতদিন শুধু প্রার্থনা করে গেছি ,'হে আল্লাহ, পথ দেখাও।স্ত্রী সন্তানদের ঐরকম কষ্ট দেখার মতো মনের জোর যে আমার নেই!"


এরকম সময় একদিন হঠাৎ এই গ্রামের ই ছেলে মুরাদ এসে খবর দিলো ,"চাচা ! ওপারে কোম্পনির জমিতে গাছ কাটা হচ্ছে।অনেক লোক নিচ্ছে গো। ছ 'টাকা করে দেবে বলছে। এখানে এভাবে মরার থেকে চলোনা দেখি চেষ্টা করে। " তা গেলুম। কাজটা জুটেও গেলো।মন এর দিক থেকে বিন্দুমাত্র সায় না থাকলেও লেগে পড়লুম । এছাড়া আর কি করতাম ই বা বলো । তিন বছর ওই কাজ করেছি। কুড়ুলের এক একটা ঘা যখন পড়তো গাছগুলোতে বিশ্বাস করো মনে হতো কেউ যেন আমার গলায় ছুরি মারছে। কিন্তু ওই যে খেতে হবে। খাওয়াতে হবে। আমি ছাড়া কে দেখবে পরিবার কে। তবে এই এতদিন ধরে যতগুলো গাছ কেটেছি সব কটার হিসেবে রেখেছি ভাই। আল্লার সৃষ্টি জঙ্গল। আমি কে সাফ করার? এতো বড় পাপ। ফিরিয়ে তো দিতেই হতো। ....না?" এক আশ্চর্য ঘোরের মধ্যে থেকে বেরিয়ে এসে কল্যাণ জিজ্ঞাসা করলো ," তার মানে গুনে গুনে ওই অতগুলো গাছ আপনি আবার লাগিয়েছেন?" নিজের কান বা অনুভূতি কোনোটাকেই উপলব্ধির জায়গায় আন্তে পারছিলোনা কল্যাণ। মানুষ এতটা সংবেদনশীল হতে পারে! এতটা মানবিক !বহুদিন পর তার চোখের পাতা এইরকম ভারী হয়ে আসছে। সামলে নিয়ে কোনোমতে জিজ্ঞাসা করলো " সবটা ফেরানো গেছে জ্যাঠা ?" স্মিত হেসে আশাদ বললেন " নাহ। তবে আগামী মাসের বারো তারিখ ঋণ মকুব হবে। তবে সেটা শুধুই আসল ভাই। সুদ টা সবটাই বাকি। কল্যাণ বললো ,"তাহলে এর তো কোনো শেষ নেই? থাকতে পারে না। বৃদ্ধ আশাদ বলে চললেন ," নেই তো। সবে তো শুরু। কত দায়িত্ব বলতোএরা সবাই তো আমার ছেলে মেয়ে। এদের একেকটা ডাল একেকটা পাতার খবর যে আমায় রাখতে হবে। তাদের আবদার ,শখ আল্হাদ ,প্রয়োজন ,সুবিধে অসুবিধে এসবি যে আমায় দেখতে হবে ভাই। শেষ হবার যে কোনো প্রশ্নই নেই। এ যে এক বিশাল প্রাপ্তি।আর প্রাপ্তিতেই তো সমাপ্তি। তাই নয় কি ? সেদিক থেকে দেখলে শুরুও যা শেষ ও তাই। "

এর পর আরও দুই সপ্তাহ মানপুর এ থাকে কল্যাণ।বৃদ্ধ আশাদের প্রায়শ্চিত্ত শেষ হওয়া অবধি। ফিরে এসে আমাকে এই পুরো গল্পটা বলে। কেউ তো ভাবতে পেরেছে। একটা লোক। একটা প্রত্যন্ত গ্রাম এ সবার অগোচরে একটা লোক শুধু নিজের বিবেকের সাথে হিসেব বুঝে নিতে দিনের পর দিন তিলে তিলে অসাধ্য সাধন করেছে। ও তো পারলো। যা আমি এতদিন ধরে চেষ্টা করেও পারিনি। তারপর থেকে সম্পূর্ণ অন্য কল্যাণ কে দেখেছিলাম। প্রাণবন্ত,সতেজ। এই বলে থেমে গেলো গেলাস। 


একটানা চুপ করে ওর কথা শোনার পর কি বলা উচিত বুঝতে পারছিলাম না। মনে মনে খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো আশাদ নামের সেই মানুষ টিকে যদি একবার চোখে দেখতে পারতাম। কিছুক্ষন পর মৌনতা ভেঙে জিজ্ঞাসা করলাম ,"তার পর থেকে কি কল্যাণ তার ছবির বিষয় স্টাইল সব বদলে ফেললো ?" গেলাস বললো " সে তো জানিনা। তার পর থেকে কল্যাণের আর আমাকে প্রয়োজন ই হয়নি কখনো। ওই যে গোড়া তেই বলেছিলাম আমার বেশির ভাগ গল্পেরই শেষ টা আমার জানা নেই। তবে তাতে কি এসে যায়। আশাদ কে জানতে পেরেছি। এটাই যথেষ্ট পাওয়া নয়? আর প্রাপ্তি তাই যে সমাপ্তি বন্ধু। ."...................


Rate this content
Log in

More bengali story from Ariyam Bhattacharya

Similar bengali story from Inspirational