পাপ নাশিনী দেবী দূর্গা
পাপ নাশিনী দেবী দূর্গা


বলা হয় যদি কেউ ভারতীয় সংস্কৃতির বিষয়ে জানতে চায় তাহলে ওকে কলকাতার দুর্গাপুজোর থেকে আরম্ভ করা উচিত হবে । দূর্গাপুজো বাঙালিদের জন্য অপরিসীম আনন্দ । মা দশ টি দিনের জন্য আসে আর এই ১০ টি দিনে পুরো কলকাতা মহানগর টি লাইট আর পুজো প্যান্ড্যাল দিয়ে ভরে পরে,যেদিকেই চোখ তুলে দেখা যায় মানুষের সাগর যেন। কিন্ত এই ভিড়ের মধ্যে চাইল্ড ট্রাফিকিং(Child trafficking) অর্থাৎ বাচ্চাদের অপহরণের ঘটনা ও বেড়ে যায় । বাচ্চাদের কে অপহরণ করে তাদের শরীরের অঙ্গ বিক্রি করা হয় । বহুত বদমাশ লম্পট টাকার লোভে এই কাজে লিপ্ত হয় ।আজ আপনাদেরকে এমনেই একটা লম্পট বদমাশের গল্প বলতে যাচ্ছি ।
মহেশ এক বদমাশ লম্পট লোক,সারাদিন মদ খেয়ে থাকে । বিয়ের পর বউ কে মার্ ধূর করতো যার জন্য বৌ ছেড়ে চলে গ্যাছে ।আশে পাশের মানুষের জন্য মহেশ চোখের কাটা।দূর্গা পুজো মহেশর জন্য টাকা কামানির রাস্তা হয়ে পরে । গত ৪ বছর ধরে মহেশ দূর্গা পুজোতে বাচ্চাদেরকে অপহরণ করে বিক্রি করে দেয় । না পুলিশ ভয় না, ঈশ্বরের ভয়,মহেশ পাপ কাজে এমন ভাবে লিপ্ত যে তার মন অসুর প্রবৃত্তির মতো হয়ে গেছে । টাকার লাভ তার মনে কলির অসুরের প্রতিছব্বি গড়ে তুলছে । এইবারো অন্য বছরের মতো অপহরণের কাজে লিপ্ত,সপ্তমী আর অষ্টমী পুজোর দিন ও পুজো মণ্ডপ এর থেকে দুটো বাচ্চা অপহরণ করে বেচে দিয়েছে ।
আজ নবমী প্রতিদিনের মতো আজ ও পুজো মণ্ডপ এ বাচ্চা খুঁজছে । ভিড়ের মাঝে যদি কোনো বাচ্চা হারিয়ে যায় তাকে পাওয়া অসম্ভব কার্য হয়ে পরে ।আজ ও সে একজন বুড়া মানুষের বেসে এসেছে । যেখানেই ও পূজা মণ্ডপের ভিতরে ঢুকলো ওর একটা আশ্চর্য অনুভূতি হলো যেনো বহুত জোড়ে হাওয়া দিচ্ছে আর ওকে পিছনদিকে ঠেলে দিচ্ছে । এই দেখে ও সেই মণ্ডপে আর ঢুকলো না । কিছু দূরে গিয়ে ও অন্য এক মণ্ডপে ঢুকলো সেইখানে যখন ও মা দুর্গার মুখের দিকে তাকালো ।
মা দুর্গার চোখ লাল পুরো যেন ওকে নিজের চোখের তেজে জ্বলিয়ে দেবে । ও সেইটা দেখে সেইখান থেকে দৌড়ে বের হয় । ভয়ে ও পুরো ঘেমে গেছিলো হাত পা ওর কাপা শুরু হয়ে গেছে ।সব আশা ছেরে ও ঘরের দিকে চলতে থাকলো । চলার পথে ও রাস্তায় একটা বাচ্চা দেখলো,একটি ছোটো বাচ্চা মেয়ে যে নিজের মা বাবার থেকে হারিয়ে গেছিলো ।সুযোগ দেখে মহেশ ভাবলো "লাগছে, এই বাচ্চা মেয়েটি হারিয়ে গেছে, ভালোই হলো শিকার নিজেই আমার কাছে চলে এসেছে ।" এই ভেবে মহেশ যেই বাচ্চাটির হাতটি ধরলো তখনেই বাচ্চাটি আকারে বড় হতে লাগলো,শরীরের তাপ বাড়তে লাগলো । মহেশ মেয়েটির শরীরের তাপ সহ্য করতে না পেরে আর মেয়েটির আকার বাড়তে থাকা দেখে রাস্তা পড়ে যায় । দেখতে দেখতে মেয়ে টি মা দুর্গার রূপ নেয় ১০ টি হাত বের হয়ে যায় হাতের ত্রিশূল মা মহেশের বুকের আর পার করে দেয়,মহেশ সেইখানেই মরে থাকে ।
মা কতো সইবে যখনি এই সমাজে পাপ বাড়বে মা নতুন রূপে অবতারিত হবে আর পাপ নাশ করবে ।