🍂 খোঁজ 🍂

আজ রবিবার ছুটির দিন। সপ্তাহে মাত্র এই একটি দিনই ছুটি পায় দেবু, ভালো নাম দেবব্রত সেন। সকাল থেকে বাগানের কাজে ব্যস্ত সে। বাগানের খুব সখ্, তার মধ্যে ফু লগাছের দিকে বেশি ঝোঁক। বিভিন্ন রঙের ফু লে বাগানটা ভরে আছে। বেশি বড় না ছোট্ট বাগান তাই আরও ভালো দেখাচ্ছে। আর ফু লে এসে বসছে রঙবেরঙের প্রজাপতি। এইসব দেখলেই মনটা আরও ফু রফু রে হয়ে ওঠে। কাল রাত্রে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে কতগুলো ফু লগাছের চারা কিনে নিয়ে এসেছে দেবু। যত্ন করে চারা লাগায়, নইলে এমন মিষ্টি ফু ল ফু টবে কি করে। বিভিন্ন রকম সার দিয়ে মাটি তৈরি করছিল সে হঠাৎ কাকে যেন দেখতে পেল সে। নিখিল না? হ্যাঁ ওর মতোই তো মনে হচ্ছে। এদিকেই তো আসছে। sure নিখিল। - নিখিল যে। কেমন আছিস ভাই? - ভালো। তুই কেমন আছিস? - দিব্যি। তা কোথায় যাচ্ছিলি এদিকে? - কোথাও না। তোর কাছেই আসছিলাম। - তা ভালোই করেছিস। সালা এতদিন পর মনে পরল তোর আমাকে? - তোদেরই বা কোথায় মনে পরেছে আমাকে ! সেই কলেজের শেষ দিনের পর দু-একবার call করেছিলি। তারপর তো আর করিস ই নাই। - আমি করি নাই তো কি হয়েছে। তুই তো করতে পারতিস। - করি নাই সেটা কি করে জানলি। আর আমার অবস্থা call করার মতো ছিল ও না। - আচ্ছা ভুল হয়ে গেছে নে। এতদিন পর দেখা বুকে আয়। এ কি হচ্ছে ! তোকে আমি স্পর্শ করতে পারছি না কেন? - পারবি না। আমি এমন আর এই দুনিয়ার বাসিন্দা নেই। - তার মানে.. - হ্যাঁ ঠিক ই ধরেছিস। গত 2 বছর হল আমি মারা গেছি। হঠাৎ ক্যানসার ধরা পরল। তারপর শরীর একদিন অসার হয়ে গেল। শুধু ভোগ করতে লাগলাম যন্ত্রণা ! বার বার মনে পরত তোদের কথা। মনে হতো তোরা খোঁজ নিতে আসবি আমার। কিন্তু আর এলি কই! চলি রে আরও অনেক জনের খোঁজ নেওয়া বাকি আছে। ভালো থাকিস। আর পারলে খোঁজ নিস আপনজনদের। - নিখিল নিখিল শোন... বাবু চা। আপনি কার সাথে কথা বলছিলেন বলুন তো। কেউ তো নেই এখানে। - কারও সাথে না। আচ্ছা হারানদা তুমি ভালো আছো তো? - হ্যাঁ। তা হঠাৎ জিজ্ঞাসা? - খোঁজ নিতে হবে হারানদা খোঁজ নিতে হবে। আমি যাই। " পৃথিবীটা গোল, দেখা হতেও পারে, আছি আমি সেই.. আসায়.. বাঁচিয়ে রেখেছে, এই আশাটা, এখনও যে আমায়।"