গন্ধ
গন্ধ


"We are the dawn of our own life.
How shall I go in peace and without sorrow?
Nay, not without a wound in the spirit shall I leave this city"....
পুরনো মানুষেরা সত্যি মনের এক কোণে বাসা বেধে থেকেই যায়। হয়ত এক বিশাল কালের ব্যবধানের নিরিখে অনেকবিধ সম্পর্ক-এর ব্যবধান এসে যায়, কিন্তু যে পাখির বাসা কোনো এক কালে গাছের ডালে ছিল সেই গাছে পাখি একদিন তো ফিরবেই। মানুষ মাটির দাস আসলে, কিছু না কিছুকে আঁকড়ে থাকেই। তাকে সেখানে কিছু না কিছুর টানে ফিরতেই হয়। শিকড় আঁকড়ে থাকা যেকোনো গাছের বৈশিষ্ট্য। গাছকে যতই ঝড় টেনে তুলে নিয়ে যেতে চায়, ততই শিকড় তাকে আটকে দেয়। মানুষ-ও তেমন-ই, যতই মুক্ত বিহঙ্গ হতে চায়, সব পিছুটান ভুলে মুক্ত হয়ে পৃথিবী কে দেখতে চায়, ততই কোনো কিছুর টানে ফিরে আসে। আসলে কিন্তু যদি জগত রহস্য উদঘাটন করতেই হয় তবে এইসব তথাকথিত পিছুটান ভুলতেই হবে। না ভুললে বৃহৎ-এর দিকে এগোতে পারবে না।
মানুষ বড় অদ্ভুত জীব, যার আবেগ কখনো ধরা বাধা নিয়মে চলে না, তবেই তো সে মানুষ। রোজ একই কাজ বা রোজ রোজ এক জীবনশৈলীতে চলা তো পশুদের কাজ। আসলে আমরা রহস্য খুঁজি, কিন্তু এই রহস্যের খোজ-এ রত হয়ে যখন হাঁপিয়ে পড়ি, তখন হয়ত একটা গাছের ছায়া দরকার হয়, কিন্তু মানুষ এটা জাহির করতে ভয় পায়। ওই জাল থেকে বেরিয়ে কিছুটা নিজেকে বা জগত সংসারকে আবিষ্কার করার পর হাপিয়ে যখন গাছের ছায়াটা থাকেনা, মরুভূমিতে এসে পড়ে, তখন মরীচিকা দেখাও পাপ মনে হয়, তাই মানুষ ভয় পায়, অই মরুভূমির মাঝে ছায়ার সন্ধান না পাওয়া টাকে, তাই পিছিয়ে যায়। তাই সব মানুষ সমানভাবে এই দর্শনগুলো বুঝতে সক্ষম হলে তবে মানুষ-এর এই আবিষ্কার-এর তৃষ্ণা ও মিটবে এবং ছায়াও পাবে।কিন্তু দুখের বিষয় সব মানুষ সমান হয় না এবং বৈচিত্র্যই মানুষ-এর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রবণতা এবং সবকিছু সবার বোঝা সম্ভব নয়,কারণ আমরা যা দেখি, যা ভাবি, যা করি, যা বুঝি, সবই আপেক্ষিক।
#সময় হারায় ছোট নৌকার মত,
মুঠো খুলে দেখ,
আক্ষেপ কিছু নেই, কিছু নেই,
রাত হবে বলে,
সন্ধেও সম্মত,
দেখা হয়ে যাবে,
#অন্যবসন্তে