hassab bin ahmed

Romance Classics

4.1  

hassab bin ahmed

Romance Classics

গল্প:-মিষ্টি বউ

গল্প:-মিষ্টি বউ

8 mins
1.4K


গল্প:-মিষ্টি বউ

লেখক:- হাছাব বিন আহমেদ


অনেক সময় ধরে মোবাইল বেজেই চলেছে, আমার মিষ্টি বউ টা কল করছে! ইচ্ছে করেই রিসিভ করছি না। বার বার কল করেই যাচ্ছে ,তাই রিসিভ করলাম না হলে আবার চিন্তা করবে।



আমি: আসসালামু আলাইকুম

বউ: ওয়া-আলাইকুমুস সালাম, কোথায় আছেন আপনি বাসায় আসেন! সবাই রাতের খাবার খাবে,তাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

আমি: ও, তুমি এক কাজ করো সবাইকে নিয়ে খেয়ে নাও আর আমার খাবার আমাদের বেডরুমে নিয়ে যাও, আমি একটু কাজে আটকে গেছি, অল্প দেরি হবে।

বউ: আচ্ছা ঠিক আছে তারাতাড়ি আসবেন,!!( বলেই ফোন টা রেখে দিলো)


আমার বউ এর নাম হুমাইরা, আমার বউ টা দেখতে যেরকম মিষ্টি কথা গুলোও সেরকম মিষ্টি শুরু বলে তাই আমি ওকে মিষ্টি বউ বলেই ডাকি।

এবার আমার সম্পর্কে বলি! আমার নাম সজিব, একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। মাত্র সাত (৭)দিন হলো আমাদের বিয়ে হয়েছে। এখন আমি রাস্তার পাশে থাকা বেঞ্চিতে বসে আছি। আপনি হয়তো ভাবছেন নতুন বউ রেখে আমি এখানে কেনো? আমি সাধারণত মাগরিবের নামাজের আগেই বাসায় ফিরে যাই, কিন্তু আজ ইচ্ছে করেই দেরি করছি! কারন টা আপনাদের বলতে লজ্জা করছে তাও বলি আমার অনেক দিনের ইচ্ছা যে বউ এর হাতে খাবার খাবো! আমি অনেক বার বলেছি হুমাইরা কে, কিন্তু আমার বউ এর লজ্জা করে তাই খাইয়ে দেয় না! ভাবছি আজ সব ব্যবস্থা করেই যাবো, আসলে আমাদের বাসায় সবাই একসাথে খাবার খেতে বসে, তাই আমার মিষ্টি বউ টা ফোন দিয়ে যেতে বললো,। সবাই একসাথে খাবার খাওয়া পারিবারিক বন্ধন গুলো আরো গভীরে করে, এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও পরিবর্তন হচ্ছি আর ধিরে ধিরে পরিবার থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।

যাই হোক এখন বাসায় যাই অনেক সময় অপেক্ষা করেছি,বেঞ্চ থেকে উঠে প্রথমে একটি ফার্মেসিতে ঢুকে ডান হাত ব্যান্ডেজ করলাম। প্রথমত ফার্মেসির ছেলেটা ভালো হাতে ব্যান্ডেজ করতে চাইছিলো না পরে ১০০ টাকা দিয়ে ব্যান্ডেজ করলাম! বাসায় গিয়ে দরজায় টোকা দিতেই খুলে গেল।


আমি: আমার মিষ্টি বউ টা কি দরজার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলো না কি??

হুমায়রা: থাকতেই পারি!!!, আপনি ফ্রেস হয়ে আসেন আমি খাবার রেডি করে দিচ্ছি।

আমি: দরকার নেই আমি খাবো না!

হুমায়রা: কেন?

আমি: কেন মানে? দেখছো না আমার হাতে ব্যান্ডেজ করা?

(হুমায়রা প্রায় দৌড়ে এসে আমার হাত ধরে জিগ্গেস করলো’ কি হয়েছে?’)

আমি: তেমন কিছু না, এই একটু কেটে গেছে!

হুমায়রা: কিভাবে কাটলো? কতোটা কেটেছে?

আমি: এতো প্রশ্ন করো না তো ভালো লাগছে না।

(বলেই ফ্রেস হতে চলে গেলাম,ফ্রেস হয়ে এসে ঘুমতে গেলাম।)

হুমায়রা: কি হলো, শুয়ে পরলেন যে! খেতে হবে না??

আমি: কিভাবে খাবো!! হাত তো তুলতেই পারি না।

হুমায়রা: তাহলে কাপড় খুললেন কিভাবে??

আমি: এক হাত দিয়ে খুলেছি।

হুমায়রা: আচ্ছা ঠিক আছে আমি খাইয়ে দিচ্ছি,

আমি: কি বললে, তুমি খাইয়ে দিবে, তোমার লজ্জা করবে না!!


  আমার কথা শুনে হুমাইরা লজ্জায় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

আমি: সারা রাত কি এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবে, আমার কিন্তু অনেক খিদে পেয়েছে!!


হুমায়রা ভাত এনে আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে।যাক আজকের নাটক টা তাহলে কাজে দিলো🙂।

আমি: তুমি খেয়েছ??

হুমায়রা: আপনি খান আমি পরে খেয়ে নিবো!

আমি: পরে কেন? এখুনি খাও।


হুমায়রা আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে,আর নিজেও খাচ্ছে।এটাই তো স্বামী-স্ত্রীর মোহাব্বত, যেখানে নেই কোন অশ্লীলতা। বউ এর হাতে খাবার খাওয়া এখানে এক স্বর্গীয় অনুভুতি কাজ করে।

আমাদের খাবার শেষ করে আমি খাটে এসে বসলাম। হুমায়রা এক গ্লাস পানি এনে আমাকে দিয়ে বললো ‘ এই নিন পানি ওষুধ খেয়ে নিন’

আমি: কিসের ওষুধ?

হুমায়রা: কিসের আবার হাতের!!

আমি: ওষুধ দেয় নি I

হুমায়রা: হাত কেটে গেছে ড. ওষুধ দেয় নি কেন??

আমি: এখন ড. ওষুধ দেয় নি কেন এটা আমি কিভাবে বলবো??

হুমায়রা: আপনি ওষুধের কথা বলেন নাই??

আমি: বলেছিলাম!!

হুমায়রা: ডাক্তার কি বলেছে?

আমি: ডাক্তার বললো ওষুধ লাগবে না ,বউ এর হাতে খাবার খেলেই ঠিক হয়ে!!!

হুমায়রা: ফাজলামো করেন আমার সঙ্গে!

(বলেই আমার হাতের ব্যান্ডেজ খুলতে লাগলো, খুলে দেখলো কিছুই হয় নি তাই আমাকে বালিশ দিয়ে পিটিয়ে আমার বুকে এসে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে শুরু করলো।)


হুমায়রা: আপনি জানেন, আপনার হাত দেখে আমার কতো কষ্ট হয়েছিলো।

আমি: সরি!

হুমায়রা: আর কখনো এরকম মজা করবেন না, আমার সাথে।

আমি: আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু আমারো তো ইচ্ছা করে আমার মিষ্টি বউ এর হাতে খাবার খেতে।


আমি হুমায়রার চোখ মুছে দিয়ে হুমায়রার দুই গালে আমার ঠোট ছুয়ে দিলাম।🙈

আমি: আজ আমার মিষ্টি বউ টার গাল লবণাক্ত হয়ে গেছে কেন??

(হুমায়রা মুচকি হাসি দিয়ে বললো কারণ আমি মিষ্টি না,বলে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।)


কিছু সময় পর বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। আমার বৃষ্টিতে ভিজতে অনেক ভালো লাগে, ছোট বেলায় আম্মু আব্বু কখনোই বৃষ্টিতে ভিজতে দিতো না, কারণ আমি বৃষ্টিতে ভিজলেই আমার জ্বর আসে। তাঁর পরেও লুকিয়ে লুকিয়ে ভিজতাম।

নিজের বউ এর সাথে বৃষ্টিতে ভিজার মজাই আলাদা,এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না।



আমি: ময়না পাখি শোননা , বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে চলো আজ দুজনে বৃষ্টিতে ভিজি।

হুমায়রা: হবেনা! আপনি একা একাই ভিজেন , হুম

আমি: কেন পাখি ,কি হয়েছে??

হুমায়রা: আজ আপনি আমায় অনেক কষ্ট দিয়েছেন।

আমি: আমি সরি বললাম তো, প্লিজ প্লিজ প্লিজ চলো না।

হুমায়রা: একদম না।


 বলেই বারান্দায় চলে গেল। কিরকম রাগ উঠে বলেন তো । আমিও বারান্দার পাশে গিয়ে হুমাইরা কে শুনিয়ে শুনিয়ে গান গাইতে শুরু করলাম-

এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকেনা তো মন,

কাছে যাবো কবে পাবো

ওগো তোমার নিমন্ত্রণ।


(দেখি হুমায়রা আমার গান শুনে হাসতে লাগল! তাই বউ কে কোলে করে ছুটলাম ছাদের দিকে।)

হুমায়রা: এই কি করছেন। কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমায়!!!!

আমি: বাইরে ফেলে দিয়ে আসি।


    বৃষ্টির ফোঁটা শরীরে পরতেই ঠান্ডা অনুভব করলাম। একটু পরেই বেশ ভালো লাগতে শুরু করলো, সাথে নতুন বউ বুঝতেই তো পারছেন 😌।

          হুমায়রা দুই হাত ছড়িয়ে আকাশের দিকে মুখ করে আছে, আমি পিছন থেকে ওর কোমর জড়িয়ে ধরে আছি, সে এক অবর্ননীয় অনুভূতি। আমি যদি কবি হতাম তাহলে নিশ্চয় কিছু রোমান্টিক কবিতা লিখে ফেলতাম। হুমায়রার কাঁধের উপর মুখ রেখে বললাম-

আমি: আমার মিষ্টি বউ কে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখে দুষ্টুমি করতে ইচ্ছে হচ্ছে।

হুমায়রা: তাই না দুষ্ট কোথাকার,, সব সময় শুধু দুষ্টামি। জানেন বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়??

আমি: শুনেছিলাম একবার, তো তুমি কি দোয়া করলে?

হুমায়রা: আমরা দুজন যাতে এক সঙ্গে জান্নাতে থাকতে পারি। আপনি কি দোয়া কি দোয়া করলেন।

আমি: আমি দোয়া করলাম আমাদের যাতে খুব তাড়াতাড়ি কিউট একটি বাবু হয়।।

হুমায়রা: সবসময় কি যা তা বলেন, আপনি অনেক দুষ্টু(লজ্জা পেয়ে)



আমি যদি দুষ্টুমি না করি তাহলে বাবু আসবে কিভাবে??

হুমায়রা লজ্জায় আমার বুকেই মুখ লুকিয়ে ফেলল। মাঝে মাঝে মেঘের গর্জন ভেসে আসছে আর আমার পাগলি কেঁপে কেঁপে উঠছে। অনেক সময় ধরে ভিজলাম, আসলে কারো হুশ নেই বৃষ্টি একটু কমতেই দুজনে ঘরে এসে গোসল করে শুয়ে পরলাম। আমি শুয়ে শুয়ে হুমাইরাকে প্রশ্ন করলাম- ‘ আচ্ছা ময়না পাখি তুমি তো, ইসলাম নিয়ে অনেক পড়াশুনা করো! একজন মুসলিম হিসেবে বৃষ্টির সময় কি করা উচিৎ?? হুমায়রা আমার বুকের উপর শুয়ে শুয়ে উত্তর দিলো।

হুমায়রা: একজন মুসলিম হিসেবে বৃষ্টির সময় অনেক কিছু করণীয় আছে। কিন্তু আমরা অনেকেই অবহেলা করি। কিছু করণীয় আপনাকে বলি শুনেন-

১.‘আল্লাহুম্মা `সয়্যিবান নাফিআহ’, বলা।( সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং- ১৫২৩)

২.অতি পাত বৃষ্টি হলে ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা’ বলা ।(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৫২৭)

৩.ঝোড়ো হাওয়া বইলে আল্লাহকে ভয় করা।(মুসলিম, হাদিস নং ১৯৬৯)

৪.বৃষ্টি শেষে দোয়া পড়া ” মুতিরনা বিফাদলিল্লাহি ওয়া রহমাতিহ’” (বুখারি, হাদিস : ১০৩৮)

৫.বৃষ্টির পানি স্পর্শ করা (মুসলিম, হাদিস : ১৯৬৮)

৬.বৃষ্টির সময় দোয়া করা।(আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৪০)

৭. বৃষ্টিকে গালিগালাজ না‌ করা।

বৃষ্টি আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের নিদর্শন। পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে বৃষ্টির উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে।


পর দিন


পর দিন সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে হুমাইরা কে ডাকলাম।

হুমায়রা: কি হয়েছে???

(আমি আমার শার্টের বোতাম ছিঁড়ে হুমায়রার হাতে দিয়ে বললাম।)

আমি: আমার শার্টের বোতাম ছিঁড়ে গেছে লাগিয়ে দাও।

হুমায়রা রাগি লুক দিয়ে বললো” আপনি সবসময় এতো দুষ্টুমি করেন কেন??

আমি: আমার মিষ্টি বউ টাকে দেখলে আমি কেন জানি অটোমেটিক দুষ্ট হয়ে যাই।🥴

বলেই হুমাইরার কপালে একটা চুমু দিয়ে অফিসে চলে আসলাম।এসেই বউ কে মেসেজ করে জানিয়ে দিলাম” পৌঁছে গেছি”। হুমায়রার কড়া নির্দেশ, আমি অফিসে পৌঁছানোর পর তাকে জানাতে হবে।

আজ অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় মাছ নিয়ে এসেছি। এখন হুমাইরা মাছ কাটছে আর আমি পাশাপাশি বসে দেখছি।

হুমায়রা: আচ্ছা বাবা মাছ আনলে বাজার থেকেই কেটে নিয়ে আসে আর আপনি গোটা মাছ নিয়ে আসেন কেন??

আমি: সত্যি বলবো না মিথ্যা বলবো??

হুমায়রা: সত্যি বলেন। মিথ্যা বলবেন কেন?? আর মিথ্যা কথা শুনলে আমার অনেক রাগ হয়।

আমি: আচ্ছা ঠিক আছে সত্যি কথাই বলছি।


 তুমি যখন মাছ কাটতে বসো তখন তোমার দুই হাত মাছ কাটায় ব্যস্ত থাকে।তোখন তোমার কিছু চুল তোমার মুখের উপর চলে আসে, আর এই চুল গুলো পিছনে দিতে আমার খুব ভালো লাগে। আর তুমি যখন মাছ কাটো তোমাকে দেখতে অনেক কিউট লাগে।

আমার কথা শুনে হুমাইরা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে,আর হুমাইরা যখন লজ্জা পায় তখন গাল দুটো একেবারে আপেলের মতো লাল হয়ে যায়। দেখতে এতো কিউট লাগে, মনে হয় খেয়ে ফেলি।😀

পরদিন সকালে হুমাইরা কে নিয়ে ওদের বাসায় বেরাতে যাই। হুমায়রার বয়সে বড় আরো তিন বোন আছে, ওদের বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই, উনারাও ঘুরতে এসেছে, শশুর বাড়ী তো শশুর বাড়ী এই নিয়ে আর নতুন করে বলার কিছু নেই। আদরের কোন কোমতি রাখে নি। রাতে খাবার পর চার বোন কোথায় গিয়ে গল্প করছে কে জানে। তাই আমরা চারজন ও আড্ডা দিচ্ছিলাম। যিহেতু আমি সবার ছোট আর নতুন জামাই তাই আমি বেশি কিছু না বলার চেষ্টায় আছি। কিন্তু ওরা তো ছারর পাত্র না।


ছাইফুল (বড় আপুর স্বামী): আচ্ছা আমাদের তো সবার ভালো লাগার মূহুর্ত আছে, আমরা চাইলে কিন্তু তা সিয়ার করতে পারি। সবাই সহমত জানালো।

প্রথমেই শুরু করলো বড় আপুর স্বামী।

ছাইফুল: আমার ভালো লাগা মূহুর্ত হলো ‘ যখন আমি আমার ছোট বেলার বন্ধুদের সংগে দেখা করি তখন আমার অনেক ভালো লাগে ছো এইটা আমার ভালো লাগে মূহুর্ত বলতে পারো।

রফিকুল: আমার ভালো লাগা বলতে আমি যখন নতুন নতুন মেয়েদের সাথে কথা বলি তখন আমার ভালো লাগে।😀😀😀 এইটা কিন্তু আপনারা কাউকে বলবেন না।

( এইটা শুনে সবাই হেসে উঠল)

ইমরান: আমি যখন কারো কোন উপকার করি সেই মূহূর্তে তার মুখে যে হাসি টা দেখতে পাই। ঐ মুহূর্তের থেকে ভালো লাগা মূহুর্ত আর হয় না।


 আমি কিছু বলছি না দেখে বড় আপুর স্বামী বললো- কি হলো সজিব বলো!!

আমি: আসলে আমার ভালো লাগা মূহুর্ত বলতে, রাতে ঘুমের মধ্যে হুমাইরা আমার হাত অনেক শক্ত করে ধরে থাকে, তখন মনে হয় এই হাতের উপর ওর অনেক আশা, অনেক ভরসা ।এই মুহূর্তটা অনেক ভালো লাগার একটি মূহুর্ত । আমি চাই হুমাইরা পুরো জীবন এভাবেই আমার হাত ধরে থাকুক।


আমার কথা শুনে সবাই অনেক হাসাহাসি করলো ,

ছাইফুল: সাজিদ তুমি মাত্র এই কয়টা দিনেই এতো বউ পাগল হয়ে গেলে!!!


সবার সাথে কথা বলে শুতে গেলাম, আমি হুমায়রার রুমে গিয়ে দেখি হুমাইরা কান্না করছে। আমাকে দেখে হুমাইরা আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করলো।



আমি: কি হয়েছে? এই দেখি বলোতো কি হয়েছে!?

হুমায়রা: আপনি আমায় এতো ভালো বাসেন কেন? আমার জন্য লোকে আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করে।

আমি: কে কি বলেছে, কান্না বন্ধ করে আগে বলোতো দেখি।

হুমায়রা: আপনারে যে গল্প করলেন, আমার তার পাশের রুমেই ছিলাম। দুলাভাই তো আপনাকে নিয়ে মজা করলো ,বলেছে আপনি বউ পাগল ( কেঁদেই যাচ্ছে)

আমি: এই কথায় কি কেউ এইভাবে কাঁদে। আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম। কান্না বন্ধ করো আর শুন, স্ত্রীর কাজে সাহায্য করলে তাকে ভালোবাসলে,তার হক আদায় করলে যদি কেউ বউ পাগল হয় তাহলে আমি অবশ্যই বউ পাগল, তোমাকে একটি হাদিস বলি –

আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ঐ ব্যক্তি যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো ( সিলসিলা সহীহ, হাদিস নং-৪০)

তাহলে যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো হতে পারলো না সে কিভাবে আল্লাহর কাছে প্রিয় হবে??

হুমায়রা আমার কথা শুনে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো ” আপনি জানেন You are the best husband in the world. আমিও হুমাইরার কপালে চুমু দিয়ে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।


………. সমাপ্ত……..


( বি:দ্র: – অনুমতি না নিয়ে কপি করা নিষেধ। অনেকেই আমার গল্প নিজের নামে পোস্ট করেন , ইসলামে এইটা সম্পূর্ন হারাম, ও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। )

আমার লেখা গুলো যদি আপনাদের ভালোলাগে তাহলে আমার লেখা বই কিনে আমাকে সমর্থন করতে পারেন। আর গল্পে রিভিউ দিতে ভুলবেন না কিন্তু




Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance