susmita Piu Adhikary

Romance Fantasy Others

3  

susmita Piu Adhikary

Romance Fantasy Others

❤ভালোবাসি প্ৰিয় ❤

❤ভালোবাসি প্ৰিয় ❤

8 mins
188



সূর্য অস্তমিত হওয়ার সময় যে রক্তিম আভায় আকাশ রাঙা হয়ে ওঠে সেই রুপ জগতের সবকিছুকে হার মানিয়ে যায়। তাই অনু নিয়ম করে সূর্য উদিত আর অস্ত যাওয়া দেখে । তার মতে এই শ্রেষ্ট দুই দৃশ্য উপলব্ধি করার সৌভাগ্য সবার হয় না।


ফেব্রুয়ারি মাসের সন্ধ্যায় হালকা শীতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে সূর্য অস্ত দেখছে অনু । চুল গুলো কোমর ছাড়িয়েছে । শাড়ির আঁচল মাটি ছুয়েছে, সিঁথিতে তার সিঁন্দুর জ্বলজ্বল করছে । কাজল কালো চোখে আজ অশ্রুরা ভিড় করেছে । হাল্কা ঠান্ডা হাওয়া এসে বারবার অনুকে শিহরিত করে তুলছে ।আজকের দিনটি এমনিতেও তার কাছে খুব বিশেষ হলেও সেই বিশেষেত্বর কোনো মূল্য নেই ।


14 ই ফেব্রুয়ারি আজ অনু জীবনের 20 টি বসন্ত পেরিয়ে 21 এ পা দিয়েছে । ছোটবেলা থেকে শুধু জন্মদিন হিসেবে এই দিনটি জেনে থাকলেও ক্লাস ইলেভেন গিয়ে জানল 14 ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস । সবাই যে যার মনের মানুষ কে মনের অনুভূতি প্রকাশ করে দিনটি উদযাপন করে । আচ্ছা সত্যিই কি ভালোবাসার কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণ আছে? আমার তো মনে হয় নেই। দুটো মানুষ পাশাপাশি থাকলে যে কোনো দিন তার কাছে মনের ভাব প্রকাশ করা যায় । কিন্তু অনেকের কাছেই এই দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভালোবাসার জন্য । কার প্রেমিক বা কার বর কতো দামী উপহার দিলো তার ওপর ভিত্তি করে ভালোবাসার পরিমাপ হবে। উপহারের মূল্য কি করে ভালোবাসার গভীরতার মূল্য নির্বাচন করতে পারে? আমিও আজ সেই সব মানুষের তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করে নিলাম যাদের কাছে অপরপাশের মানুষটির পবিত্র ও শুদ্ধতম ভালোবাসা উপহারের মূল্যর ওপর নির্ধারণ হয় । কথাগুলো মনে হতেই অনুর ক্রন্দনের পরিমান বেড়ে গেল ।


পাঁচ মাসের বিবাহিত জীবন তাদের । এতো অল্প সময়ে সে অনল নামের মানুষটিকে নিজের চাইতেও বেশি ভালোবেসে ফেলেছে । সে কি করে পারলো আজ তার ভালোবাসার মানুষটিকে আঘাত দিতে । ভালোবাসার দিনেই পবিত্র মানুষটির পবিত্রতম ভালোবাসাকে ছোট করেছে সে । চোখের সামনে ভেসে উঠলো আজ সকালের ঘটনা, অনু প্রতিদিনের মতো আজ 10 টায় কলেজে গেছে । যাওয়ার আগে অনলকে বলে গেছে 2 টায় যেন তাকে কলেজে আনতে যায়, তাকে সারপ্রাইজ দেবে ।


অনল অনুর কলেজ থেকে কিছুটা দূরে এক রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করে । অনলের খুব পড়ার ইচ্ছা থাকলে আর্থিক সমস্যার কারণে উচ্চ মাধ্যমিকেই তার পড়া শেষ করে আর্থিক উপার্জনের জন্য কাজে লেগে পড়েছিল । সে তার স্বপ্নটা অনুকে দিয়ে পূরন করতে চায় । তাই দারিদ্র্যের মধ্যেও অনেক কষ্ট করে অনুকে কলেজে ভর্তি করেছে ।


কিছুদিন হলো অনুর প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে । আজ অনু প্রথমবার তাকে কলেজে আনতে যেতে বলেছে , অনুর জন্য সে প্রথমবার কলেজে পা দেবে ভাবতেই তার বেশ আনন্দ লাগছে । আজ তো ভ্যালেন্টাইন্স ডে । আজ অণুকে আমিও সারপ্রাইজ দেবো ভেবে একটা ভালো শার্ট পরে অনল তার কাজে বেড়িয়ে গেলো । দুপুরে 2 টোর আগে রেস্টুরেন্ট থেকে হাফ বেলার ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়লো অনুকে আনতে । যাওয়ার পথে গোলাপ গুচ্ছ কিনতে গেলো কিন্ত দামের জন্য গুচ্ছ নিতে না পেরে একটা লাল গোলাপ কিনলো । সে জানে তার অনু তাকে ভালোবাসে । গোলাপের সংখ্যা সেই ভালোবাসায় তার কাঁটা দেবে না। এইসব ভাবতে ভাবতেই কলেজের সামনে অনুকে দেখতে না পেয়ে ভেতরে এগিয়ে যেতেই সামনে বন্ধুদের সাথে অনুকে বসে থাকতে দেখলো ।


বন্ধুদের সবাইকে দেখে সে একবার নিজেকে দেখে নিলো । তাকে বেমানান লাগবে ভেবে সে আর এগিয়ে গেলো না। অনুকে ফোন করবে পকেট থেকে ফোন বের করার আগেই সামনে থেকে অনুর এক বন্ধু অনলকে ডেকে উঠলো, আরে ওই তো জিজু চলে এসেছে । জিজু এদিকে আসুন সবাই মিলে আড্ডা দেবো ।


--অনল এগিয়ে গিয়ে মুচকি হেসে সবার সাথে পরিচয় করে নিয়ে বললো , আচ্ছা এখন আসি । পরে কখনও একদিন আড্ডা দেওয়া হবে । অনল আর অনু বেরিয়ে গেলো । অনল খেয়াল করলো এতোটা সময় অনলের দিকে অনু একবার ও চোখ তুলে তাকায়নি, আর না একটা কথা বলেছে । কিন্তু সে ভেবেছিল এই ব্লু শার্টে অনলকে দেখলে অনু খুশি হবে তাই সে অনুর পছন্দের শার্ট পরে এসেছে ।


--অনু তোমার তো খাওয়া হয় নি চলো কোথাও খেয়ে নেবে ।


--কোথায় খাওয়াবেন? ওই তো রাস্তার ওপর টং এর দোকান গুলোতে খাওয়াবেন । এমন করে বলছেন যেন ফাইভ স্টার হোটেলে খেতে নিয়ে যাবেন।


অনলের হাতে একটা গোলাপ দেখে অনু আরো বেশি রেগে বলে উঠলো , এই একটা গোলাপ নিয়ে কলেজে এসেছেন ভ্যালেন্সটাইন্স ডে সেলিব্রেট করতে? তার চেয়ে কিছু না আনতে পারতেন। এইভাবে আমায় আমার বন্ধুদের কাছে ছোট করে কি লাভ পেলেন আপনি? জানেন শুধুমাত্র আপনার জন্য আজ কতোটা হাসির পাত্র হতে হয়েছে সবার কাছে । সবাই জিজ্ঞেস করছে বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন প্রথম ভ্যালেন্টাইন্স ডে বর কি গিফট দিলো? গিফট দেওয়া দুরের কথা আমার বর তো জানেই না আজ আমার জন্মদিন । নুন আনতে পান্তা ফুরায় সে আবার গিফট দেবে ।


--অনল নির্বাক হয়ে তাকিয়েছিল অনুর দিকে । ওর অনুতো এমন করে না তবুও অনল নিজেকে সামলে কিছু বলতে যাবে তার আগেই অনু বলে উঠলো, প্লিজ কিছু বলবেন না। এখন আপনার সাথে কোথাও যাওয়ার ইচ্ছা নেই আমার । জাস্ট বিরক্ত লাগছে আপনাকে । প্লিজ আমাকে একটু একা থাকতে দিন বলেই অনু কলেজের দিকে চলে গেল ।


অনল শুধু নির্বাক হয়ে চেয়ে রইলো, কিছু বলার ক্ষমতা সে হারিয়ে ফেলেছে । কতো পরিকল্পনা করেছিল সে কিন্তু কিছুই হলো না। হাতে থাকা উপহারের প্যাকেটের দিকে তাকিয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। তাকে অনু কোনোদিন বলেনি জন্মদিনের কথা আর তাদের বাড়িতে কোনোদিন জন্মদিন উপলক্ষে কিছুই হয়নি। এসব তাদের মতো দরিদ্র মানুষের কাছে বিলাসিতা করার মতো মনে হয় । আজ সকালে অনুর ফোনে অনুর বন্ধুদের জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা দেখে তাকে সারপ্রাইজ দিতে নিজের জমানো সব টাকা দিয়ে উপহার কিনেছিল । উপহার দেখে অনুর হাসিমাখা উজ্জ্বল মুখশ্রী দেখতে কতো টা মিষ্টি লাগবে নিজের মনেই কল্পনা করে নিয়েছিল অনল। কিন্তু সমস্ত ভালোলাগার কল্পনা ফিকে হয়ে গেলো অনুর রাগের কাছে । এটা রাগ নয় অনুর অনুরাগ, অভিমান যেগুলো প্রিয় মানুষের সাথেই অধিকার থেকে করা যায় । চোখের সামনেটা কেমন ঝাপসা লাগতে শুরু করল অনলের,ধীরপায়ে চলতে চলতে সামনের একটা পার্কে গিয়ে বসে পড়লো ।


--অনু বাড়ি ফেরার পর মিতা ওকে ধরলো, কি রে আমার দেওর তোকে আজ কি সারপ্রাইজ দিলো?

--মানে?

--আরে বাবাহ আজ রেস্টুরেন্ট থেকে অনেক রিকুয়েস্ট করে ছুটি নিয়েছে তোর সাথে সারা বিকেল ঘুরবে বলে । আবার মুভি টিকিট ও কেটেছে আমাকে বলেছে যাওয়ার সময় । তাহলে তুই এখন বাড়িতে কেন? আর অনলও একটু আগে বাড়িতে এসেই ড্রেস পাল্টে কোথায় বেরিয়ে গেলো?


--ওনার রেস্টুরেন্ট থেকে ফোন এসেছিল তাই বেরিয়ে গেছে । বলেই নিজের রুমে গিয়ে অবাক হয়ে গেল । বিছানার ওপর হলুদ শাড়ী, চুরি, কানের ঝুমকো আর টিপ দেখে অবাক হয়ে গেল । একটু এগিয়ে গিয়ে শাড়ির ওপর চিরকুট দেখতে পেলো তাতে লেখা আছে, ভালোবাসি প্রিয়। অনু কাগজটা হাতে নিয়ে বসে পড়লো । তার কান্না আসছে খুব করে । উপহার পেয়ে নয় তার কষ্ট হচ্ছে সে রাগের মাথায় অনলকে খুব কষ্ট দিয়েছে ।


এদিকে রাত 9 টা হতে চললো এখনও অনলের ফেরার নাম নেই। অনু ব্যালকনিতে গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আর টুপটুপ করে চোখের জল ফেলছে ।


--দরজা খোলার আওয়াজে অনুর ঘোর ভাঙলো । অনু চোখের জল মুছে ব্যালকনি থেকে খুব দ্রুত এসে দেখল অনল ঘরে এসেছে । বাইরে ড্রেস ছেড়েই রুমে এসেছে । অনল গিয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়লো , কোনো কথা বললো না। এতে যেন আরো কষ্ট পেলো অণু । অনল সারাদিনের কতো কথা তার সাথে বলে ঘুমানোর সময় কিন্তু আজ কিছুই বলল না। আমার দেওয়া আঘাতের পরিমাণটা বড্ড বেশি। অনুও কিছু না বলে পেছন থেকে দুহাত দিয়ে অনলকে জড়িয়ে ধরলো । অনল কিছু না বলে চুপচাপ শুয়ে থাকলো । কিছুক্ষণ পরে পিঠের কাছে উষ্ণ ফোঁটা ফোঁটা জলের উপস্থিতি আর অনুর শরীরের কম্পন জানিয়ে দিচ্ছে অনু কাঁদছে । অনলকে খুব কষ্ট দিচ্ছে অনুর অশ্রুবিন্দু । মেয়েটা জন্মদিনের দিন তার কারনে কাঁদছে ভাবতেই অনলের বুকটা হুহু করে উঠলো । অনল অনুকে সরিয়ে উঠে বসতেই অনু অনলকে জড়িয়ে নিয়ে জোরে কেঁদে দিলো ।


-- কি হলো অনু এতো কাঁদছো কেন?

--তুমি এতোক্ষণ কথা বলোনি কেন?

অনল কিছু না বলে তার দুই বাহুর মাঝে অনুকে বন্দী করে অনুর কপালে উষ্ণ ঠোঁটের ছোঁয়া দিয়ে বলে উঠলো "শুভ জন্মদিন প্রিয়"। জন্মদিনে মুখে ঝলমলে উজ্জ্বল হাসি ভালো লাগে বলেই অনুর চোখের জল মুছে দিল । তোমার এক একটা অশ্রুবিন্দু চোখ থেকে পড়ার আগে ভাববে তোমার চেয়ে আমায় বেশী কষ্ট দেবে । তারপরও যদি আমায় কষ্ট দিতে মন চায় কান্না করতে পারো ।


আমি আর কোনোদিনও তোমায় কষ্ট দেবো না । তোমার ভালোবাসাকে আমি মূল্য দিয়ে বিচার করিনি বিশ্বাস করো তুমি । দুপুরে বন্ধুদের কথা গুলোয় ঘুরে ফিরে তোমাকেই গরীব বলে অপমান করছিল ওরা । তাই ওদের কিছু বলতে না পেরে তোমার ওপ......

আর কিছু বলার আগেই অনল অনুর ঠোঁটে তার তর্জনী আঙুল দিয়ে চুপ করতে বললো । তোমার কাছে কিছু জানতে চেয়েছি আমি?

--........

-- কি হলো এখন চুপ করে আছো কেন ?

--কোনোরকমে অনু বলে উঠলো ঠোঁটের ওপর থেকে আঙুল টা তোলো।

--অনল কিছুটা হাসি মুখে বলে উঠলো বিয়ের পাঁচ মাস শেষ হতে চললো তবুও আমার ছোঁয়াতে তোমার এই কম্পন গেলো না । লজ্জা পেয়ে অনু মুখ টা নামিয়ে নিলো ।

--অনল খাট থেকে নেমে হলুদ ঢাকাই শাড়ী, চুড়ি , কানের ঝুমকো আর টিপ নিয়ে অনুর হাতে দিয়ে "শুভ জন্মদিন প্রিয়" বলে কপালে উষ্ণ ঠোঁটের স্পর্শ দিলো ।

--অনলের ঠোঁটের স্পর্শে অনু আবার ও কেঁপে উঠলো দেখে অনল উচ্চস্বরে হেসে উঠলো ।

-- তুমি তোমার চশমা কেনার টাকা দিয়ে এইগুলো কিনেছো তাই না?

--না না আমার কাছে ছিল তো টাকা । আর চশমা এখন লাগবে না, আমার চোখ একদম ঠিক আছে বলেই মুখটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিলো ।

--অনু ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে অনলের দিকে । সে জানে অনল চশমা কেনার টাকা দিয়ে এই গুলো কিনেছে । 3 মাস আগেই ডাক্তার অনলকে চশমা পরতে বলেছে । টাকার জন্য কিনে উঠতে পারেনি। তাই অল্প অল্প করে সঞ্চয় করেছিল এই মাসে কেনার জন্য । এতো কেন ভালোবাসে আমায়? আমি কেন ওর মতো এতো ভালোবাসতে পারলাম না।

--অনুর মুখ দুহাতে ধরে অনল বলে উঠলো, শোনো প্রিয় যদি এই শাড়ী, চুরি, ঝুমকো পছন্দ হয় তাহলে এই অলঙ্কারে সেজে নদীর পাড়ে যাবে । আমি তোমার অপেক্ষায় থাকবো। ঠিক পাঁচমাস আগে আমাদের প্রথম দেখার দিনের মতো। আজ যাওয়ার প্লান সাজিয়ে ছিলাম কিন্তু আজ তো হলো না কালই আমাদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপন করবো । কি বলো আমার প্রিয়?

-- অনু অশ্রুসজল চোখে অনলের দিকে তাকিয়ে বললো সরি, এই সবকিছু আমার রাগের জন্য হয়েছে । আমি তখন এমন রাগ না দেখালে এমন হতো না ।

--অনুর নাক টা টিপে দিয়ে বলল , ম্যাডাম ওটা রাগ নয় অনুর অনুরাগ । অনুরাগ প্রিয় মানুষের ওপর করা যায় । অনল বুকে হাত দিয়ে সামনের দিকে কিছুটা ঝুঁকে বলল, আমি আপনার প্রিয় মানুষের তালিকায় থেকে নিজেকে ধন্য মনে করছি । অনলের এই কাজে অনু খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো । অনল একদৃষ্টিতে অনুর সেই হাসিমাখা মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো । মনে মনে শান্তি পেলো এই ভেবে যে দিনের শেষটা প্রিয়জনের হাসিতে হলো। সে বড্ড বেশী ভালোবাসে এই মেয়েকে । কিভাবে এই মেয়ের ভালোবাসায় ডুবে গেলো জানে না সে, আর জানতে চায় না । সারাজীবন এইভাবেই অনুর প্রতিটি অনুরাগে, অভিমানে, কান্নায়, ভালোবাসায় থেকে যেতে চাই ।

--পরদিন গোধূলীক্ষণে নদীরপাড়ে হাতে হাত রেখে একজোড়া দম্পতি সূর্য অস্ত দেখছে । সাদা পাঞ্জাবি, চোখে রিমলেস চশমা পরিহিত অনল তার হলুদ পরীকে নিজের বুকে টেনে নিয়ে এই মুহুর্তের প্রতিটি অনুভুতি অনুভব করছে । এইভাবে ভালোবাসা গুলো ভালো থাকুক প্রতিটি দিন, প্রতিটিক্ষণ ।হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে অনেক দূরে যেখানে রয়েছে 


 তোমার ভালোবাসার সূখের নীড় ।

 আর সেই নীড়ে কাটিয়ে দিতে চাই শত জনম ।

 আমি কল্পনার সাগরে ভেসে চলে যাব,

 যাব তোমার হৃদয় সৈকতে, তুমি দিবেনা ধরা।(সংগৃহীত)

                     

                                

                                     



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance