অপ্রেম'কে
অপ্রেম'কে


অপ্রেম,
সব দেওয়া-নেওয়া আর না-পাওয়া আমি'কে পেরিয়ে এসে বিকারহীন জীবনযাপন তোমার। এই শহরের মেঘেরাও বড় বেশি চুপ করে থাকে আজকাল। অথচ আমার শহুরে জীবনের প্রত্যেক পরতে পরতে নীল রং ছুঁইয়ে দিতে তোমার মতন অত সাবলীল তো কাউকে দেখিনি। শব্দমাখা যে পথ ধরে আমরা হেঁটে গেছি বহুকাল ,সেওআজ নৈ:শব্দে মুখ ঢেকেছে। এই মিথ্যে কথার শহরে আজও যখন নীলচে সন্ধ্যে নামে তখন ওই কৃষ্ণচূড়ার লাল পাঁপড়িগুলো অভিমানী হাওয়ায় টুপ টুপ করে ঝরে পড়ে। অবাধ্য হয়ে ছিটকে যায় এদিক সেদিক। আকাশের গলায় ঝুলে থাকা মেঘের দল মুখ ভার করে বসে থাকে খেলতে না পাওয়া বাচ্ছার মতন। একটু আদুরে ছোঁয়াতেই যেন সমস্ত মান-অভিমান ভুলে গিয়ে অঝোরধারায় ঝরে পড়বে ওরা। বহুতলের আবাসিক জীবন ও সান্ধ্য আমোদে ডুবে থাকা এই পুঁজির শহর তোমার তল পায় কী করে? এই শহরের কোনো উত্তুরে গলির ভিতর যদি একদিন হঠাৎই দেখা হয় আমাদের তবে ?? তুমি কী তখনো একইরকম? খোঁচা খোঁচা চাপদাড়ি আর চুপকথা পড়ে ফেলা দৃষ্টি নিয়ে তুমি কী তখনো আমার,অপ্রেম? সহজকথায় কী তুমি তখনো জেনে নিচ্ছ আমাকে? একের পর এক পুড়তে থাকা গোল্ডফ্লেক কী তখনো থমকে যাচ্ছে হঠাৎ ছোঁয়ায়? এতকিছু পেরিয়ে এসেও তখনো কী তুমি খিলখিলিয়ে হাসছো? আর আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলে গেয়ে উঠছো--
"অভি তো কুছ কাহা নহী!
অভি তো কুছ শুনা নহী!"
অপ্রেম,আমি তখনো শুধু ভাবছি--
"পথ বেঁধে দিলো বন্ধনহীন গ্রন্থি।
আমরা দুজন চলতি হাওয়ার পন্থী..."