PIJUS SARKAR

Inspirational Others

3  

PIJUS SARKAR

Inspirational Others

অণুগল্প -

অণুগল্প -

1 min
203



   করোনা-আবহে লকডাউনের মাঝে মে মাসের শেষদিনটি প্রণয়ের কর্মজীবনে পূর্ণচ্ছেদ টেনে দিল। সকাল থেকেই তাই তার মন ছিল ভারাক্রান্ত। স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক কেউই আসে না, বাড়ি বসে অনলাইনে চলছে পড়াশুনো। দু-চারজন অফিসস্টাফ আসে -- তার মধ্যে হেমন্ত তাকে ফোন করে বলল, " আজ অ্যাটেনডেন্স খাতায় আপনি সই করতে আসবেন তো? আমি আছি বেলা দু'টো পর্যন্ত ।" বেলা সাড়ে এগারোটার পর অফিসরুমে শেষবারের মতো সই করল প্রণয়। স্কুলবাড়িটা খাঁ-খাঁ করছে। পায়ে পায়ে সেই ক্লাসরুমের সামনে এসে দাঁড়াল যে-ঘরে মাস তিনেক আগে ঘটা করে চঞ্চল মৈত্র কে বিদায়-সম্বর্ধনা জানানো হয়েছিল। এমন দুঃসহ পরিবেশ না-হলে হয়তো তারও জীবনে তেমনটাই ঘটতো। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাড়ি ফিরে ছলো সে।


    দুপুর গড়িয়ে বিকেল -- কনফারেন্স কল মারফৎ প্রণয় ক্লাস চালিয়ে গেল।বেলা চারটেয় ক্লাস শেষ হওয়ার পর স্কুলের হোয়াটস অ্যাপ- এ আপডেট দিয়ে দিল। একটু পরেই তার মোবাইলের রিংটোন বাজল। ফোন করেছে সুস্মিত, " সত্যি আপনার স্ট্যামিনা আনলিমিটেড ! ফেব্রুয়ারির শেষদিন সম্বর্ধনা-সভায় কিন্তু চঞ্চল মৈত্র-র মতো পেশাদার অভিনেতাও কেঁদে ভাসিয়েছিল !"


দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্রণয় বলল, " আমার দিনটা তো বৃথাই গেল !"

"না, এটা কিন্তু ঠিক কথা নয় !" অনুযোগের সুরে বলে উঠল সুস্মিত, "দেখুন, ফেব্রুয়ারির বেতন 

আমরা পেয়েছিলাম মার্চের সাত - আট তারিখ নাগাদ অথচ আজ মে মাসের শেষদিনে আমাদের অ্যাকাউণ্ট পূর্ণ হয়ে গেছে, আপনারই দৌলতে ! রাজ্যের শিক্ষা তথা অর্থদপ্তর আপনার অবসরের শেষমাসের স্যালারি হাতে-হাতেই দিয়ে দিলেন ! এর চেয়ে বড়ো ফেয়ার ওয়েল আর কীই বা হতে পারে !

          







Rate this content
Log in

Similar bengali story from Inspirational