আমি চেষ্টা করে ছিলাম
আমি চেষ্টা করে ছিলাম


আমি সৌহার্দ্য, আমি এখনকার আর পাঁচটা ছেলে মেয়েদের মতনই লিখতে ভালোবাসি কিন্তু এমন না যে আমি প্রেমে ব্যর্থ হয়ে লেখালেখির প্রতি ঝোঁকটা বেড়েছে বা এই এখনকার চার-পাঁচটা ফেসবুকে লাইক শেয়ার এর জন্য , আমার ঝোঁকটা বেড়েছে। আমি আসলে লিখতাম ক্লাস সেভেন থেকে কবিতা লিখতাম গল্প সে ভাবে লিখতে পারিনি চেষ্টা করতাম, ডাইরি লিখতাম রোজ। বেশ ভালোই ছিল এবার এসে গেলো ক্লাস টেন স্বভাবতই বাবা মায়ের সচেতনতা আমার প্রতি বেড়ে গেলো। আমার গল্পের বই গুলো উঠে গেলো আলমারির মাথায়, লেখা লিখি বন্ধ হয়ে গেলো । তার মানে এই নয় যে আমার বাব মা আমার উপর পড়াশোনা এর চাপ দিতেন ওনারা চাইতেন যে আমি এখন যেনো ওসব না করে কটা দিন মন দিয়ে পড়ে ভালো রেজাল্ট করি । তার পর দেখতে দেখতে দু বছর কেটে গেলো ভালো ভাবে কিছুই লিখিনি বলতে গেলে মানে ভেবেছিলাম কি হবে আর লিখে কোনোদিনও কি আর ওই দিয়ে কিছু হবে ।তাই চাপা পড়ে গেছিলো সব কটা ডাইরি , হঠাৎ একদিন সেই ডাইরি গুলো খুঁজে পেলাম একটা বাক্সের মধ্যে, বই গুলোর উপরের ধুলোর আস্তরণটা যেনো আমাকে ব্যঙ্গ করে বলছে কি সব স্বপ্ন ধুলোতে মিশে গেলো তো এবার। তখন সবে ক্লাস টুয়েলভ এর এক্সাম টা দিয়ে ছুটিতে আছি, খুঁজছিলাম হাতড়াচ্ছিলাম কোনো একটা পথ নিজের মধ্যে জমে থাকা অনেক কথা প্রকাশ করতে চাওয়ার একটা রাস্তা, এই সবের মধ্যে কখন যে দুম করে কলেজে চলে গেলাম বুঝতেই পারলাম না । কলেজ টাই এ
সে দাড়ালো আমার জীবনের একটা মোড় ঘোরানো সময় যেখানে আমি খুঁজে পেলাম অনেক পথ নিজের লেখা বা মনের ভাব প্রকাশ করার । শুরু হলো নতুন করে আবার লেখার যাত্রা আর বন্ধুদের সাপোর্ট পেয়েছি অনেক। মা বার বার বলতো "পড়াশোনাটা ঠিক ভাবে করে যত খুশি লিখে যা আমরা তো মধ্যবিত্ত বাড়ির ওই দিয়ে কি আর সংসার চালাবি" তাই মায়ের কথা মাথায় রেখে পড়াশোনার সঙ্গে একটু একটু লিখে যাই কোনো একদিন লেখক হওয়ার আশায়, জানিনা কিছু পারবো কিনা কিন্তু এই যে লেখার চেষ্টাটা আমকে বেশি ভালোবাসায়।
ওই কথায় আছেনা " way of destination is far more interesting than the destination itself"
আমি লিখি কারণ আমি লিখতে ভালোবাসি অনেকের খারাপ লাগে অনেকের লাগেনা কিন্তু বার বার আমি লেখার ইচ্ছা জুটিয়েনি মা আর আমার কয়েকটা বন্ধুদের সাপোর্ট এর জোরে।
প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়তো সেই ভাবে হয়নি কারণ এখন যে পরিস্থিতিতে আছি সেটাই হয়তো আমার সব থেকে বড় প্রতিকূলতা কারণ কিভাবে কলেজের সাথে সাথে টিউশসন পড়িয়ে এসব সংগ্রামকে কাটিয়ে উঠে লিখে যাচ্ছি এটা একটা প্রতিকূলতাই বটে। জানিনা আরো কি কি প্রতিকূলতা আসতে চলেছে। হয়তো কোনদিন লেখক হয়ে গেলে প্রতিকূলতা গুলো ভালোভাবে বোঝাতে পারবো আরো সুন্দর ভাষা দিয়ে আরো ভালোভাবে।
তবু শেষে অন্তত নিজেকে এটা বলতে পারবো যে
"তুই চেষ্টা করেছিলি"