শেষপাতে মৃত্যু চাই
শেষপাতে মৃত্যু চাই
বালির উপরে এসে বসেছে মাছরাঙ্গা। চারপাশ ঘিরে রয়েছে মৃত প্রেমের আত্মীয়রা। রাত্রি খোদাইয়ের দায়িত্ব নিয়ে সব আলো নিভিয়ে দিয়েছে জোনাকিরা। খুব দূরে দেখা যায় সবুজ গাছের বন; যার একপাশে মাঠ, অন্যপাশে অশ্বত্থ। নিভে যাওয়া বাতিঘরের মশাল তুলে হেঁটে চলেছেন এক বৃদ্ধ সন্ন্যাসী। তুমি কি টের পেয়েছো অচেনা ভেলায় শীর্ণ বসন্তের দাগ? ওরা পেয়েছিল; উঠান ছাড়িয়ে, পাহাড় এড়িয়ে এক দক্ষিণ দিগন্তের সন্ধান। কেউ কবিতা হতে চাই, কেউবা কবি। সে মৃত্যু হতে চেয়েছিল। অন্তিমতম রজনীতে এঁকে যেতে চেয়েছিল ধূসর মহাকাশ। ক্ষতবিক্ষত ইমারতের ছায়ায় নিজেকে আবিষ্কার করেছিল সে, দ্ব্যর্থহীনভাবে। তার রেখে যাওয়া শেষ আর্জি এখনও আমাকে রাস্তায় এনে দাঁড় করায়। রোজ।
আমার বালিশের নীচে একটি তোয়ালে রেখো তুমি, আর রেখো একটি প্রদীপ...