স্বাধীনতার মানে
স্বাধীনতার মানে
স্বাধীনতার মানে হল হপ্তা শেষে ছুটি,
ব্রেকফাস্টে আলুর দম, গরম গরম রুটি।
ব্যাগ হাতে হেলতেদুলতে মাছবাজারে যাওয়া,
আড্ডা মেরে ফিরে বউয়ের গালমন্দ খাওয়া।
সকাল থেকে কয়েক প্রস্থ চা আর বিস্কুট,
সঙ্গে চাই বাদামভাজা, মুড়ি আর ডালমুট।
অফিস যাবার বালাই নেই, আয়েস করে শোয়া,
ওয়াসিং মেশিনে ময়লা কাপড়চোপড় ধোয়া।
সারাদিন ল্যাদ খাওয়া, খাতা-পেন নিয়ে বসা,
ছুটির দিনে ভালো লাগে না আলু-পটলের রসা।
লাঞ্চেতে চাই আলুপোস্ত, ইলিশমাছের সর্ষেবাটা,
দেশি মুরগি হলে ভালো, নইলে চাই কচি পাঁঠা।
খাবার পর ইয়া ঢেঁকুর, বিছানায় শুয়ে ঘুম,
ডিস্টার্ব করলে কেউ, “কেয়া করতে হো তুম?”
সন্ধেবেলা চায়ের সাথে হিন্দি ফিল্মে আত্মহারা,
রহস্যভেদ “কাটাপ্পা নে বাহুবলী কো কিঁউ মারা?”
অ্যাকশন আর ডান্স সীনে জুত করে বসি,
হেনকালে গগনেতে জেগে ওঠেন শশী।
ছাদে গিয়ে আরামচেয়ারে বসে খাই দোল,
মৃদু হিমেল হাওয়া প্রাণে জাগায় হিল্লোল।
চুপিসারে সুখটানেতে কখনো হয় না ভুল,
স্বাধীনতার মানে মেজাজ ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কুল কুল।