ওই গোঁয়ার মেয়েটি।
ওই গোঁয়ার মেয়েটি।
ওই যে এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে গোঁয়ার মেয়েটি,
ওর মায়াবী কাজল চোখ দুটো আর ভাসে না অনুভূতির জলে।
ও বড্ডো ভালো জানে,
বুকে কাঠকয়লা পুড়িয়ে,
জলরং দিয়ে রামধনু আঁকতে পারবে না।
দু চোখে ভরা নান্দনিকতার সুবাসে মাতলেও,
বুক ভরা নীলচে রং টা তার ইন্দ্রিয় গুলো কে অবশ করে দিয়েছে,
তাই আঙ্গুল গুলো তে নিকোটিন টা বড্ডো বেশি মানানসই,
আর তুলি টা নিছক জল্পনা।
জেদ আর অভিমান ওর কঠিন অসুখ,
তবুও আরোগ্য খোঁজার আশা রাখে ও।
ওর বাইরের আবরণ ট
া বলে ও নীলচে আশায় বাঁচে না,
বাঁচে স্বীকারোক্তির রামধনু তে।
তবু মাঝরাতে ওই কৃত্রিম রামধনু রংটার উপর
ভারী হয়ে ওঠে বিষাক্ত নীলচে আভা,
আশাহত শব্দ গুলোর গোঁঙানি গুলো ওর কানে তালা ফেলে দেয়,
ঘোর ভাঙে আবার কাক গুলোর হুড়োহুড়ি তে
ব্যাস্ত হয়ে ওঠে ওই মেয়ে টা,
জানে ও,
আবার গতকাল এর ধাঁচে আজও রঙ্গন মঞ্চে
রামধনুর আলো সাজিয়ে যাত্রার আসর বসবে,
আর অভিনেত্রী হবে অখ্যাত ওই গোঁয়ার মেয়েটাই।