তিতলি এবং তিতিন
তিতলি এবং তিতিন
[পার্ট :১ ] কমলা আলো মুখের ওপর পড়তেই ঘুমটা ভেঙে গেলো। দুপুরবেলা খাওয়া সেরে পড়ার টেবিলে বসতেই দুচোখে যেনো ঘুম নেমে আসছিলো।কিছুতেই খোলা রাখা গেলোনা চোখদুটো। বিছানার ওপর গা এলিয়ে দিতেই চলে গেলো ঘুমের রাজ্যে। আধা ঘন্টার জায়গায় তিন ঘন্টা হয়ে গেছে। ঘড়িতে দেখলো কাঁটায় কাঁটায় বিকাল পাঁচটা বাজছে।মা বাবা দুজনেই ঘুমাচ্ছে। কী করা যায়? এখন পড়তে বসার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই। তাছাড়া মাথাটাও ধরেছে খুব। এক কাপ চা হাতে নিয়ে ছাদে গিয়ে বসলো তিতলি।
সুন্দর ঠাণ্ডা বাতাস হচ্ছে। বাতাসে তার চুলগুলো উড়ছে। এর মধ্যে গরম চা’টা খেতে বেশ লাগছে। তবে আকাশটা মেঘলা। বৃষ্টি হবে বোধয়। ভালোই হবে হলে।বৃষ্টি হলে সে আজ ভিজবে।মায়ের কোনো বারণ শোনা হবেনা আজ।আজকে হলো মন ভালো থাকার দিন।
কতদিন যে ছাদে আসা হয়না তার কোনো ঠিক নেই। খাঁচায় রাখা কবুতর গুলো জোরে জোরে ডাকছে।মিষ্টি একটা গন্ধ আসছে। কিন্তু কোথা থেকে আসছে সেটা বোঝা যাচ্ছেনা। ঠিক এমন সময়ে চায়ের কাপটার গা ঘেষে একটা অদ্ভুত জিনিস উড়ে গেলো। সাথে সাথে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালো তিতলি। সবকিছু এতো দ্রুত ঘটে গেলো যে বোঝাই গেলোনা আসল জিনিসটা কী। কোনো পোকা? নাকি মাকর্সা? উড়ন্ত তেলাপোকা না তো? বাপরে! তেলাপোকা যে ভীষন ভয় পায় সে।কোনোমতে সব ভয় বিসর্জন দিয়ে বামে ফিরতেই চোখে পড়লো একটা প্রজাপতি। জীবনে অনেক প্রজাপতি দেখা হয়েছে কিন্তু তাই বলে এতো সুন্দর! গাঢ় নীল রঙের ওপর কালো আর সাদা রঙের ছিটা।