সময়
সময়
"না, একদম না, তুমি ঝাড়ুতে হাত দেবেনা , তোমার জন্য নয় এসব কাজ...."
সুনন্দ বলে, কিন্তু মা, তুমি তো সেই কখন থেকে গজগজ করছ, শ্যামলী মাসি আজ কাজে আসেনি বলে, তোমাকে রান্না সেরে আবার ঝাড়ু দিতে হবে, তাই আমি ভাবলাম ঝাড়ুটা দিয়ে দি আমি, তাতে তোমার উপকার হবে একটু, রান্না ঘরে তো ঢুকতেই দাওনা একটুও, বোন তো কত কাজ পারে কিন্তু আমায় তো শেখাওনা কিছুই....
ধমকে ওঠে মিত্রা...
" বোনের সাথে নিজের তুলনা করবে না, বোনকে তো শ্বশুরবাড়ী যেতে হবে, কাজ না শিখলে যে নিন্দে হবে, তাছাড়া মেয়েদের ঘর কন্নার কাজ যে শিখতেই হয়, তোমার এসব শেখার কি দরকার? তুমি তো পুরুষ মানুষ,
সুনন্দ অবাক হয়, সংসার তো সকলকে নিয়ে, তবে কেন এই বিভাজন? কিন্তু মায়ের সাথে তর্ক করা বৃথা সেটা সে জানে, কারণ মা কোনও যুক্তির ধার ধারে না।
মুখে বলে "কিন্তু মা, বোনের যে পরীক্ষা চলছে , ওতো পড়ছে....."
আবারও ধমকায় মিত্রা " তোমাকে এসব ভাবতে হবেনা, নিজের কাজ করো, যাও, "
///////////////////////////////
আজ মধ্য চল্লিশে স্ত্রী অলিভিয়ার অসুস্থতার দিনে যখন একটু ভালো করে চা টুকুও নিজের জন্য, অলিভিয়ার জন্য করতে পারেনা , তখন মায়ের ওপর বড় রাগ হয় সুনন্দর।
তেতো চায়ে চুমুক দিয়ে মাকে মনে মনে বলে, "এমনটা কেন করলে মা তুমি, আমার সাথে??????"
না: অলিভিয়া সুস্থ হলে ওর কাছে শিখে নিতে হবেই সবটুকু.......