শীতের এক পড়ন্ত বিকালের প্রেম
শীতের এক পড়ন্ত বিকালের প্রেম
প্রিয়া গার্লস স্কুলে পড়তো আর প্রদীপ তার পাশের একটা স্কুলে পড়তো দুজনেই দুজনকে প্রত্যেকদিন যাওয়ার সময় দেখতো এবং আসার সময় দেখতো । কিন্তু ওদের কখনো সেভাবে কথা বলা হয়ে ওঠেনি কারণ প্রিয়ার মা স্কুলে নিতে আসত তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য । এই ভয়ের জন্য সে কখনোই প্রিয়ার সাথে দেখা করে উঠতে পারেনি । এভাবেই চলতে থাকে তাদের চোখের পলকের মিলন কিন্তু সে একদিন ভাবল দেখা করবে তার সাথে কিন্তু সরাসরি না বলে, প্রদীপের একটা বান্ধবীর কাছে সে একটা চিঠি লিখল প্রিয়ার জন্য । চিঠিটা প্রিয়া হাতে পেতেই তার মুখ যেন লজ্জায় লাল হয়ে গেল এবং সে চিঠিটা পড়ে মনে মনে হাসতে শুরু করল । সেও একটা চিঠি লিখল এবং প্রদীপকে পাঠানোর জন্য একটা বান্ধবীর কাছে দিল। প্রদীপ লিখেছিল আমার নাম প্রদীপ আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। এবং তোমার সাথে দেখা করতে চাই অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম কিন্তু বলতে পারিনি আজ তাই বলেই ফেললাম জানি তুমি আসবেনা তাও চিঠিটা লিখলাম ।
ছেলেটি দুদিন অপেক্ষা করার পর প্রিয়া যে চিঠিটা লিখেছিল সেটা হাতে পেল । মাসটা ছিল জানুয়ারি, ঠান্ডা কনকনে আর শনিবারের একদিন পড়ন্ত বিকালে তারা দুজনে একটা পার্কের দেখা করতে গেল এভাবেই তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। দুজনেই দুজনকে দেখে খুব লজ্জা পাচ্ছিল এবং মনে মনে হাসছিল আর প্রদীপ সে লজ্জায় কিছু বলতে পারছিল না। এমনকি প্রিয়া ও তাই হঠাৎ প্রদীপ ওপাশ থেকে বলে উঠলো তোমার নাম কি জানতে পারি উত্তরে এ পাশ থেকে হালকা মিষ্টি সরে ভেসে আসলো প্রিয়া, ছেলেটি বলল, আমার নাম প্রদীপ এভাবেই কিছুক্ষণ তাদের কথাবার্তা চলতে থাকার পর সন্ধ্যে সন্ধ্যে হওয়ার আগেই তারা একে অপরের হাত ধরে বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করে এভাবেই তাদের প্রেম আলাপ চলছিল তাদের বয়স ছিল 20 হঠাৎ একদিন মেয়েটির মা জানতে পারে প্রদীপের সাথে মেলামেশার ব্যাপারটা তারপর প্রিয়ার মা ছেলেটিকে বাড়িতে ডাকে প্রদীপ ভয়ে কিছু বলতে পারছে না
প্রিয়ার মা তাকে বসতে বলল প্রদিপ বসার পর প্রিয়ার মা তাকে জিজ্ঞাসা করল কবে থেকে এই সব শুরু করেছে প্রদীপ কিছু বলতে না পেরে প্রিয়া তার মাকে থামিয়ে দিতে বলে কিন্তু তার মা থামতে চায় না কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর প্রদীপ উত্তর দিল এবং তারপর প্রিয়ার মা সব কথা শুনে প্রদীপ কে বাড়ি যেতে বলল এবং তারপর প্রিয়া বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রিয়ার বাবা কে বলল তার মা ভালো সম্বন্ধে দেখতে কিন্তু প্রিয়া কাঁদতে শুরু করল এবং প্রদীপকে ফোন করল করে এই সব কথা বলল প্রদীপ এই কথা শুনে সেও কাঁদতে শুরু করল তারা দুজন একটা সিদ্ধান্ত নিল যে তারা বিয়ে করবে না হলে দুজনেই মরে যাবে ফোনটা রেখে দিল তার মা আসার জন্য প্রিয়া খাওয়া-দাওয়া ঘুম বন্ধ করে দেয় প্রদীপ প্রিয়ার বাড়িতে আবার আসে এবং তার বাবা মার সাথে কথা বলতে চাই। এভাবেই কিছুক্ষণ হয়ে যাওয়ার পর প্রিয়ার বাবা-মা আসার পর প্রদীপ কথা বলে আন্টি আমরা একে অপরকে খুব ভালোবাসি তাই কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারবো না এভাবে প্রদীপ এবং প্রিয়া দুজনেই কাঁদতে থাকে তারপর থেকে দুজনে সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় এবং বাড়িতে আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় এভাবে কটা মাস যাওয়ার পর প্রিয়ার মা আমার সেই প্রদীপকে ডাকল তার বাড়িতে এবং বিয়ে ঠিক করল তাদের সাথে এই কথা শুনে প্রিয়া উপর থেকে দৌড়ে ছুটে এলো এবং হাসতে হাসতে মাকে খুব আদর করলে এবং জড়িয়ে ধরল । এভাবেই প্রদীপ এবং প্রিয়ার ভালবাসার জয় হল এবং তাদের সেই মিষ্টি মধুর প্রেম সার্থক হল ।।

