পরকীয়ার বিপদ
পরকীয়ার বিপদ
আমি একজন নির্ভেজাল নিরীহ বাঙালি - একদিকে মায়ের শান্তিশিষ্ট ছেলে আবার অন্যদিকে পত্নীনিষ্ঠ স্বামী।
কোনও সমস্যা ছিল না। দিব্যি শান্তিতে ছিলাম। সমস্যা বাধাল প্রিয়া - ও আমাদের পত্রিকার অফিসে সবে ঢুকেছে। জানিনা কেন যেন ওর দিকে তাকালেই বুকের মধ্যে কি রকম একটা করে। ইচ্ছে হয় নানা অছিলায় ওর সঙ্গে কথা বলি, একসঙ্গে চা খাই, রাস্তায় ঘুরে বেড়াই।মনের এই অদম্য ইচ্ছাটাকে পূরণ করার এক বাসনা নিয়ে অফিসে দিন কাটিয়ে চলেছি। এর মধ্যে একদিন
তার সুযােগও এসে গেল। জানিনা উপরওয়ালা কেন এত সদয় আমার উপরে!
একদিন অফিসের একটা কাজে প্রিয়াকে ডেকে পাঠালাম। প্রিয়া হাসিমুখে আমার সামনে এসে দাঁড়াল।
আমি বললাম, বসুন।
প্রিয়া আমার সামনে বসল।
জিজ্ঞেস করলাম, আপনি চা খাবেন?
প্রিয়া বলল, না।
কফি?
হরলিক্স?
না।-বলে প্রিয়া হেসে ফেলল।
প্রাথমিক এই সব কথা শেষ করার পরে, এবার আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী?
প্রিয়া জোর দিয়ে বলল, অবশ্যই।
-পুরুষের স্বাধীনতায়?
-পুরুষের স্বাধীনতার দরকার নেই। পুরুষেরা তাে এমনিতেই স্বাধীন।
-মােটেও না। পুরুষেরা নারীদের চেয়েও পরাধীন। এই আমার কথাই ধরুন। বাড়িতে আমার মা আছে, স্ত্রী আছে। তাদের অমতে কোনও কাজ করতে পারি না। তারা যা বলবে তাই আমাকে শুনতে হবে। না শুনলে অশান্তি। আমি কাউকে এখন ভালবাসতে চাইলে ভালবাসতে পারব না। আমার স্ত্রী বা মা যদি কথাটা জানতে পারে, তা হলে আমার দফারফা।
প্রিয়া এবার হেসে বলল, জানতে পারবে কেন?
আমিও হেসে বললাম, কী করে যে জেনে যায়, তা বলতে পারব না।
-এরকম কি কখনও হয়েছে ?
-হয়নি। তবে হতে কতক্ষণ? কারণ, পুরুষের মন ভালবাসার ব্যাপারে বড়ই চঞ্চল। কখন যে কাকে ভালবেসে বসবে, তার ঠিক নেই। বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম, এবার কাজের কথায় আসি। সামনের রবিবার একটা কভার স্টোরি বেরোবে। বিষয় : নারী স্বাধীনতা।
আপনাকে এই বিষয় নিয়ে সাড়ে তিন হাজার শব্দের মধ্যে একটা লেখা তৈরি করতে হবে। পারবেন তাে?
প্রিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে বলল, পারব।
আমি তা শুনে বললাম, তবে একটা কথা মনে রাখবেন, লেখা যেন সহজ-সরল হয়। পাঠকেরা যেন লেখা পড়ে বুঝতে পারে।
আচ্ছা।
তা হলে আজই লেখা শুরু করে দিন। পরশু দিন লেখাটা চাই।
এত তাড়াতাড়ি!
-হ্যাঁ
-চেষ্টা করব। বলে প্রিয়া চলে গেল।
নিজের কথা ভেবে নিজেই অবাক হলাম - এ কী হল আমার! এরকম তাে হওয়ার কথা নয়। ঘরে আমার সতীসাধ্বী স্ত্রী আছে।সে আমাকে ভালবাসে। আমিও তাকে ভালবাসি। সংসার জীবনে আমি খুশি, তৃপ্ত - তবু কেন আমার এই মতিভ্রম? কেন প্রিয়াকে ভুলতে পারছি না? অফিসের মধ্যে আমার এই বেসামাল অবস্থা গােপন রেখেই কাজ করতে লাগলাম। তবে মনের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দের প্রেমের কবিতার পঙক্তি ঘুরে ঘুরে আসতে লাগল। কেন আসতে লাগল, তা জানি না। তারপর মনে হল যে একটা কবিতা লিখি। কিন্তু আমি কোনওদিন কবিতা লিখিনি, কী করে কবিতা লেখা হয়, তাও জানি না। যদি জানতাম একটা প্রেমের কবিতা লিখে ফেলতাম। কিন্তু তাও সম্ভব নয়। আমি গদ্য লিখি। গদ্যে কি প্রেম জানানাে যায়? যায়, অবশ্যই যায়। সমস্যা হল। আমি আমার কাগজে যে-ধরনের গদ্য লিখি, তা দিয়ে আর যাই যােক প্রেম করা যায় না।
প্রেম করার জন্যে যে-ধরনের নরম নরম মিষ্টি মিষ্টি গদ্য লেখা হয়, তা লিখতে আমি জানি না।
যদি জানা থাকত তা হলে কোনও অসুবিধে হত না। আমি এখনই তা লিখে ফেলতাম। লিখে প্রিয়ার হাতে তুলে দিতাম। না, সেটা করা উচিত হত না। প্রিয়া আমাকে নির্লজ্জ ভাবত। শুধু তাই নয়, সেই লেখাটা নিয়ে প্রিয়া হয়ত সম্পাদকের হাতেই তুলে দিত। দিয়ে তারপর আমার বিরুদ্ধে নালিশ করত, আমার বিরুদ্ধে যা-নয়-তাই বলত। সম্পাদক তখন হয়তাে আমাকে ডেকে পাঠাতেন, প্রিয়ার কাছে ক্ষমা চাইতে বলতেন। আমার বেইজ্জতির শেষ থাকত না। এখন তো শুনছি কর্মস্থলে নারীদের যৌন হেনস্থার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নূতন কী সব আইন, বিশাখা কমিটি ইত্যাদি হয়েছে।
তারপর তাদের রায় অনুসারে আমার হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হত। রবিবারের পাতা থেকে আমাকে সরিয়ে অন্য কোনও দফতরে ঠেলে দেওয়া হত। তারপর এই অফিসে আমার পক্ষে কাজ করাই সমস্যা হয়ে উঠত। অতএব কোনও ঝামেলায় যাওয়ার দরকার নেই। যেমন আছি, তেমনই থাকা ভাল। কিন্তু মনকে সংযত রাখা খুব মুশকিল। প্রিয়াকে মন থেকে সরাতে পারলাম না।
সারাদিন এই সব উল্টোপাল্টা চিন্তা নিয়ে কাজ করে ক্লান্ত হয়ে অফিস থেকে বাড়ি ফিরলাম। জামা-প্যান্ট ছেড়ে পায়জামা পরলাম। তারপর হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে টিভির সামনে এসে বসলাম, বসতেই হঠাৎ ভুল সুরে গুনগুন করে গান গাইতে লাগলাম, ঘরেতে ভ্রমর এল গুনগুনিয়ে...।
সঙ্গে সঙ্গে বউ ছুটে এল, মা ছুটে এল।
বউ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, কী ব্যাপার? হঠাৎ যে রবীন্দ্রসংগীত?
মা জিজ্ঞেস করল দীপক, এত খুশি কিসের বাবা ? মাইনে বেড়েছে?
বউ চোখ পাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, তুমি কারও প্রেমে পড়নি তাে?
মা জিজ্ঞেস করল, কী হয়েছে সত্যি করে বল বাবা আমাকে । বউমা যা বলছে তা কি সত্যি?
বউ বলল, শুনেছি মানুষ আনন্দে গান গায়। তা তােমার কিসের এত আনন্দ?
মা বলল, মানুষ দুঃখেও গান গায়।
তাের কিসের এত দুঃখ বাবা ?
আমি এবার বুঝিয়ে বলতে গেলাম, তােমরা যা ভাবছ মােটেও তা নয়। আসলে...
বউ জিজ্ঞেস করল, আসলে আবার কী? তােমার জ্বর হয়নি তাে? জ্বর হলেও মানুষ গান গায়। আমার কাকা জ্বর হলেই গান গাইত।
মা বলল, বউমা, থার্মোমিটারটা নিয়ে এস তাে।
বউ সঙ্গে সঙ্গে থার্মোমিটার নিয়ে এল।
এসে আমাকে বলল, হাঁ করাে।
মুখে থার্মোমিটার দেব।
আমি বললাম, তােমরা কিন্তু পাগলামি করছ। আমার কিছু হয়নি।
মা বলল, হয়েছে, তুই বুঝতে পারছিস না। তুই হাঁ কর। দেখব কত জ্বর হয়েছে।
আমি বললাম, দেখতে হবে না। আমার কিছু হয়নি।
বউ বলল, হয়নি বললে শুনব না।
তােমার কিছু একটা হয়েছে।
লক্ষণ ভাল ঠেকছে না। তােমার মুখে কিন্তু একটা প্রেমের ভাব ফুটে উঠেছে।
বলে মাকে জিজ্ঞেস করল, আপনার কী মনে হয় মা?
মা বলল, আমি কিছু বুঝতে পারছি না।
তােমার শ্বশুর তিন বছর হল মারা গেছে।আমি কোনওদিন তােমার শ্বশুরকে প্রেমে পড়তে দেখিনি। আমিই ছিলাম তার ধ্যানজ্ঞান।
ফলে প্রেমে পড়লে পুরুষের মুখের ভাব কীরকম হয়, তা বলতে পারব না।
বউ বলল, আমি বলতে পারব। বিয়ের আগে একটা ছেলে আমার প্রেমে পড়েছিল। সে আমাকে নিয়ে গুচ্ছের কবিতা লিখে আমাকে শােনাত। আমি কিছু বুঝতাম না। তবে তার মুখে কীরকম একটা ভাব ফুটে উঠত।
আজ আপনার ছেলের মুখে সেইরকম ভাব দেখছি।
আমি এবার শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলাম, তুমি তাকে বিয়ে করলে না কেন?
বউ বলল, সারাজীবন কবিতা শুনতে হবে, এই ভয়ে তাকে ছেড়ে দিলাম। উহ! কী ভয়ংকর দিন গেছে আমার! সেসব ভাবলে আমার আজও আতঙ্ক হয়।
মা বলল, তুমি যখন বলছ বউমা, তখন এ নিশ্চয় কোনও কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছে। বলে।
মা আমাকে জিজ্ঞেস করল, সত্যি করে বল, তুই কোন মেয়ের পাল্লায় পড়েছিস?
বউ জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা মেয়েটি কি তােমাদের অফিসে কাজ করে?
মা জিজ্ঞেস করল, নাকি এই ফ্ল্যাটবাড়ির কোনও মেয়ে? পাঁচতলার অনন্যা বলে একটি মেয়ের সঙ্গে তােকে অনেকদিন কথা বলতে দেখেছি। তুই কি তার পাল্লায় পড়েছিস?
বউ বলল, হতে পারে। আমি কি এখনই অনন্যাকে ডেকে পাঠাব?
সর্বনাশ,এবার আর চুপ করে থাকা যায় না। অনন্যা এলে একটা কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।আমি তাই ক্ষিপ্ত হয়ে বললাম, তােমাদের কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? কী চাও তােমরা?আমি কি বাড়ি থেকে চলে যাব, নাকি আত্মহত্যা করব? ঘরে বসে একটু রবীন্দ্রসংগীত গাইতে পারব না?
আমার কথায় দু'জনেই শান্ত হল।
মা বলল, আজ ওকে ছেড়ে দাও বউমা। আরও দু’দিন দেখাে।
বউ বলল, তাই দেখা যাক।
আমি বললাম, দেখে কী করবে?
মা বলল, যদি দেখি বাড়ি ফিরে আবার রবীন্দ্রসংগীত গাইছিস তা হলে ডাক্তার ডাকব।
বউ বলল, ডাক্তার না। আমি থানায় খবর দেব।
আমি থানার নাম শুনে ভয় পেয়ে চুপ করে গেলাম। মনে মনে ঠিক করলাম ঘরে ফিরে আর কোনওদিন রবীন্দ্রসংগীত বা আধুনিক প্রেমের গানও গাইব না। যদি গাইতেই হয় তা হলে শ্যামাসংগীত গাইব।
তা হলে আমার বউ বা মায়ের কিছু বলার থাকবে না। তবে ঘরের বাইরে গান গাইতে পারি। গাইতে কোনও অসুবিধে নেই। তাই বলে অফিসে গান গাওয়া চলবে না। তবু পরদিন অফিসে হঠাৎ গান পেয়ে গেল আমার । নিজেকে সামলাতে পারলাম না আর । খুব নিচু গলায় ভুল সুরে গাইতে লাগলাম:
আমার পরান যাহা চায়...
আর ঠিক তখনই প্রিয়া ঘরে ঢুকল। আমার গান শুনে প্রিয়া হেসে বলল, কী ব্যাপার দীপক বাবু। অফিসের মধ্যে গান! কারওর প্রেমে পড়েছেন নাকি?
আমি গান থামিয়ে বললাম, হ্যাঁ ।
জানতে পারি কার প্রেমে পড়েছেন?
ইয়ার্কির ছলে বললাম, আপনার।
সে আমার সৌভাগ্য, -বলে দিশা বলল, একটা কথা বলতে এসেছিলাম।
কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কী কথা?
আমার দ্বারা লেখা হবে না। আপনি অন্য কাউকে বলুন।
সে তাে বলতেই পারি। কিন্তু আপনি লিখতে পারবেন না কেন?
লেখার ক্ষমতা আমার নেই।
কী করে বুঝলেন ?
কাল বাড়িতে লিখতে বসেছিলাম। কিন্তু একটা লাইনও মাথায় এল না।
তা হলে থাক। দেখি, অন্য কাউকে দিয়ে প্রবন্ধটা লেখানাে যায় কি না। বলে
বললাম, ঠিক আছে। আপনি এখন আসুন।
প্রিয়া চমকে উঠে বলল, আসব মানে? আপনার সঙ্গে একটু গল্প করতে এলাম।
বললাম, গল্প করার সময় আমার নেই। আমি এখন খুব ব্যস্ত।
ব্যস্ত কোথায়? আপনি তাে গান গাইছিলেন। আমি যদি এখনই কথাটা সম্পাদককে গিয়ে বলি, তা হলে আপনার কি অবস্থা হবে বুঝতে পেরেছেন?
আমি একজন ভীতু মানুষ। তাই ভয় পেয়ে বললাম, না-না, একথা বলতে যাবেন না।
প্রিয়া বলল, বলব না, যদি আপনি আমার কথা শুনে চলেন।
আপনার কথা আমাকে শুনতে হবে কেন?
শুনতে আপনি বাধ্য। কারণ, এই পত্রিকার মালিক আমার মেসোমশাই হন।
আমি প্রায় আঁতকে উঠলাম, তাই নাকি!
হ্যাঁ -বলে প্রিয়া ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
প্রিয়ার মেসোমশাই আমাদের পত্রিকার মালিক। এটা জানার পর থেকে আমি গভীর দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। বুঝতে পারলাম, এবার প্রিয়া যা বলবে, তাই আমাকে শুনতে হবে। না বলার উপায় নেই। তাই বাড়ি এসে ভুল সুরে শ্যামাসংগীত গাইতে শুরু করলাম:
বল্ মা তারা দাঁড়াই কোথা।
সঙ্গে সঙ্গে বউ এবং মা ছুটে এল।
বউ জিজ্ঞেস করল, কী ব্যাপার! আজ যে শ্যামাসংগীত।
আমি বললাম, উহ। তােমাদের জ্বালায় একটা গান গাইতে পারব না?
মা বলল, ওর মতিগতি ভাল ঠেকছে না। একটা ভাল ডাক্তার দেখাও বউমা।
তাই দেখাতে হবে। বলে বউ চলে গেল। মাও আর কথা না বলে চলে গেল।
আমি গান থামিয়ে চুপ করে বসে রইলাম। বসে বসে ভাবতে লাগলাম ভবিষ্যতে আমার সামনে কী কী বিপদ আসতে পারে। প্রিয়াকে ভাল লাগার ফলে যে এমন সমস্যা হবে, তা কে জানত! এখন আর করার কিছু নেই। প্রিয়া যা বলবে তাই শুনতে হবে?
এই বয়সে আমি চাকরি খােয়াতে চাই না।
পরদিন অফিসে ঢুকে সবে কাজে বসেছি, এমন সময় প্রিয়া ঘরে ঢুকে বলল, আজ সিনেমার দুটো টিকিট কিনে রেখেছি। আমার সঙ্গে যেতে হবে।
কখন?
সন্ধ্যেবেলা।
কিন্তু বউ জানতে পারলে...
জানতে পারলে কী হবে? বড়জোর ডিভাের্স। তার থেকে বেশি কিছু নয়।
-সম্ভব নয়।
-খুব সম্ভব। মনে রাখবেন আপনি ঘরে বদ্ধপুরুষ। কিন্তু বাইরে মুক্তপুরুষ। আপনি বাইরে যা খুশি করতে পারেন।
আমার স্বামী আমার কাজে বাধা দিতে এসেছিল, আমি ডিভাের্স করে দিয়েছি।
-আপনি ডিভাের্সি?
-হ্যাঁ,দুদিন পরে আপনিও ডিভাের্সি হবেন। ক্ষতি কী?
আমি বিস্মিত হয়ে প্রিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। ভাবতে লাগলাম তবে কি আমি তাহলে কবির ভাষায় এই গান গাইবো -
"সে আমার কেউ নয়
আমিও তার কেউ নই !
মনে হয় কত শতাব্দী চিনি !
দু'জনেই বয়ে বেড়াই এক অপচয়ের প্রেম কাহিনী…"

