নরক চতুর্দশী
নরক চতুর্দশী


আজ নরক চতুর্দশী। পুরাণ মতে, দেবী লক্ষী নারায়ন এর উপর অভিমান করে মানবজনম গ্রহণ করেন রাজকন্যা পদ্মাবতী রূপে। নরকাশুর মহাদেব কে সন্তুষ্ট করে বর পায়, ১. লক্ষী তার কাছে সারাজীবন বাধা থাকবে।
২. তার সমস্ত পুত্র অজেয় হবে।
৩. এই অসংখ্য পুত্র প্রাপ্তির জন্য সে ১৩০০০ পত্নী কামনা করে। অমরত্বের বর দিতে অসমর্থ মহাদেব অগত্যা এই বর স্বীকার করেন। বর পাওয়া মাত্রই স্বর্গ মর্ত্য পাতাল থেকে নরকাশুড় সমস্ত কন্যা কে অপহরণ করে আনে। শেষ পর্যন্ত পদ্মাবতী কে অপহরণ করলে তিনি সকল কন্যা কে মুক্ত করেন এবং নরকাশুর কে বধ করেন। দেবীর মানবজনম কালে অলক্ষ্মী প্রবল হয় উঠেছিল বলে বৈকুণ্ঠ ফিরে অলক্ষ্মী বিদায় এর আয়োজন করা হয় যে প্রথা আজ ও আমাদের চলে আসছে অলক্ষ্মী বিদায় করে দীপান্বিতা লক্ষী পুজো করার মাধ্যমে।
কোনো কোনো মতে, কৃষ্ণ অবতার কালে এই ঘটনা ঘটে এবং তিনি বড়কাসুর বধ করেন। ওই ১৩০০০ স্ত্রী কে সমাজ বহিষ্কার করায় তিনি তাদের সসম্মানে নিজ রানি দের মহল এ স্থান দেন।( দুষ্ট ব্যক্তি দের মতে কৃষ্ণ সেই নারী দের বিবাহ করেন কারণ তার চরিত্র কলুষিত ছিল) ।
তৃতীয় মতে, নরকাশুর এর রাজধানী ছিল কামরূপ যেখানে সতী রূপে দেবী শক্তি র যোনি ভাগ পড়েছিল। নরকাশুর এর এই আচরণ এ দেবী ক্ষুব্ধ হন এবং কামাখ্যা রূপ ধারণ করেন এদিকে সমস্ত ১৩০০০ নারী একসঙ্গে রজঃ স্বালা হোয়ে পড়ে। দেবী কামাখ্যা রূপে নরকাশুর কে বধ করেন এবং নরক এ থেকে দেবী লক্ষী অশুদ্ধ হয়েছেন বলে তার নিজ হাতে পূজা করেন ও ঘোষণা করেন, এই দিন দেবীর পূজা করলে লক্ষী লাভ সহ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
নরকাশুড় বধ হলে তার পিতা হিরান্নক্ষ পুনরায় মহাদেব কে তুষ্ট করে পুত্র লাভ এর বর চান। যে সে পুত্র না, স্বয়ং মহাদেব এর অংশযাতি। মহাদেব বর দিয়ে বলেন এই পুত্র ও যদি বিপথে যায় তবে মহাদেব এর হাতেই তার মৃত্যু হবে। মহাদেব এর মায়ায় দেবী পার্বতী একদিন কৈলাশ এ শৃঙ্গার করে মহাদেব কে চমকে দেবার উদ্দেশে তার চোখ চাপা দেন নিজের হাতে। ধ্যান মগ্ন মহাদেব এর তেজ এ পার্বতী র থেকে স্বেদ খসে পড়ে। জন্ম হয় অন্ধকাসুর এর।
যাক সে গলপো না হয় অন্য একদিন হবে।