মেয়েবেলার পুজো
মেয়েবেলার পুজো


এই কবিতাটার অনুপ্ররেণা পুজো। আমার মেয়েবেলার পুজো।
এবার পুজোয় ভাসবো আমি আমার মেয়েবেলায়,
খুনসুটি আর দুস্টুমিতে কাটতো নানান খেলায়,
পুজোর জন্য তিনটি জামা ছিলো যে বরাদ্দ,
নুতন জুতো, নুতন মোজা ছিলো নানান ফর্দ,
পূজোর আগে সকাল বিকালে বুলিয়ে নিতাম হাত,
মনের মাঝে আশা ছিলো করবো বাজিমাত,
ষষ্ঠীতে তো. মায়ের বোধন, অপূরূপ অস্ত্রসজ্জা,
প্যান্ডেলে তে তোমায় দেখে পেয়েছিলাম লজ্জা,
সপ্তমীতে নুতন জামার মনকারা সেই গন্ধ,
পুজোর নুতন গানের তালে মন বাধঁতো ছন্দ,
অষ্টমীতে অঞ্জলি আর মায়ের নুতন শাড়ি,
তোমার সঙ্গে মিটিয়ে নিতাম মনের যত আড়ি,
নবমীতে লাইন দিয়ে মায়ের ভোগ খাওয়া,
ও পাশে দাঁড়িয়ে তুমি নিয়ে নীরব চাওয়া,
দশমীতে ঢাকের বলে মনখারাপের সুর,
মা যে যাবে কৈলাসে, সে তো বহুদূর,
এই দিনে নিতাম আশিস করে চরণস্পর্শ,
আগামীর দিনগুলোতে থাকুক প্রাণের হর্ষ,
এবার পুজোয় সেসব দিনে ফিরে যেতে চাই,
দিনগুলো সব ব্যাস্ত আজি, স্মৃতির জায়গা নাই।