মধু, তুমি কোথায়?
মধু, তুমি কোথায়?
শরীরে আলতো ছোঁয়া রেখে, ৩৩ বছর পেরিয়ে গেছে!
স্মৃতিঘরে প্রলেপ জমেছে ধুলোর;
তিন দশক কেটে গেছে, মধুরিমা!
আগে বিশ্বাস করতাম না, বুঝতাম না সময়ের গতিধারা;
তার বেগ, আবেগ! কিছুটা ছেলেমানুষ ছিলাম চিরকাল|
বুঝতে পারি, সময় বয়ে গেছে দ্রুত - কখনোই পারিনি তাকে বেঁধে রাখতে!
তোমার বর্তমান ঠিকানা জানিনা, চিঠির ওপাশে কি লিখবো, তা–ই ভাবছি!
তুমি তো এখন আর শম্ভু-মিত্র লেনের, ওই ভাড়া বাড়িতে থাকো না!
আদ্দিকালকের সেই দোতলা বনেদি বাড়ি, দেওয়াল জুড়ে এদিক-ওদিক আঁকা ফাটলের দাগ|
তুমি এখন নিশ্চই ফ্লাট বা ডুপ্লেক্স!
আচ্ছা, বসন্ত কেবিনের বিকেলগুলো, মনে পড়ে কখনো তোমার?
সেই অন্ধকার অলি-গলি, ফুচকা, আইস-ক্রিম; তুমি সেই বুড়ির চুলের জন্যে, কি ঝোঁকই না করতে … মনে আছে মধু? আমি ভুলিনি কিছুই! যেন সব রয়ে গেছে ওই-একই রকম! ৩৩ বছর সত্যিই কি পেরিয়ে গেছে? সত্যি করে, বলবে?
একদিন দেখা করবো ভাবছিলাম তোমার সঙ্গে! আর, সেই জন্যেই এই চিঠি! কিন্তু, তোমার ঠিকানাটা … ৩৩ বছর পরে, নতুন করে তোমায় খুঁজতে চাই; কাছে চাই|
হারিয়ে যাওয়া কিছু সময়ের দানা কুড়োতে, আজ আবার আমাদের-সেই-ভীষণ-চেনা-শহরে – আমি কলকাতায়; নিছক পথিকের বেশে;
খুঁজছি তোমায়!
মধু, তুমি কোথায়?