Syed Hisham Labib

Inspirational

2.5  

Syed Hisham Labib

Inspirational

গঙ্গা

গঙ্গা

4 mins
1.4K


রাতে ঘুমের মধ্যে দিয়ে সে ফিরে যায় তার ছোটবেলায়, সেই ঘাটেই সে বাসে আছে রামের সাথে। ঘাটে লোকের কোলাহল ( জাযা হয় ঘাটে ) সেই ফাকির আবার কোথা থেকে চোলে এসেছে, পরিচিত সেই সুরেলা গান, শাকের আওয়াজ। আবার সে যেন বড় হতে লাগলো, সবকিছু হারিয়ে যেত লাগলো, এবার সে দেখো এক নতুন গঙ্গাকে, ( নানান দূষণের চিত্র )। খুবি কষ্ট হয় তার,ঘুমের মধ্যেই সে কাঁদে।


    অনেক দিন পর অর্ণব বাড়ি ফিরছে। ট্রেন তার সামনে বসে এক বাঙালি ভদ্র লোক। হটাত প্রধান চরিত্র অর্ণব এর হাত থেকে তার passfort টা পোরা গেলো। সামনের ভদ্র লোক সাটি তুলে দিতে দিতে প্রশ্ন করলেন কি বিদেশ থেকে দেশে ফিরছও ? হা । তা কোথাই থাকতে ? californi আমেরিকা । তা কি করতে সেখানে ব্যবসা না চাকরি ? চাকরি । তা আজ দেশে ফিরছ ? হা । ভিটে মাটির টানে ? না, দেশ দেখবার ইচ্ছা, মা আর গঙ্গার টানে । আর গঙ্গা... তাকে শেষ করে দিল । মানে ! মানে তুমি যখন যাচ্ছ তখন নিজে দেখে নিও ।

    স্টেশন থেকে বেগরে বেরিয়ে এক চা এর দোকানে একটা চা কাকা। দোকানদারকে তার দিকে তাকিয়ে 

থাকতে দেখে, কি দাদা বুঝি চিনতে পারছেনা ? ও অর্ণব! হা অর্ণব। তা এত দিন পর বাড়ি ফিরলে ? হা গঙ্গা

 আবার আমাই টেনে আনলও। এবার তোমরাই পারো তাকে বাঁচাতে। কেন কাকা এমন কেন বলছ ? 

এসেছ যখন নিজেই দেখেনিও।

    গারি করে বাড়ির পথে যেতে যেতে শৈশবের কতো স্মৃতি ফুটে ওঠে তার মানে। সেই ছোট বেলনাকার বাড়ি, সেই পুকুর, সেই আমের বাগান, গঙ্গার প্রতি টান। স্কুল ছুটি হোলেই ছুটে বাড়ি ফিরে মা এর হাতে খেয়ে খেলতে যাওয়া, তার পর ঘাটে কাটতো বিকেল। সেই ঘাট, ঘাটের ধারে সেই গাছ, গাছের নিচে সেই মন্দির আজও কি সেই রকম আছে ? আর সেই ফকীর বাবা, তিনি কি আজও সেই ঘাটে বসে গান করেন ? আর তার প্রাণের বন্ধু রাম, সে কি এখনো গ্রামেই আছে ? ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরে অর্ণব।

     আরে ছোট কর্তা আসুন আসুন, দাঁড়ান কর্তা বাবুকে খবরদি। আরে what a saupprise! দেখি আগে তোমার পাটা দেখি। তার পিঠে একটা চাপড় মেরে বিলেত গিয়েও ভারতীয় আদাব কাইদা ভুলে-যাসনি দেখছি।আজ কাল কার ছেলেরা সব বিলেত গিয়ে নিজেকে কি না কি সব ..... আচ্ছা তুই হাত মুখ ধুয়ানে আমি বরং খাবার লাগাতে বলি।

     আচ্ছা কত দিনের ছুটি তে এসেছ ? মাস কয়েক। আচ্ছা বাবা রাম এর কি খবর ? সেতো এই গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করে। যত দুর শুনেছি ও কোন এক কাজে শহর গেছে। ও!!! তা তোমার প্লান কি বল ? আজ সারা দিন আরাম আর কাল থেকে গঙ্গা....আর তোর ওই গঙ্গা সেই গঙ্গা নেই বাবা.... 

     পরের দিন সকালে, সুপ্রভাত বাবা। সুপ্রভাত, সুপ্রভাত। দেখো তোমার সাথে কে দ্যাখা করতে এসেছে। আরে! রাম তুমি এত সকাল সকাল ? সকাল আর নেই বন্ধু, ৯ টা বাজে। টা কাল মা এর কাছে শুনলাম তুমি এসেছ তাই দেখা করতে চোলে এলাম। তা ভালোই করেছ, আচ্ছা কালিমা কেমন আছেন ? হ্যাঁ, ভালোই। চল বেরোই। আচ্ছা বাবা আমি আসছি। আচ্ছা যা।

     আগে যাবি কোথাই বল ? কোথাই আবার আমাদের সেই আড্ডার জাইগা, সেই ঘাট। সেই ঘাট আর নেই। মানে ? নিজেই দেখবি চল ।

     ঘাট দৃশ্য দেখে জল চোলে আসে অর্ণবের চোখে, তার শৈশবের ঘাটের আর এই ঘাটের মধ্য যে আকাশ-পাতাল এর তফাত। আগের মন পরিচর্যা নেই উলটে জঞ্জালে ভোরে গেছে, আর সেই আগের মত লোক কোলাহল নেই, আছেত কিছু নেশার আড্ডা। রাম তাকে অবগত করাই বর্তমান গঙ্গার সাথে। গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা, আজ তার এই দশা। শুধু গঙ্গা কেন, সারা দেশটার একই দশা। কেউ কিছু বলেনা, কেউ কিছু করেনা ? বলার লোক অনেক আছে, করার লোকও আছে, করছেও অনেক তারা। তাতেও এই দশা ? শত কাজ করেও সরকার বাহাদুরের ঘুম ভাঙেনি। এই ঘুম আমি ভাঙ্গবো। চল, কোথায় ? কিছু লোকের সাথে তোমার পরিচয় করানো খুব দরকার।

     বিকেলে রাম আমাকে নিয়ে গেল বাজারের দিকে, মাঠের এক প্রান্তে কিছু লোক গোল হয়ে বাসে আছে তাদের মাঝখানে এক জন কিছু একটা বলছে। এত খনে আসবর সময় হল তোমার রাম। আরে অর্ণব যে, কবে এলে ? এই আজকেই। এসো এসো। আচ্ছা কি হচ্ছে এখানে ? আমাদের ক্লাবের সাপ্তাহিক অধিবেশন। আচ্ছা তোমরা বসও আমি আসি একটু। তাদের বসার সঙ্গে সঙে এক যুবক মঞ্চে ওঠে এবং গঙ্গা আর sir G D Agarwal নিয়ে এক এমন কিছু কথা বলে গেল যা অর্ণব কোথাও শোনেনি। G D Agarwal নামটা প্রথম বার সে শুনল এবং সেই দিনের সেই ছেলের সেই কথা তাকে এমন প্রভাবিত করবে সেতো ভাবতেও পারেনি।

     বাড়ি ফেরার পথে রাম কে ছেলেটার বেপারে জিজ্ঞেস করতে সে বলে ও নাকি আমাদের অতুল মাস্টারের ছেলে, কোলকাতা থেকে পরিবেশ বিঙ্গানে স্নাতক। আচ্ছা, আমাদেরও কিছু করা উচিত। কি নিয়ে ? এই দেশটাকে নিয়ে। কি করতে চাও ? আমি আজই PMO কে একটা চিঠি লিখবো। বেশ লেখো।

     

      পরের দিন সকাল সকাল রামের সাথে দেখা করে সে তাকে তার পরিকল্পনা বলে। রাম এবং ক্লাবের বাকিরাও এক কথাই রাজি। সেই মতন লোকোদের সচেতনতা বারাতে নানান পরিকল্পনা নেই তারা। সব কিছুই হল কিন্তু কিছুই হল না। তখন বন্ধু পরিবারের হাজার বারণ শতেও সে ঠিক করে সে আমরণ অনশন কোরাবে। প্রথম দিকে আনেকে থাকলেও পরে সবাই ধীরে ধীরে চোলে যেতে লাগলো। শেসে পরে ছিলাম আমি আর অর্ণব ।

      আশা কারি তার অসম্পূর্ণ ডাইরি তে হাত দেবার জন্য অর্ণবর আত্মা আমাই ক্ষমা করে দেবে


Rate this content
Log in

More bengali story from Syed Hisham Labib

Similar bengali story from Inspirational