দুজনে
দুজনে


ফোনে গেম খেলতে খেলতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে নীলাশা জানেই না, তার ঘুম ভাঙলো মায়ের ডাকে " বাবি উঠে পড় বাবি আর দেরি করিস না।"
নীলাশা আর না উঠে পারলো না । উঠেই সে তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে গেলো। কোনো রকমে খাওয়াদাওয়া করে চলে গেলো সে কলেজে।
ওদিকে আসামে অভিষেক সকাল সকাল উঠে গেছে তার আজকে খুব চাপ, তার সহকর্মী রাজ-এর শরীর ভালো যাচ্ছে না দুদিন ধরে। সেদিন ডাক্তার বলল যে " তেমন কিছুই হয়েনি আপনার একটু আরাম করুন কদিন"।
ডাক্তারের কথা মত আরাম করেও কোনো ফল হলো না , আরো খারাপ হয়ে গেলো শরীর। তাই আজকে অভিষেক টিক করেছে রাজ কে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে।
অভিষেক আর রাজ দুজনেই ইঞ্জিনীয়ার, একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে। তাদের দুজন করে টিম বানিয়ে কাজ করতে হয়। একা কাজ করা একটু চাপ এর ব্যাপার এই দূরদেশে তাও সহকর্মীর জন্য এটুকু করাই যায়।
এইসব ভাবতে ভাবতে অভিষেক টিকিট কেটে ফেললো অভিষেকের জন
্য।
সকাল ৯ তাতে ট্রেন। এখানে সকাল ৯ টা মানে ভোর ৫ টা।একটা লোকজন ও নেই একন বাইরে।
আজ ঠাণ্ডাও পড়েছে ভালো মতো। রাজ কে নিয়ে স্টেশনে চলে গেলো। স্টেশন আজকে খুব ফাঁকা। স্টেশন মাস্টার কে জিজ্ঞেস করতে বলল যে " আজকে ট্রেন লেট আছে বুঝেছেন যা কুয়াশা"।
শেষ পর্যন্ত ট্রেন আসলো এক ঘন্টা দেরি করে। অভিষেক চলে গেলো বাড়ি , সে আসবে প্রায় পনেরোদিন পর। অভিষেক ও আজকে বাড়ির কথা চিন্তা করছে, সেও অনেক দিন যাইনি বাড়ি।সে ঠিক করে ফেললো সেও আজকে বাড়ি যাবে চার দিন থেকে চলে আসবে আর এমনি তেও অন্য কোনো সহকর্মী আসতে পাঁচ দিন লেগে যাবে।
সে তাড়াতাড়ি করে টিকিট কেটে ফেললো, দুপুরে ট্রেন তার। হোটেলে তার জিনিসপত্র নিতে চলে গেলো ।
তাড়াতাড়ি করে ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে হোটেলের বিল মিটিয়ে দিল। আজকের দিনটা যেন কাটছে না কখন সে বাড়ি যাবে সেই ভাবছে সে ।