চন্দন ও শেফালির ভালোবাসার গল্প
চন্দন ও শেফালির ভালোবাসার গল্প


মিরপুর গ্রামে বসবাস করেন চন্দন, আসিফ ও ললীতা । আসিফ মুন্ডা এবং ললীতা মুন্ডার ছেলে হচ্ছে চন্দন ।। আসিফ মুন্ডা পেশায় রাজনৈতিক বিশলেষক আর ললীতা হচ্ছেন গৃহকর্ত্রী । চন্দন পেশাতে গবেষক । মোহাম্মদ এবং প্রসুন হচ্ছে চন্দনের দুই বন্ধু ।। চন্দনের খুব কাছের বন্ধু হচ্ছে প্রসুন ও মোহাম্মদ । এবার জানা যাক আমাদের কাহিনীর নায়িকার সম্বন্ধে ।। জীরপুর গ্রামে থাকে আমাদের গল্পের নায়িকা শেফালি । এছাড়া , এই গ্রামে রয়েছে শেফালির পিতা কনক , শেফালির মা ঝিনুক , শেফালির মামা ধনুর , শেফালির মামী সাবিলা , শেফালির পিতামহ নীতীশ আর শেফালির ঠাকুমা নিসা ।। কনক হাঁসদা এবং ঝিনুক হাঁসদার মেয়ে হচ্ছেন শেফালি । শেফালির ঠাকুমা নিসা বন সংরক্ষীকার কাজ করতেন ।। এখন খালি ঘর সামলান শেফালির ঠাকুমা । শেফালির পিতামহ নীতীশ আলোকচিত্রকরের কাজ করতো ।। নীতীশ এখন গৃহের দায়িত্বগুলো পালন করে থাকেন । শেফালির মামা ধনুর হচ্ছে দার্শনিক ।। বিভিন্ন প্রকারের বই ধনুর বের করে থাকে । বইগুলোর মধ্যে ধনুর জীবনের অস্তিত্বগুলোকে তুলে ধরে থাকেন ।। অনেক বছর আগেই নীতীশ তার কাজ ছেড়েছেন । সাবিলা পেশায় কোষাধ্যক্ষীকা ।। একটা মুদির দোকানের কোষাধ্যক্ষীকা হচ্ছেন সাবিলা । মুদির দোকানটার নাম হচ্ছে বরেন্দ্রোর দোকান ।। দোকানটি গ্রামের বাইরে অবস্থিত । সব জিনিসের হিসেব রাখতে হয় শেফালির মামীকে ।। কনক ধমীর্য় প্রচারক । কনক নিজের বক্তব্য ও কনক নিজের কাজের মাধ্যমে দীনের প্রচার করেন ।। ঝিনুক পেশায় আসন সংরক্ষণের পরিচালিকা । ঝিনুককে আগমন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করতে হয়ই ।। এই কাজখানা ঝিনুককে প্রতিনিয়ত করতে হয় । হোটেলে বসে এই কাজটা ঝিনুককে করতে হয় ।। নিক ধাবা হচ্ছে হোটেলটির নাম । এই হোটেলটা জীরপুর গ্রামের মধ্যে আছে ।। এই হোটেলেই কাজ করে ঝিনুক । চন্দনের ছোটবেলার সঙ্গীরা হচ্ছেন মোহাম্মদ আর প্রসুন ।। সুতরাং , এই দুই বন্ধু চন্দনকে প্রথম থেকেই চেনে । চন্দন শেফালিকে ভালোবাসে এবং শেফালি চন্দনকে ভালোবাসে ।। শেফালি চন্দনের সাথে বিভিন্ন জায়গায় যায় । চন্দন শেফালির সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যায় ।। একদিন চন্দন ও শেফালি মোহাম্মদের কাছে গেল । মোহাম্মদ হচ্ছে সচিব ।। নিলু ডাকঘর গনবাগ শহরে আছে । জীরপুর গ্রামের থেকে সাত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রয়েছে গনবাগ শহর ।। এই শহরের মধ্যেই আছে নিলু ডাকঘর । এই ডাকঘরের সচিব হচ্ছেন মোহাম্মদ ।। কাজের জন্য মোহাম্মদকে শহরে যেতে হয় । প্রতিটা ফোনের উওর দেন মোহাম্মদ ।। মোহাম্মদের ঘরে বসে আছেন প্রসুন আর প্রসুনের পেশা হচ্ছে কোচ । জীরপুর হকি দলের কোচ হচ্ছেন প্রসুন ।। দল কোন পদ্ধতিতে খেলবে, সেটা ঠিক করে প্রসুন । অনেক প্রতিযোগিতা। প্রসুনের দল জিতেছে এবং প্রচুর পুরস্কার প্রসুনরা পেয়েছে ।। মোহাম্মদ বললো, " আমাদের পাঠশালায় যে হামলা হয়েছিল , সেটা কি তোদের মনে রয়েছে । " চন্দন বললো, " মনে আছে ঘটনাটা ।। " প্রসুন বললো " না, ভাই, মনে নেই । " মোহাম্মদ বললো, ঠিক আছে, তাহলে বলি ঘটনাটি ।। মোহাম্মদ ঘটনাটা বলা শুরু করলো, " ঘটনাটা হলো যে একদল ডাচ সেনা পাঠশালার বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে । কোনো কিছু না ভেবেই, এই সেনাবাহিনী আমাদের সবার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ।। এদের সবার হাতে আছে রাইফেল । এই সেনাদের একটি সেনাপতি আছে ।। সেনাপতির নাম হচ্ছে ডি লুইস ডেভীশ । এই সময়ে আমরা লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লুম ।। সেনাপতি মশাই ও তার সেনারা ভয়ে পালিয়ে গেল । এই সব ঘটনাগুলো ঘটেছিলো ।। এইভাবেই আমরা সবাই পাঠশালাকে বাঁচিয়ে দিয়ে ছিলাম । " প্রসুন বললো, " এখন ঘটনাখানা মনে পড়েছে ।। " শেফালি এই ঘটনাটি সম্বন্ধে কিছু জানে না । শেফালি পুরো ঘটনাটা এখন জানলো ।। প্রসুন , শেফালি এবং চন্দন নিজের নিজের ঘরগুলোতে ফিরে গেল । মোহাম্মদ আর প্রসুন দুই পরিবারকে জানিয়ে দিলো যে শেফালি চন্দনের সঙ্গে প্রেম করছে ।। দুই পরিবার একসাথে চন্দন ও শেফালির বিয়ে দিলো । চন্দনের পাঠশালার হামলার ঘটনাটা ধীরে ধীরে সব মানুষ জেনে গেলো ।।