মেহেদী হাসান রনি

Romance

4.0  

মেহেদী হাসান রনি

Romance

ভালোবাসার শেষ প্রান্তে

ভালোবাসার শেষ প্রান্তে

3 mins
468


পর্ব ০১

বাসর রাতে অত্র নিজের রুমে ঢুকতেই দেখলো তার বিয়ে করা বউ আভা শাড়ি ফেলে ব্লাউজ আর পেটিকোট পরে দাড়িয়ে আছে..

বাসর ঘরে ঢুকেই এরকম একটা দৃশ্য দেখতে অত্র তার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলো না। না চাইতেও অত্রের চোখ চলে যায় আভার পেটের বাম পাশে থাকা অসম্ভব সুন্দর তিলটার দিকে। তার চোখ আটকে যায় সেখানে। ফর্সা পেটের উপর কালো তিলটা চুম্বক এর মতো আকর্ষন করছে তাকে, ধিরে ধিরে সে একটা ঘোরের মধ্যে চলে যাচ্ছে। হঠাৎ করেই হুস ফিরে আসায় অত্র কোনো মতো নিজেকে সামলে নিয়ে বলে ওঠে

এই মেয়ে তোমার কি লজ্জা নেই.. 

আভা পিছন ফিরে অত্রকে দেখে বিশাল বড় একটা শক খায় ও দরজা লক করতে ভুলে গিয়েছে। 

আভা তারাতারি নিজের ৩ পিজ নিয়ে বাথরুমে ছুটে চলে যায়..!


আভা বের হতেই অত্র তাকে খুব জোরে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে বলে কান খুলে শুনে রাখো আমি তোমাকে নিজে ইচ্ছে করে বিয়ে করি নি। পরিবারের চাপে পরে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি। আজ একটু আগে যেটা করেছো ভুলেও দ্বিতীয়বার যেনো এটা আর না হয়.. তোমার এই চেহারায় আমার বাবা মাকে ফাসাতে পারলেও এই অত্রকে ফাসাতে পারবে না। আমি অাফরাকে ভালোবাসি...

বলেই খুব জোরে আভাকে ধাক্কা মারে।

আভা টাল সামলাতে না পেরে নিচে পরে যায়। 

অত্রর এই ব্যাপারে আভা একটুও ঘাবরায় নি। ও তো এটাই চেয়েছিলো। সংসার করার কোনো ইচ্ছে আভার নেই। 

আভা উঠে দাড়িয়ে অত্রকে বললো

ধন্যবাদ। আপনি আমার অনেক বড় একটা উপকার করলেন.

আভার কথা শুনে অত্র অবাক হয়। 

আভা আবার বলতে থাকে অনেক রাত হয়েছে আপনার পাশে এক খাটে সোয়ার আমার কোনো ইচ্ছে নেই। খাটে কেনো বলছি এক রুমেই থাকার কোনো ইচ্ছে আমার নেই আপনি বরং আপনার নিজের রুমে নিজের খাটে ঘুমান আমি বেলকনিতে ঘুমাচ্ছি। আমাকে একটা কাথা আর বালিশ দিলেই চলবে। 

এবার আভার কথায় অত্র খুব অবাক হলো এই মেয়ে বলে কি.. 

যাই হোক অত্র আভাকে একটা বালিশ আর একটা কাথা দিয়ে দিলো। 

আচ্ছা আমি তাহলে যাই good night 

অত্র আভার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল..

একটু পর ফ্রেস হয়ে নিজেও সুয়ে পরলো...

কি অদ্ভুত এই মেয়েটা.. আমি এতো রুড বিহেভ করলাম ও কোনো রিয়েকশনই দেখালো না.. কোনো তো রহস্য আছেই ওর মধ্যে.. ধুর আমি এই মেয়ের কথা কেনো এতো ভাবছি.. আমি তো আফরাকে ভালোবাসি.. দেখি আমার বেবিকে একটা কল করি... ✆✆✆ 

কি হলো পাগলিটা কল রিসিভ করছে না কেনো ও কি আমাকে ভুল বুঝলো.. এসব ভাবতে ভাবতে অত্র ঘুমিয়ে পরলো.. 

এদিকে আভার আজ অনেক ভালো লাগছে.. বাবা মা তাকে বোঝা মনে করতো জোর করে তাকে বিয়ে দিলো.. কতোই না ভয় পেয়েছিলো সে এই বিয়েতে আভার একটুও মত ছিলো না...

অত্র তাকে মেনে নেয় নি এটাই অনেক। এখন সে নিজের মতো করে বাচতে পারবে...


সকালে 

ঘুম থেকে উঠে বেলকনি থেকে রুমে চলে আসে। তারপর একবার অত্রের দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নেয়। তারপর লাগেজ থেকে একটা শাড়ি বেড় করে ওয়াশরুমে চলে যায় গোসল করার জন্য। কিছুক্ষণ পরে একটা নীল শাড়ি পরে ভেজা চুলে বেড় হয়ে ড্রেসিং টেবিল এর সামনে বসে চুলে চিরুনী করার জন্য। 

হঠাৎ মুখের উপর পানির ছিটা পড়ায় ঘুম ভেঙে যায় অত্রের, তারপর বিরক্তি নিয়ে চোখ মেলে তাকায়, কিন্তু চোখ মেলে তাকানোর পর তার সব বিরক্ত যেনো এক নিমিষেই দূর হয়ে যায়, সে চুপিচুপি দেখতে থাকে আভাকে, হঠাৎ আভার মনে হয় পেছন থেকে অত্র তাকে দেখছে তাই সে পেছনের দিকে তাকায় কিন্তু দেখে অত্র ঘুমিয়ে আছে, তারপর আভা উঠে আর একবার অত্রের দিকে তাকিয়ে নিচে কিচেনে চলে যায়।


আভা চলে যাওয়ার পরে অত্র চোখ মেলে তাকায় আর নিজেই নিজেকে গালি দিতে থাকে,

স্টুপিড অত্র কি হয়েছে তোর বার বার কেনো ঐ মেয়ের দিকে এভাবে তাকাচ্ছিস, আর একটু হলেই তো ধরা পরে যাচ্ছিলি,


তারপর অত্র টাওয়েল নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়


আভা কিচেনে গিয়ে দেখে তার শাশুড়ি মা রান্না করছে। আভা তার কাছে গিয়ে তাকে সালাম করলো.. আর বললো


মা আমি কি রান্না কাজে আপনাকে হেল্প করবো? 

না মা তুমি এতো সকালে এখানে কেনো..



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance