অসমাপ্ত ভালোবাসা
অসমাপ্ত ভালোবাসা
প্রতিটি গল্পের মতো এই গল্পেও একজন ছেলে এক জন মেয়ে কে নিয়ে। তো শুরু করা যাক আজকের গল্প 👇
ছেলেটি তার পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তান।
তার পরিবারের মেয়ে অনেক কিন্তু ছেলে একটাই।
হঠাৎ করে ছেলেটির বাবার সাথে তার কাকুদের ঝগড়া হয়।তার বাবা রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।তারা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। তখন ছেলেটির বয়স হবে ৫ বছর।
মেয়েটির বাবা ছিলো একজন শিক্ষক। মেয়েটির বাবা চাকরির জন্য ছেলেটি যেখানে থাকে ওখানে বাসা ভাড়া নেন।
ছেলেটি আর মেয়েটির মধ্যে অনেক ঝগরা হয় আবার বন্ধুত্ত হয়। এই ভাবে তাদের দিন কেটে যায়।
ছেলেটি যখন ক্লাস ৩ এ ছিলো হঠাৎ করে তারা নিজেদের বাসায় চলে যায়। আর তারা আসেনি। তার বাবা মাঝে মাঝে আসতো কিন্তু মেয়েটি আসতো না। মেয়েটির বাসা ছিলো পাশের জেলায়। ছেলে তার অপেক্ষা থাকতো কবে আসবে। এই ভাবে তার দিন চলে যায়। ছেলেটি ভাবতো সে হয়তো কখনো আসবে না। তার ছোট বেলার বন্ধুকে অনেক মিস করতো।
ছেলেটির মা আর মেয়েটির মার মধ্যে কথা হতো কিন্তু সে বলতে পারতো না।
কোনো এ কারনে ছেলেটি তার বাবার কাছে নাম্বার চায় মেয়েটির বাবার কিন্তু তার বাবা মেয়েটির নাম্বার দেয়।
ছেলেটি অনেক আনন্দিত হয়ে কল দেয়।
কিন্তু মেয়েটির মা ধরেন। কথা বলে কেটে দেয় ছেলেটি। ২দিন পরে আবার কল দেয় মেয়েটি ধরে তখন ছেলেটির মনে অনেক খুশি হয়। পরে তার সাথে ফেসবুকে কথা হয়। অনেক কথা হয় হঠাৎ মেয়েটি ব্লক দেয়।
ছেলেটি কিছু বুঝতে পারেনা। পরে ছেলেটি জানতে পারে মেয়েটির Bf আছে। সে আর এগোয় নি । পরে ছেলেটি অন্য আর একটি ফেসবুক আইডি খুলে মেয়েটির সাথে কথা বলে কিন্তু মেয়েটি আবার ব্লক দেয়। সামনে ছিলো তার মাধ্যমিক পরীক্ষা । নবম শ্রেণীতে প্রাইভেট পড়ার সময় তার একজন মেয়ে বন্ধু ছিল। ছেলেটি সব সময় তার মেয়ে বন্ধুকে বোনের মতো দেখতো। কিন্তু মেয়েটি তাকে ভালোবেসে ফেলেছিলো। সে এটা নিয়ে সিরিয়াস ছিলেন। কিন্তু ছেলেটা কিছুই জানতো না। মেয়েটা গোপনে তাকে ভালোবেসে যেতো। আর এই দিকে ছেলেটি সবসময় ভাবো তার সেই ছোট বেলার বন্ধু কখনো ফিে আসবে না। এই ভাবে দিন চলে যাচ্ছিলো। ছেলেটি এক সময় মানসিক যন্ত্রণায় পরে গিয়েছিলো। হঠাৎ একদিন মেয়েটি ছেলেটিকে তার ভালোবাসার কথা বলে দেয়। ছেলেটি ভেবে পাচ্ছিলো না যে যাকে বোন ভাবি সে কি করে এমন করলো। সে সাথে সাথে না করে দেয় আর তার ছোটবেলার ভালোবাসার কথা বলে। মেয়েটি অনেক কষ্ট পায়। অনেক কান্না করেন। সে প্রাইভেট কোচিং ছেড়ে দেয়। পরিক্ষার ৩ মাস আগে ছেলেটি আবার কোচিং এ ভর্তি হয় তার বাবার আদেশে। গিয়ে দেখতে পারে সেই মেয়েটিকে। ছেলেটি কথা বলা বাদ দিয়ে ছিলো। ১ মাস যাওয়ার পরে মেয়েটি আবার বলে সে কতটা ভালোবাসে। মেয়েটি তার বাবা কেউ বলেছিলো তার ভালোবাসার কথা। তার বাবাও ছেলেটিকে বোঝানোর চেষ্টা কটে ( কিন্তু কথায় আছে না যাকে একবার ভালোবাসা যায় কখনো ভোলা যায় না) ছেলেটি মানা করে দেয়। তারপর মেয়েটি আগে থেকে ছেলেটিকে অনেক কেয়ার করতো। ছেলেটির কিছু হলে মেয়েটির মাথা ঠিক ছিলো না। এভাবে চলতে থাকে। পরে মেয়েটি বোঝতে পারে সে যতো ভালোবাসে তার থেকেও ছেলেটি তার ছোট বেলার বন্ধুকে ভালো বাসে। একদিন সে হঠাৎ ছেলেটিকে ফোন দিয়ে বললো,,, কই আছো। নদীর পারে আসো তো কিছু কথা বলবো কাল আমি নিজেদের বাসায় যাচ্ছি। ছেলেটি যায়
ময়েটি বললো আমি কিছু কথা বলবো কোনো কথা বলবা না।
মেয়েটিঃ আমি অনেক ভালোবাসি তোমার। যখন তুমি প্রথম আমাদের প্রাইভেট এ আসো আর এতগুলো মেয়ে ছিলো কারো দিবে একবার ও তাকাও নি। আর আমাদেরকে অনেক সর্মান দিয়েছিলে তখন অনেক ভালো লাগছে। আস্তে আস্তে তোমায় জানতে পারলাম। যতো তোমার সম্পর্কে জানলাম ভালোবেসে ফেলেছি। তারপর তোমার সাথে বন্ধুত্ব করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে 😁। যাই হক আসল কথায় আসি। আমি তোমায় চাপ দিচ্ছি না। আজ তোমায় শাসন অনুরোধ করতে আসছি। জীবনে অনেক কষ্ট আসবে কিন্তু কখনো হেরে যাবে না মা বাব কে সরণ করবে। এই যে তোমার হাতে রুদ্রাক্ষ পরায় দিলাম। এটা তোমায় রক্ষা করবে। আমি থাকি আর না থাকি ভাবে নিবা আমি তোমার পাশে আছি। তোমার কোনো ক্ষতি হতে দিবো না। এই সোনো তোমার ছোট বেলার বন্ধু যদি কখনো না ফিরে আসে তো ওকে নিয়ে কান্না করবা না তুমার চোখ দিয়ে যতবার জল পরবে ততোবার কষ্ট পাবো আমি। আর কথা দেও তোমার ছোট বেলার বন্ধুকে যেমন ভালোবাসো এমনে বাসবা। তোমার বিয়ে ও যদি হয় তাও। কারণ তার মধ্যে আমি থাকবো। এ জন্মে নাই বা পাইলাম তোমায় পরের জন্মে পাবো। মনে রাখিও। তেমন হলে তোমার বন্ধুর সাথে জন্ম নিবো। নিজের খেয়াল রাখবা। এখন কথা বলো?
ছেলেটি বললো সব বুজলাম কিন্তু ওর মধ্যে থাকবা মানে?
কারণ আমি স্বপ্নে দেখছি আমরা বাসায় যাওয়ার সময় আমাদের গাড়ী এক্সিডেন্ট করছে আর আমি মারা গিয়েছি। তাই বললাম ভোরের স্বপ্ন পূর্ণ হয় তো
ছেলেটি বললো ফাজলামো বাদ দেও তোমাক প্রমিস করলাম তো। আর আমার বিষয়ে তো সব জানো। এগুলা কই ও না খারাপ লাগে। মেয়েটি বললো দূর মজা করতেছিলাম পাগল। কষ্ট পাইও না প্লিজ। আমার কষ্ট লাগে। ছেলেটি বললো ঠিক আছে। তারপরে দুজনে চলে যায়। পরের দিন ওরা চলে যাবে তাই ছেলেটি গিয়েছিলো। ছেলেটিকে দেখে মেয়েটি গাড়ী থেকে বের হয়ে বললো আজ লাস্ট অনুরোধ করবো রাখো প্লিজ ছেলেটি বললো ওকে মেয়েটি ছেলেটিকে জরায় ধরে কান্না করতে শুরু করলো। কিছু বেলে নি শুধু কান্না করতেছিলো। তারপর বললো ভালো থেকো আর দেখা হবে না আর দেখা হলেও তোমার বন্ধুকে দেখবা আমায় পাবা। ভালোবাসি বাই। চলে গেলো ছেলেটি বাসা গেলো। রাতে একটা কল আসলো তার বাবা জানালো তার মেয়ে আর বেছে নাই। ছেলেটি ঔ সময় অনেক কান্না করতে লাগলো সে দিন বাসায় কেউ ছিলো না। সারা রাত সে কান্না করেছিলো। সব কথা গুলো সে মনে করে। তখন বুঝতে পারে কে তাকে সত্যিকারে ভালোবাসে। নিজেকে অপরাধী মনে করে। কিছু দিন পরে ছেলেটি ডিপ্রেশন পরে যায়। একদিকে তার ছোটবেলার বন্ধুর জন্য অন্য দিকে আবার তার বন্ধুর মৃত্যুতে। ছেলেটি স্বপ্নে মেয়টি বলে যায়। তুমি এত কষ্ট কেনো পাচ্ছো। যাও তোমার সেই ছোট বেলার বন্ধু সাথে একাবার দেখা করে আসো মন ভালো হয়ে যাবে। তারপর ছেলেটি যায়। দেখা করে বলতে চায় মেয়েটির কাথা কিন্তু সে একটু সময়ও দেয়নি একটু ইগো দেখায় দিলো। এই ভাবে চলতে থাকলো। এতো গুলো কষ্ট বুকে চেপে রেখে সব সময় হাসে থাকে। তারপর মেয়েটি নিজে থেকে কথা বলে। ছেলেটি অনেক আনন্দ পায়। কারণ তার ভালোবাসার মানুষ তার সাথে এতো দিন পরে কথা বলে। এক সময় তার আবেগ ধরে রাখতে না পেরে বলে দেয় কিন্তু মেয়েটি উত্তর পায় নি 🙂। ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, loading
হয়তো মেয়েটি ছেলেটিকে পছন্দ করতোনা। ছেলেটির মনে হয় কোনো একদিন মেয়েটি ছেলেটির কাছে আসবে সে আসায় বসে আছে 😢
এই ভাবে ছেলেটির ভালোবাসা হারিয়ে যায়। এক তরফা ভালোবাসা গুলো অনেক কষ্টের হয়।
ছেলেটির ভালোবাসা অসমাপ্ত হয়ে রয়ে গেলো😢
একটি ছেলের গল্প লিখলাম।
এটা আমার প্রথম গল্প লেখা ভালো লাগলে আরও গল্প লিখবো 🥰
🙏ধন্যবাদ সবাইকে🙏
নয়ন চন্দ্র রায়