অসম প্রেম
অসম প্রেম
১৪ বছরের মেয়েটি চুপ করে ওর শরীরের উপর অযাচিত স্পর্শগুলো মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে।৪০ বছরের লোকটার পুরুষালি হাত দুটো মেয়েটার জামার ভিতর দিয়ে ওর স্তনের উপর হাত বুলিয়ে চলেছে,আর চোখ বন্ধ করে উপভোগ করছে। মেয়েটার চোখ দুটো থেকে নিঃশব্দে জল পড়ছে।ও জানে ওর কান্নার আওয়াজ শুনেও কেউ ওকে বাঁচাতে আসবে না। এটাকেই ভবিতব্য বলে মেনে নিয়েছে বাচ্ছা মেয়েটা। এই লোকটা সম্ভবত খুব তাড়াতাড়ি তার সমস্ত পৌরুষ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে ঐ একরত্তি মেয়েটার উপর।বাচ্ছা মেয়েটার নারীত্ব হরণ করে সে সগর্বে নিজেকে পুরুষ বলে ঘোষণা করবে।লোকটা এবার তার হাতটা বের করে নিয়ে আসল মেয়েটার জামার ভিতর থেকে। এবার সে তার হাত নিয়ে গেল মেয়েটার থাইয়ের উপর।তার শক্ত পুরুষালি হাত দিয়ে সে হাত বুলিয়ে যাচ্ছে ফর্সা সুন্দর থাইটাতে।মেয়েটার মুখ ঘৃণায় কুঁচকে উঠলেও ও প্রতিবাদ করল না।কারণ,ও জানে তাতে লাভ নেই।প্রথম প্রথম ও প্রতিবাদ করত আর তার শাস্তি স্বরুপ লোকটা বেল্ট দিয়ে বাচ্ছা মেয়েটার শরীরে মেরে মেরে দাগ করে দিত,কখনো বা লোকটার গর্ব সেই পুরুষাঙ্গটাকে জোর করে ঢুকিয়ে দিত মেয়েটার মুখে,কখনও বা সিগারেট দিয়ে তার স্তন পুড়িয়ে দিত।তাই এখন ও প্রতিবাদ করে না।লোকটা এবার মেয়েটার পরণে থাকা ফ্রকটা তুলে দিল উপরে তারপর মেয়েটার প্যান্টের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দিল।হয়ত মেয়েটার ভাগ্য ভালো ছিল তাই বাইরে কলিং বেল বেজে উঠলো।লোকটা হাতটা বের করে নিল। তারপর তাকালো মেয়েটার দিকে।
' নিজেকে ঠিক করে নে। কেউ যেন কিছু টের না পায়।আর টের পেলে তুই তো জানিস।' বিশ্রী ভাবে লোকটা হেঁসে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।মেয়েটা ওর চোখের জল মুছে নিয়ে জামাটা ঠিক করে সোফা থেকে উঠে নিজের ঘরে চলে গেল।
********************************
১৪ বছরের মেয়েটির নাম আরোহী সিংহ রায়।ও বর্তমানে কলকাতার অন্যতম বড় একটি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের ক্লাস ৮ এর অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী।ছোটো থেকেই ও আভিজাত্যর মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছে।ওর বাবা প্রতাপ সিংহ রায় একটি বিউটি প্রডাক্ট কোম্পানির মালিক।ওর বাবার বিউটি প্রডাক্ট ' সৌন্দর্য' এখন দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে।ওর বাবার সবচেয়ে আদরের ছিল ও।অথচ ওর বাবা দুই বছর আগে হঠাৎই মারা যায়।আর তখন থেকেই ওর জীবনের সবচেয়ে কালো অধ্যায় শুরু হয়।ওর মা বরাবরই উচ্চাকাঙ্খী।ওর বাবা আর মায়ের সম্পর্কটা ছিল শুধুমাত্র নামেই।ও ছোটো থেকেই দেখে এসেছে ওর মা ভিষণ খামখেয়ালি।ওর বাবা মারা যাওয়ার পর ওর মা শক্ত হাতে ব্যাবসার হাল ধরেছে এবং সফলও হয়েছে।ওর বাবা মারা যাওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই ওর মা তন্বী বিয়ে করে নীলাদ্রিকে।যে পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।প্রথম ৬ মাসে নীলাদ্রী খুব ভালো ব্যাবহার করেছে আরোহীর সাথে।তবে আরোহী নীলাদ্রিকে কোনোদিনও ওর বাবার আসনে বসাতে পারেনি।ও নীলাদ্রিকে আঙ্কেল বলে ডাকত। কিন্তু ৬ মাস পর থেকেই নীলাদ্রির আচরণ বদলাতে শুরু করে। নীলাদ্রি যেন সবসময় আরোহীর কাছাকাছি থাকতে চায়। সারাদিন বাড়িতেই পরে থাকে।আর একদিন ওর বুকে হাত দেয়। সেদিন আরোহী সবটা জানিয়েছিল ওর মাকে।ওর মা বিশ্বাস করেনি বরং ওকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। তারপর থেকেই শুরু হয় আরোহীর উপর নীলাদ্রির এই যৌন অত্যাচার।ভয়ে কুঁকড়ে যেতে শুরু করে মেয়েটা।প্রথম প্রথম স্কুলে গিয়ে কান্নাকাটি করত ও,স্কুল থেকে একবার পালিয়েও গেছিল কিন্তু ঐ লোকটা ওকে খুঁজে বের করে।ও বুঝে গেছে এই লোকটার হাত থেকে ওর মুক্তি নেই, কেউ পারবে না ওকে মুক্তি দিতে।
********************************
দরজা খুলল নীলাদ্রি। দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে আছে ২৫ বছর বয়সী অমিয়।ও আরোহীর প্রাইভেট টিউটর।এই বাড়িতে ওর আনাগোনা সপ্তাহে চারদিন।
' এসো ভিতরে এসো।'
অমিয় ভিতরে ঢুকল।
' যাও আরোহী ওর নিজের ঘরে আছে।'
অমিয় সিঁড়ি বেয়ে তিনতলায় উঠে আরোহীর ঘরের সামনে দাঁড়ালো।দরজা বন্ধ দেখে ওর ভ্রু কুঁচকে উঠল।ও বিকেল ৫ টার সময় পড়াতে আসে, কিন্তু কোনোদিনও আরোহীর ঘরের দরজা বন্ধ দেখেনি।
' আরোহী দরজা খোলো।'
দরজার বাইরে অমিয়র গলার আওয়াজ পেয়ে আরোহী চোখ মুছে আয়নার সামনে দাঁড়ালো। তারপর বাথরুমে গিয়ে চোখ মুখে ভালো করে জলের ছিটা দিয়ে দরজা খুলল।অমিয় আরোহীকে দেখে কিছুটা চমকে উঠলো।মেয়েটা যে কাঁদছিল তা বুঝতে অসুবিধা হল না অমিয়র।দরজা খুলে দিয়ে আরোহী টেবিল থেকে ব্যাগটা নিয়ে খাটের উপর বসল। তারপর ব্যাগ থেকে ইতিহাস বই আর খাতা বের করল।অমিয় ওকে ইতিহাস পড়ায়।অমিয় এসে আরোহীর সামনে বসল। মেয়েটাকে ও দেখছে ৬ মাস ধরে। মেয়েটাকে দেখে ওর বরাবরই মনে হয়েছে যে মেয়েটার মধ্যে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে।মেয়েটা অন্য বাচ্ছাদের তুলনায় অনেক বেশি বাস্তববাদী,চাইল্ডিশ বিহেভিয়ার এই ১৪ বছরের মেয়েটার মধ্যে নেই।আরোহীকে ও কোনোদিনও হাসতে দেখেনি।এই ছোটো মেয়েটার মধ্যে কোনো একটা চাপা কষ্ট আছে তা বোঝে অমিয়। কিন্তু ধরতে পারে না ও।আর তাছাড়া ১৪ বছরের একটা মেয়ের মধ্যে কি এমন কষ্ট থাকতে পারে যা মেয়েটাকে হাসতে ভুলিয়ে দিয়েছে ও সেটা চাইলেও বুঝে উঠতে পারে না।অমিয় এসে আরোহীর সামনে বসল।
' আর ইউ ওকে আরোহী?'
আরোহী মাথা তুলল না। বরং ও ব্যাস্ত পড়া রিভিশন করতে।
' ইয়েস স্যার।'
' তোমাকে কিন্ত বেশ অন্যরকম লাগছে আরোহী।'
আরোহী চোখ তুলে তাকালো অমিয়র দিকে। মেয়েটার ব্যাক্তিত্ব সবসময় মেয়েটার চোখে ফুটে ওঠে,আর সেই কারণেই হয়ত আরোহীর চোখ দুটোকে বড় ভালো লাগে অমিয়র।আর সেই কারণেই আরোহীর চোখের দিকে কখনোই বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারে না অমিয়।
' আমি বললাম তো আমি ঠিক আছি।'আরোহী চোখ নামিয়ে নিল।অমিয় আর বেশি প্রশ্ন করল না।
দুই ঘন্টার মধ্যে পড়া শেষ হয়ে গেলে অমিয় বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।

