তোমার কিই বা যায় আসে
তোমার কিই বা যায় আসে
তোমার কিই বা যায় আসে ?
অষ্টপ্রহর পাতাঝরা শন শন রব নাড়িয়ে
দিয়ে যায় শৈশব জড়িয়ে থাকা কাঠামো।
পশ্চিমা ঝঞ্ঝায় ওলটপালট
তোমার পাতানো ভালোবাসায়
আকণ্ঠ নাভিশ্বাস ওঠে।
শুষ্ক ঠোঁটে তখনও জোলো ছোঁয়া
থাকনা ওসব মিথ্যে আষাঢ়ে ধোঁয়া।
তাতে তোমার কি যায় আসে বলো ।
এতটা অবুঝ তুমি নও তবুও বোঝাটা
তোমার অন্ধকারেই রয়ে গেল ,
এতটা দূরত্বে তো হাঁটতে চাইনি কোনদিন,
তবুও তুমি দূরেই থেকেছ ,
দূরে থেকেছ দূরের
পাহাড়ের কাছে কিছু আস্থা রেখে।
এগিয়েছ তুমি শতাব্দীর পথ ধরে ,
কত যুগ পার করে পেরিয়ে গেছ কিছু
জীবাশ্ম মাড়িয়ে অন্ধকারের অলিন্দ ছুঁয়ে ।
কাঁটা বেঁধা রক্তঝরা পায়ের নিশানা ফেলে
কিছু কি এসে যায় ,কার কিই বা যায় আসে !
তোমার মৌনতায় আমি উদাসীন ছিলাম না,
তুমি ভালোবাসায় ছিলে অনন্যা ।
অনামি কিছু বোকামির সোরগোল পেরিয়ে
বিরক্তির পাশাপাশি আমার অবুঝতা
ক্ষমাহীন ছিলনা ,
ছিল কিছু অবাধ্যতার ব্যাকুলতা ,
অকারণ অবিশ্বাস্য কিছু অবিশ্বাস ।
তবুও কি ছিল না অমলিন কিছু বিশালতা,
তাতেই বা কার কি এসে যায় বলো !
