শিকড় ছাড়ো হে
শিকড় ছাড়ো হে


তবুও অনিশ্চিত গন্তব্যের পথ জাগিয়েছে অভিলাষ।
যে ঠিকানায় বালি লাগে পায়, ঝাউবন গীত গায়,
মুখে স্বাগত হাসি, সারি সারি ইউক্যালিপটাস দাঁড়িয়ে
অভিবাদনের সুরে, কখনো সে ভুল সংকেত মনে হয়।
সে দেশে হয়তো ঝড়পরে নতুনেরা শুরু হয়,
উপড়ানো গাছের গুঁড়ি জুড়ে খেলা করে নতুন পাতা,
এমন সব ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে তবু পৌঁছেছি শেষে
উথলে ওঠা অনুভূতি পাড় ভাঙ্গে বুকে, কোন বশে!
সুখ ও অসুখের মধ্যস্ততায় নামিনি তখনও।
প্রখর রোদে খড়ি ওঠে আমার পুরোনো চামড়ায়,
ধোঁয়া ধোঁয়া আবেশে আমি দেখেছি সে অরণ্যানী
কবে কোন যুগে মরুভূমি হয়ে শুয়ে আছে।
অসংখ্যবার বাকলে কবিতা লিখেছি, ছুরির দাগে,
রক্ত ঝরাকালীন হেসে বলেছি শিকড় ছাড়ো হে,
গেঁথে দাও যাবতীয় যন্ত্রণা, উচ্ছ্বাস, ঘৃণা এ ভাগ্যে;
নিশ্চয়তার দায়ভার আমার কোন কালে মুছে গেছে।
এক মুঠো আলিঙ্গন, এক ভোর চুম্বন, অসত্যের মাঝে
তবুও বেছে নিতে পারি আজীবন প্রিয়তম মুখ।
এ নিরন্তর অবিশ্রান্ত পথে গন্তব্য কবেই ভুলেছি।
সেখানে হয়তো থাকা যেত উদভ্রান্ত আরো এক যুগ!