বাস্তবের কল্পনা
বাস্তবের কল্পনা


আজকাল শুধু স্বপ্ন গুলোই সবুজ,কল্পনারাও কম বেশি রঙিন,
চোখ খোলার পর যে বাস্তব,তা বড়ো রুক্ষ, ধূসর রঙ-হীন।
চারিদিকে কেমন গা-ছাড়া ভাব সবার,ভাবখানা যেন কিছুতেই কিছু যায় আসেনা,
এই পৃথিবীটা যেন অন্য কারোর,তাই ভালো-খারাপের হিসেব কেউ রাখেনা।
অথচ সৃষ্টির আদিকালে, মানুষ যখন সভ্য হয়নি,
এই ধরণী যখন আজকের মতো করে বিষিয়ে যায়নি।
তখন এই জগৎের আকাশে বাতাসে স্নিগ্ধতা ছিলো,ছিল লালিত্য,
হয়তো অনুভূতি গুলোর নাম ছিলো না কিন্তু ছিলো পুরোদস্তুর মাহাত্ম্য।
আজ আমরা সভ্য হয়েছি, বুক চিতিয়ে দাবী করেছি শ্রেষ্ঠত্বের,
কাঁটাতার দিয়ে ভাগ করেছি সীমানা দেশের,ধর্ম দিয়ে ভাগ করেছি মনুষ্যত্বের।
পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নেশা,ক্ষমতার লোভে আকাশ ছোঁয়া অহংকার,
বিজ্ঞান কে অস্ত্র করেই চলে প্রকৃতির নির্মম সংহার।
যে রাষ্ট্রের দায়ীত্ব পরিবেশের রক
্ষা করা তারই নির্দেশে বিক্রি হয় জংগল,বুলেট ট্রেন ছাড় পায় জংগলের বুক চিরে যাওয়ার,
কাপুরুষ আমরা সবাই ;কেউ নেই ওই ভ্রান্ত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আওয়াজ দেওয়ার।
নদীকে মায়ের আসন দিয়েও দ্বিধাহীন দূষণের দৃশ্য দেখি বেহায়ার মতো,
দূষিত জলেই ভাসিয়ে দিই ভাবলেশহীন মনের লজ্জা যত।
আজ তাই শুধু স্বপ্ন দেখি আমরা,কারণ জানি বাস্তবটা অসহায়,
দিন গুলো কেটে যায় অবিরাম,তিলে তিলে কর্তব্যের অবহেলায়।
একটা গাছের মূল্য কাঠুরেও পায়,গাছ কাটার পর পরিশ্রান্ত শরীর যখন ছায়া খোঁজে,
মানুষ বড়ো অদ্ভূত নিজের ক্ষতি নিজে করে তার পরিণতিও বোঝে।
আজ জলের জন্য হাহাকার আমার দেশে,ভরা পেট; গরিবের বিলাসিতা,
আমরা নীরব,সত্তা বেচে করেছি স্বার্থের সমঝোতা।
এই পৃথিবী শুধু কল্পনাতে রঙিন না হয়ে বাস্তবেও হবে একদিন,
মানসিকতা বদলের তাগিদ গুলো যদি হয় সৎ আর অদম্য হবে যেদিন।