অন্বেষণ।
অন্বেষণ।
ভোর ,
গনগনে উনুনে জীবন ।
তবু প্রশান্তি আসে ,
ধোঁয়ার আকুতিতে।
চোখ জ্বালার বদলে
জুড়িয়ে দেয় মন।
সকাল -বিকেল শুধু এই ভাবি,
আউড়াই , বিষণ্ন এক সুর আর
সাঁতরাই স্মৃতির , সপ্ত সমুদ্দুর।
সন্ধ্যা,
চিতাবাঘের নিঃশব্দ পায়ে এলো,
আর একটু পরে রাত ।
রাত,
গোপনীয় বিভিষিকা চোখের উপর
এসে পড়ে , মুখ ফেরাই
মনে পড়ে, কতকাল
গাওয়া হয়নি গান ।
স্কুল ছুট রাখাল কতকাল
বাজায়নি বাঁশি ।
এখন ,
বসে বসে ঝেড়ে ফেলি,
ভাতের ফ্যান , এক কাপড় , বাসি।
আসে রক্ত ঘামের বেদনার গান ।
মরে বেঁচে ওঠে তার পচা পচা দেহ।
ঘুম-ঘোরে দেখি ,
এ মৃতদেহ আমারই!
ঠোঁটে তার লেগে,
সহজিয়া রাখালের হাসি।
দেখেছি এমন বহুবার ,
মনে পড়ে এখন,
বিষকালো মধ্যরাত।
রাস্তায় বেরোই ,
শিয়ালের চোখ এদিক ওদিক চায়!
খুঁজে বেড়ায় মাংসের ঘ্রাণ
হেঁটে বেড়াই ।
আয়না ধরে নিষ্ঠুর অন্ধকার
দেখি প্রাণ নেই আর
চমকে উঠি !
স্বীকার করি!
যে হেঁটে গেছে সেই শবদেহে ,
মানুষের মত শরীর আর
শিয়ালের মাথা বসানো আছে।
আর কারোর নয় ,
এ মৃতদেহ আমারই ।
বোধের যন্ত্রনায় , সত্যের মুখোমুখি
রোজকার জীবনে , একই খোঁজাখুঁজি
এই ভাবে চলে।
রোজকার জীবনে, নিজের মুখোমুখি
ঠিক এই ভাবে , নিষ্ঠুর সত্যকে
এই ভাবে দেখি!
শুধু এই ভাবে দেখি।
