তুমি রবে নীরবে
তুমি রবে নীরবে
পনেরো বছর পর আজ বাড়ি ফিরেছে রমা। পড়াশোনার উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি।তারপর হঠাৎ সেখানেই চাকরী পেয়ে স্থায়ী হয়ে যাওয়া থেকে বিয়ে। ঘরসংসার চাকরী সামলে আর দেশে ফেরার সুযোগ হয়নি।
এতবছর পরে বাবার মৃত্যুসংবাদ তাকে দেশে ফিরতে বাধ্য করেছে। নিয়ম মেনে সমস্ত কাজ মিটে যাওয়ার পর সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে বারান্দায় বসেছিল।চাঁদের আলো বাগানের মধ্যে দিয়ে উঠোনে পড়েছে। বিদেশে ব্যস্ততার মাঝে সামান্য সময়টুকু সে নিজের জন্য বের করতে পারে না। কাল আবার ফিরে যেতে হবে। মনটা ভারাক্রান্ত। দূরে কতগুলো শুকনো গাছের দিকে তাকাতেই বুকটা কেমন যেনো করে উঠলো। দুই হাত বাড়িয়ে কেউ যেন ডাকছে।
হটাৎ মনে পড়ে গেলো বাবার কাঁধে উঠে খেলার কথা।শিমুল গাছটা বাবা আর রমা মিলেই বসিয়েছিল।রমা তখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।গাছটাকে একটু একটু করে বড়ো হতে দেখেছে। বাবার বড় স্বাদের ছিলো এই বাগান। আর শিমুল গাছটা ছিলো রমার নিজে হাতে বসানো প্রথম গাছ। বাবার মতো শিমুল গাছটাও যে হারিয়ে গেছে তার জীবন থেকে। ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো রমা শিমুল গাছটাকে। চোখ থেকে নেমে এলো অশ্রুধারা। বিড় বিড় করে নিজের মনেই বলে উঠলো তুমি তবে নীরবে....