iNNOCENT CRiME 🅰️ DULTS only

DARK SIDE STORY_01

       বুবস্— থার্টি সিক্স...

       ওয়েস্ট্— থার্টি...

       হিপ্— ফরটি ।

       দুধে আলতা পেলব শরীর— একেবারে পারফেক্ট, যাকে বলে চাবুক ফিগার মেয়েটার । টাইট আর ছোট মাপের ব্ল্যাক শর্ট গাউন'টা ওর শরীরে এঁটে বসে আছে । টাইট ফিগারের বিশেষ ভাঁজগুলোতে তিনটি কামুক পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি ননস্টপ সেঁধিয়ে ছিল । বাংলো বাড়ির আলো-আঁধারিময় বেশ বড়োসড়ো ড্রইংরুম । বড় লাউঞ্জ-সোফাতে বসে মিরাজ রেনো আর নীরজজী । মৌজ করে তারা সিগারেটে টান দিয়ে চলছে আর মনশ্চক্ষুতে মেয়েটির উদম নগ্ন শরীর উপভোগ করে চলেছে ।

       ড্রইংরুমের একপাশে সুন্দর রুচিশীল ইন্টেরিয়র ডিজাইনে সাজানো বড় বার কাউন্টার । সেখানে চটুল ভঙ্গিতে জিয়া ককটেল বানাচ্ছে । গ্লাস-বটলের টুংটাং আর ওয়াইন ঢালার তরল আওয়াজ ।

       নীরজজী জিয়াকে উদ্দেশ্য করে হুংকার ছাড়ে— এই জিয়া, ককটেল বানানে মেঁ সুবহ্ হো জায়েগা তো বাকি কাম কব হোগা শালী ?

       —অলমোস্ট কমপ্লিট স্যার । জাস্ট্ কামিং... জিয়া নিচু মোলায়েম সুরে জবাব দেয় ।

       —আজ আবার মেম্বার বেশি... নীরজজীর কথায় যোগ করল মিরাজ ।

       —'মেম্বার' ? ফু-ফু-উ-উ... মুখ দিয়ে বিশ্রী আওয়াজ করে হাসল রেনো ।

       —ইউ শুড্ বি কলড্ 'পার্টনার', নট্ 'মেম্বার'... ভ্রু নাচিয়ে মাথা দুলিয়ে ডিসিশনে আসে নীরজজী— ইয়েস্, পার্টনার । জাস্ট্ আ সেক্স-পার্টনার...

       সবাই মিলে জিয়ার দিকে তাকিয়ে নোংরা ভাবে হাসতে থাকে ।

       স্টেলেটো হাই-হিলের ঠক-ঠক আওয়াজটা এগিয়ে এল । একটা ট্রে'তে তিনটে মার্টিনি গ্লাসে ওয়াইন সাজিয়ে ওদের সামনে এসে দাঁড়াল জিয়া । ট্রে'টা সেন্টার টেবিলে নামিয়ে রাখতে গিয়ে জিয়ার লো-নেক গাউনের ভেতর থেকে গভীর ক্লেভেজ আর বুকগুলো বিপজ্জনক ভাবে দৃশ্যমান হয়ে পড়ে ।

       ভীষণ উত্তেজিত হয়ে পড়ল নীরজজী । এক হ্যাঁচকায় টেনে জিয়াকে সোফায় নিজের পাশে বসালো । সিগারেটের ধোঁয়ায় চারদিক ধোঁয়াটে । ঠোঁটটা সিটি দেওয়ার মতো সরু করে মুখের ভেতরের সিগারেটের সমস্ত ধোঁয়াটুকু জিয়ার মুখের ওপর ছাড়ল । জিয়া কাশতে-কাশতে হাত নেড়ে মুখের সামনে থেকে ধোঁয়া সরাতে থাকে । জ্বলন্ত সিগারেটটা আঙ্গুলের ডগায় নিয়ে জিয়ার চোখের সামনে ঘোরাতে থাকে নীরজজী । বলে— শালী, অ্যাসট্রেটা ভরে গেছে, চোখে দেখিস না ? এটা এখন কোথায় ফেলব ?

       —সরি স্যার... আমি এখনই ক্লিন করে নিয়ে আসছি...জিয়া অ্যাসট্রেটা নিয়ে উঠতে যাচ্ছিল...      

       ওকে আরও শক্ত করে ধরে চেপে বসিয়ে দিল নীরজজী । বলে— চুপ করে বোস । কোথাও যাবি না... একটা আঙ্গুল আকশির মত বেঁকিয়ে আচমকা জিয়ার গাউনের নেকটা টেনে ধরে সে । হাফ্ কাপের ব্রা'র ওপর দিকে উন্নত বুকের অনেকটা অংশই বেরিয়ে এল । সিগারেটটা হাতে বাগিয়ে নীরজজী বলল— এটা এখানেই ছুঁড়ে ফেলব তো ?

       জিয়া শিউরে আঁৎকে উঠে— না, না প্লিজ্, আর কখনও এরকম ভুল হবে না স্যার । প্লি-ই-ই-জ্...

        ওর হাত দু'টো পেছনে মুড়িয়ে আরও শক্ত করে ধরল নীরজজী । তারপর দু-আঙুলে সিগারেটটা নিয়ে বেশ যত্ন করে জিয়ার ঠোঁটে বসিয়ে দিল । রেনো আর মিরাজকে ভ্রু-ইশারা করে বলল— কাম্ অন্ বয়েজ্, তোমরাও এই হটি-অ্যাসট্রেটা ইউজ্ করো...

       —উইথ্ প্লেজার স্যার... অত্যুৎসাহে উঠে এল ওরা । ওরা তাদের হাতের আধা-পোড়া সিগারেটগুলো জিয়ার ঠোঁটে নীরজজীর গেঁথে দেওয়া সিগারেটের দু'পাশে সুন্দর করে একে-একে সেট্ করে দিল । একটি মেয়ের নরম ঠোঁটে পরপর তিনটে সিগারেট ঠাসা ।

       নীরজজী বলে—একদম হিলবি না শালী । চুপচাপ বসে থাক...

        —ইয়েস্, একদম স্ট্যাটিক্ থাকবে । জাস্ট্ লাইক আ স্ট্যাচু... আঙ্গুল তুলে চোখ সরু করে বলল মিরাজ ।

       রেনো বলে— চুপচাপ ধুম্রপান করো মামনি, আমরা ততক্ষণে মদ্যপান করিয়া একটু বেহেড হই...

       —তারপর ফাইন্যাল্ ট্রিটমেন্ট্ চালু হবে... বলল নীরজজী ।

       —এখন সেমি-ফাইন্যাল্ চলছে, হ্যাঁ... রেনো যোগ করল ।

       জিয়ার দিকে ফিরে দাঁত বের করে সবাই অশ্লীলভাবে হাসতে থাকে । একটা সুন্দরী মেয়ে একসাথে ঠোঁটে তিনটে সিগারেট নিয়ে স্ট্যাচু হয়ে ওদের সামনে বসে আছে, আঙুল ইশারায় ওকে দেখিয়ে বিদ্রূপের হাসিটা আরও অনেক গুন বেড়ে যায় । হাসি যেন থামাতেই চায় না ওদের ।

       হাসির অ্যাকসেলারেশন একটু কমতে রেনো নীরজজীর বুদ্ধির তারিফ করে বলে— ফ্যান্টাসটিক্ আইডিয়া বস্ । কী করে ইনস্ট্যান্ট্ যে এসব আপনার মাথায় আসে !

       নীরজজী ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি এঁকে নিজের দর চড়ায় । মুখে কিছু বলল না । রেনো আর মিরাজের দিকে মদের গ্লাস বাগিয়ে ধরে বলে— চিয়ার্স...

       ওরাও মদের গ্লাস তুলে নেয় । একযোগে বলে—চিয়ার্স বস্...

     

                      ক্রমশ...

********👇👇👇

আমার প্রিয় পাঠক-পাঠিকাগন, আপনাদের কাছে আমার আন্তরিক অনুরোধ, আমার লেখাগুলো পড়ার পাশাপাশি আমাকে fallow করুন এবং আমার লেখা যদি আপনাদের মনে বিন্দুমাত্র রেখাপাত করে, খারাপ-ভালো যেটাই বিবেচ্য, পড়ার শেষে একটু মূল্যবান সময় খরচ করে comment করুন । আপনাদের মননশীল-বিচক্ষণতা এবং বিচার-বিশ্লেষণ একজন লেখককে লেখার জন্য ভীষণভাবে inspired করে এবং ভুল-ভ্রান্তিগুলো সংশোধন করে লেখার গুণমান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।   

👆👆👆**********