রাতের আঁধারে-১
রাতের আঁধারে-১
রাতের আঁধারে কত কিছুই হয়,সবাই কি তা জানে?
রাতের আঁধারে কপোত-কপোতী, গল্প করবে বলে-কপোতের কপোতী,
কাজ গুছিয়ে রাখে দিনে।রাতের আধারে তপোতী আর নীলাদ্রি- জোছনা দেখবে বলে,
বসে থাকে একসাথেকোনো দীঘির জলে-আলতা রাঙানো পা ভিজিয়ে।
রাতের আঁধারে কোনো পথহারা পথিকপথ খুঁজে ফিরে-কারণ,
তাকে ফিরতে নীড়ে।রাতের আঁধারে কোনো প্রেমিকজেগে থাকে আর ভাবে,
তার প্রিয়তমা হঠাৎ বদলে গেল কিভাবে?রাতের আঁধারে কোনো মন ভাঙা পরীপৃথিবীকে জানায় বিদায়,কারণ এই নিঠুর ধরায়সে যে ভীষণ অসহায়।
রাতের আঁধারে কোনো ক্লান্ত বাবা-ভেবে যায় কিভাবে ভালো থাকবে,তার আদরের খুকি আর খোকা।রাতের আঁধারে কোনো মমতাময়ী মাসাজিয়ে নেয় আগামী দিনের পরিকল্পনা,আর ভাবতে থাকে কিভাবে সামলাবেতার সোনামণিদের যন্ত্রণা।
রাতের আঁধারে কোনো পথশিশু ফুটপাথে শুয়ে শুয়ে ভাবে,আগামীকাল তার ভাগ্যেকোনো ভালো খাবার কি জুটবে?ভালো না হোক-খাবার হলেও চলবে।রাতের আঁধারে কোন অনাথ শিশুভাবতে থাকে বসে কোনো এতিমখানায়,“আমার মা কি আছে এ ধরায়,থাকলে কত ভালো হত-আমায় নিজ হাতে খাওয়াত,শোনাত রূপকথার গল্প,আর বকত অল্প স্বল্প।
“রাতের আঁধারে কোনো ক্লান্ত সৈনিকসীমান্তে পাহারা দিতে দিতে ভাবে,এবার ছুটি পেলেআর আসব না ফিরে।পরমুহূর্তেই আবার ভাবে,আমাকে আসতেই হবে ফিরে-এই চির চেনা নীড়ে।রাতের আঁধারে কোনো সুখী মানুষমাথা রাখে নিদ্রা দেবীর কোলে,আবার কিছু মানুষ এত সুখী তারা ভুলেই যায় নিদ্রা কাকে বলে।রাতের আঁধারে কত কিছুই হয়,আমরা কি তার খবর রাখি?খবর রাখি না বলেই,পরম নিশ্চিন্তে নিদ্রাদেবীর কোলে মাথা রাখি।
