নিরাকার মন
নিরাকার মন




হে কল্লোল পথিক ,
পৃথিবীর পথে হাঁটতে হাঁটতে
দিনান্তে কতগুলি গাদা বাছতে গিয়ে -
কতগুলো সংযমের বাঁধ ভেঙে বিষাদের শ্বাসে উদাসী দৃষ্টিতে দেখেছি ,
মাটির ফসলের মাঠে ভাবনার ভূগোল ঘুরছে
গাঢ় অন্ধকারে পাথর গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়চ্ছে।
আমাতে আমার মতো বীতশোকে
উদাসী হওয়াকে বলেছি -
"তোমার বিষাদ শ্বাসে বেজে ওঠা বাঁশিটির শত রন্ধ্র আমার শরীরে "।
আর অবুঝ স্তব্ধতা- তুমি ঘুমিয়ে আছো অসমাপ্ত কাজ ফেলে ?
দীর্ঘ পথ ,ঘাত- প্রতিঘাতে থমকে গেছ মাঝপথে ,
ধাপে ধাপে খুঁজে ফিরি কয়েক কোটিতে পা রেখে
ভাবনার থরে থরে।
জীবন -শব্দের অভিধান দীপে বাসনার চোখে নীরব আগুনে
পুড়তে পুড়তে চিমনির ধোঁয়া পাকিয়ে ওঠে ,
অভিমানির ঘূর্ণির অন্ধকারে গভীর নড়বড়ে
ইতিহাসের ধুলায় জীবাশ্ম ঢাকা পড়ে।
নির্লিপ্ত দ্রাঘিমা থেকে চলমান স্রোতে
আমি তন্দ্রার মতো তাকিয়ে থাকি প্রকৃতিতে
নির্বাক গাছগুলির মাঝে ;
সূর্য এখন লুপ্ত ।
আমি যতটুকু চেয়েছি এই পৃথিবীর
পথে হাঁটতে হাঁটতে
বুজতে পারিনি জীবনের রহস্য
লুকিয়ে থাকে কোন আলো- আঁধারিতে ।
আমি ক্লান্ত ,আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি জোৎস্না এখন ভিনগ্রহে
বিধাতার খোঁজে ফিরে আসি
তৃষ্ণার বালুচরী আবহে
তৃপ্ত হওয়ার অভিলাষে -
আর বহুদূরে একা বসে অকুলতার অন্তর্যামী হাসে।
অজানার পৃথিবীর স্তবে প্রতিটি মুহূর্তে, স্থূলতার ঘোলাজলে একক্ষণিক চাঁদ
আর নেই
তোমার চোখে নীরব আগুনে পুড়তে পুড়তে
একা একা হেঁটে গেছি সিঁড়ির ধাপে ধাপে,
পাখির নীড় গড়ার বিশ্বাসে
এখন অদ্ভুত আঁধার চারিপাশে ।
দূরের আলোর চিক চিক শহরে
ফিরে আসি জীবনের দুটো দিকে
আপন মুখোশ উন্মোচনে কেটে কুটে নিয়েছি
কয়েকটি শব্দের জাদুতে, আপন ভাবের ঘরে চুরি করে
খিল খিল করে হেসে উঠি নির্জন প্রেক্ষাগৃহে
আর ঐ পলেস্টার ঝরে পড়া পাঁচিলের অর্ধেক ছেড়া মোনালিসার তির্যক চোখের হাসিতে তাকিয়ে থাকি
একাকী ,কয়েক প্রহর কত দীর্ঘ হতে পারে বুজতে পারি নি ,এখন ---
দু-পায়ের ব্যথা গুলো দুপায়ে -দাঁড় করাচ্ছি আমি।।